Home Blog Page 136

বাংলার শিব – বাবা বড়ো কাছারি

আর কয়েকটি দিন পরেই মহা শিব রাত্রি, আদি শিব লিঙ্গের আবির্ভাব তিথি ও শিব পার্বতীর বিবাহের দিনটি একত্রে উদযাপিত হবে সারা দেশ জুড়ে,এই আসন্ন শিব রাত্রি উপলক্ষে আমি আজ শুরু করতে চলেছি একটি বিশেষ ধারাবাহিক লেখনী যেখানে থাকবে বাংলার নানা প্রান্তে অবস্থিত বিভিন্ন কিছু প্রাচীন শিব মন্দিরের কথা ও তাদের সাথে জড়িত অনেক গল্প ও কিংবদন্তী, আজ প্রথম পর্বে বড়ো কাছারি মন্দির|

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিষ্ণুপুর থানার বাখরাহাটে অবস্থিত এই প্রাচীন শিব মন্দিরটি যা বাবা বড়ো কাছারি নামেই জগৎ বিখ্যাত, কেনো বড়ো কাছারি নাম হলো সে নিয়েও এক অলৌকিক ঘটনার উল্লেখ আছে, সে প্রসঙ্গে পরে আসছি আগে এই মন্দিরের নির্মাণের ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট জেনে নেয়া যাক|

সময়টা ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দ নবাব আলীবর্দী খানের শাসন কাল, সেই সময়ে বাংলায় আক্রমণকারী মারাঠাদের অত্যাচার ও হামলা প্রতিদিনের ব্যাপার ছিলো , এই সময়ে আজকের বাখরাহাট সংলগ্ন এলাকা ছিলো ঘন জঙ্গলে ঢাকা, এখানেই বাস করতেন এক সাধু, শোনা যায় স্থানীয় অধিবাসীদের সকল বিপদ থেকে রক্ষা করতেন ওই সাধু, তার মৃত্যুর পর তার মরদেহ না পুডিয়ে সেই শশ্মানে সমাধিস্থ করে ভক্তগণ। পরে সেই সমাধিক্ষেত্র হতে এক অশ্বত্থ গাছ জন্মায় এবং ওই স্থানে স্থাপন করা হয় এক শিবলিঙ্গ, স্থানটি ক্রমশঃ সর্বত্র বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং দূর দূর থেকে মানুষ আসতে থাকেন পুজো দিতে ও তাদের মনোস্কামনা জানাতে, শোনা যায় এই শিব মন্দির থেকে কেউ খালি হাতে ফেরেননা|

কেনো বড়ো কাছারি নামে ডাকা হয় এই মন্দির কে তারও নিদ্দিষ্ট কারন আছে, জনশ্রুতি অনুসারে এই শশ্মানে নাকি গভীর রাতে স্বয়ং শিবশম্ভু ভূতনাথ বেশে বিচার সভা বসাতেন। সেকারণে স্থানটিকে অনেকে এখনো ভূতের কাছারিও বলেন। আর যেহেতু সে বিচার ভূতনাথরূপী শিবের দরবারে, সুতরাং তাঁর বিচারই সর্বশ্রেষ্ঠ তাই সব কাছারির উর্ধে এই কাছারি ও তার বিচার তাই বড়ো কাছারি নামেই পরিচিত হয়েছে এই স্থান|

প্রতি শনি ও মঙ্গলবার বেশ ধুমধাম সহ পূজা হয় এখানে, শিব রাত্রিতে ও বিশেষ বিশেষ তিথিতে ব্যাপক জনসমাগম হয়, দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন বাবার মাথায় জল ঢালতে|ভক্তরা এক ছোট্ট কাগজে তাদের প্রার্থনা দরখাস্তের আকার লিখে মন্দিরের গায়ে বেঁধে দেন|বহু শিব ভক্তের অগাধ আস্থা ও ভক্তির স্থান এই বড়ো কাছারি মন্দির|

আজকের পর্ব এখানেই শেষ করছি, তবে আগামী দিনে বাংলার এমন অনেক শিব মন্দিরের কথা আপনাদের জানবো, পড়তে থাকুন, আর জ্যোতিষ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চাইলে বা আমার কাছে আসতে চাইলে যোগাযোগ করবেন উল্লেখিত নাম্বারে, ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|

কলকাতার কালী – আরামবাগের খ্যাপা কালী

আপনাদের ভালোবাসা ও উৎসাহকে সম্বল করে কলকাতার কালী শীর্ষক এই ধারাবাহিক লেখণী কলকাতার ভৌগোলিক সীমা অতিক্রম করে জেলায় পা রেখেছে আগেই, আজ সেই ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে হুগলী জেলার আরামবাগের কাছে অবস্থিত একটি কালী মন্দির নিয়ে লিখছি, এই প্রসিদ্ধ কালী মন্দির নিয়ে প্রচলিত রয়েছে অসংখ্য অলৌকিক ঘটনা|

হুগলি জেলার আরামবাগ স্টেশন থেকে মাত্র দু কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তিরোল গ্রামের খ্যাপা কালীর মন্দির, এই মন্দিরেরে দেবীকে অত্যন্ত জাগ্রত বলে বিশ্বাস করেন সবাই, কথিত আছে এই মায়ের আশীর্বাদে নাকি মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীরা সুস্থ হয়ে ওঠেন অলৌকিক ভাবে|

আজ থেকে প্রায় পাঁচশো বছর আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে মায়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা করে তার পূজা শুরু করিয়েছিলেন এখানকার জমিদার ধর্মপ্রাণ দীননাথ চক্রবর্তী, শোনা যায় তিরোলের দেবীর হাতের বালা কোনো মানসিক রোগীকে পড়ালে তিনি সুস্থ হয়ে যান, আজ অবধি বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন এখানে এসে|

সাহিত্যিক বিভূতি ভূষণ বন্দোপাধ্যায় তিরোলের বালা নামে একটি ছোটো গল্পও লিখেছেন, যা হয়তো আপনারা অনেকেই পড়েছেন, শোনাযায় মা সারদা স্বয়ং তার বৌদির মানসিক রোগ সারাতে এখানে এসে খ্যাপা কালীর পুজো দিয়েছিলেন|পরবর্তীতে নিজের ভাইঝি রানুর জন্যও মা সারদা এখানে এসেছিলেন এবং খ্যাপা কালীর কৃপায় উপকৃত হয়েছিলেন|

এইখানে দেবীর পুজোর কয়েকটি বৈশিষ্ট আছে, মায়ের পুজোর সময় প্রতিবছর মুকুট আসে ধনিয়া খালির বিশ্বাস বাড়ি থেকে, আবার সানাই বাদকরা আসেন একটি নিদ্দিষ্ট গ্রাম থেকে, এমনকি মায়ের দৈব বালাও বংশ পরম্পরায় তৈরি করে চলেছেন এই গ্রামেরই একটি নিদ্দিষ্ট কর্মকার পরিবার|

এখানে কালী পুজোয় বিশেষ ধুমধাম হয় ও পশু বলীর প্রথা এখনো প্রচলিত আছে|দূর দূরান্ত থেকে বহু দর্শনার্থী আসেন মায়ের দর্শন ও আশীর্বাদ পেতে|

আজকের পর্ব এখানেই শেষ করছি, আবার লিখবো একটি নতুন পর্ব, পড়তে থাকুন আর জ্যোতিষ বা তন্ত্র সংক্রান্ত কাজের জন্যে উল্লেখিত নাম্বারে ফোন করে কথা বলতে পারেন নির্দ্বিধায়|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|

গোপন শক্তিপীঠ

শক্তিপীঠ বললেই আমরা সাধারণত একান্ন পীঠের কথাই ভেবে থাকি, আবার কিছু শাস্ত্র মতে শক্তি পীঠের প্রকৃত সংখ্যা একান্ন নয় বাহান্ন, এমনকি কিছু প্রাচীন গ্রন্থে শতাধিক শক্তি পীঠের উল্লেখও রয়েছে, অর্থাৎ শক্তি পীঠের সংখ্যা নিয়ে কিঞ্চিৎ মতপার্থক্য রয়েছে, তবে একটি বিষয় নিয়ে সবাই একমত যে বেশ কয়েকটি শক্তিপীঠের প্রকৃত অবস্থান বা স্থান নির্ণয় আজও সম্ভব হয়নি, এমনই চারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপন শক্তিপীঠের কথা আমি আজকের এই বিশেষ পর্বে লিখবো|

প্রথমেই বলবো কালমাধব শক্তিপীঠের কথা, শাস্ত্র মতে এখানে পতিত হয়েছে দেবীর কোমরের বামদিকের অংশ,বিভিন্ন প্রাচীন গ্রন্থে দেবীকে এই পীঠের অধীশ্বরী কালমাধব রূপে বর্ণনা করা হয়েছে এবং ভৈরবের নাম এখানে অসিতানন্দ|এই পীঠযে আসলে কোথায় অবস্থিত তা আজও নিশ্চিত ভাবে বলা যায়নি|

শক্তি পীঠগুলির মধ্যে অন্যতম রত্নাবলী শক্তিপীঠের প্রকৃত অবস্থান নিয়েও বিতর্ক এবং মত পার্থক্য রয়েছে, মনে করা হয় দেবী আদ্যা শক্তির কাঁধের একটি অংশ পড়েছিল এই স্থানে, যদিও বেশিভাগ বিশেষজ্ঞই মনে করেন দক্ষিণ ভারতের মাদ্রাসের কোনো স্থানে রয়েছে এই শক্তি পীঠ তবে, প্রকৃত স্থান আজও অজানাই রয়ে গেছে|

পঞ্চসাগর শক্তিপীঠের প্রকৃত অবস্থানও আজও জানা যায়নি নিশ্চিত ভাবে, যদিও শাস্ত্র মতে এই শক্তি পীঠের অস্তিত্ব আছে এবং এই স্থানে দেবীর চোয়ালের একটা অংশ পড়েছিল|

প্রাচীন শাস্ত্র থেকে একথা স্পষ্ট ভাবে জানা যায় যে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র শ্রীলংকায় ও রয়েছে একটি শক্তিপীঠ, এখানে সম্ভবত দেবীর কিছু গহনা পতিত হয়েছিলো, এই স্থানে দেবী ইন্দ্রাক্ষী এবং ভৈরব রূপে রয়েছেন রাকেস্বর, তবে ঠিক কোন স্থানে এই শক্তি পিঠটি অবস্থান করছে তা নিশ্চিত ভাবে এখনো বলা সম্ভব হয়নি, অর্থাৎ এই শক্তি পীঠকেও একটি গোপন শক্তি পীঠ হিসেবেই ধরা হয়|

আগামী দিনে শক্তি সংক্রান্ত আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা আমি আপনাদের সামনে আনবো, সংঙ্গে থাকবে আরো অনেককিছু,দেখতে থাকুন আমার প্রতিটি অনুষ্ঠান এবং পড়তে থাকুন এই আধ্যাত্মিক লেখালেখি, নিজেদের মতামতও জানান, আর জ্যোতিষ সংক্রান্ত কাজের জন্যে আমার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে নির্দ্বিধায় ফোন করতে পারেন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|

মন্দির রহস্য – রেন টেম্পল, উত্তর প্রদেশ

ভারতে যেমন মন্দিরের পরিমান অসংখ্য তেমনই তাদের নিয়ে রহস্যর ও কোনো শেষ নেই, আজ আপনাদের এমনই এক রহস্যময় মন্দিরের কথা বলবো যার রহস্য ভেদ করতে বিজ্ঞান ও হিমশিম খাচ্ছে|

উত্তর প্রদেশে কানপুরের রয়েছে এই অদ্ভুত দেখতে মন্দির। মন্দিরটি শ্রী জগন্নাথের।মানুষের বিশ্বাস, বৌদ্ধ মঠের আদলে এই মন্দির নাকি তৈরি করিয়েছিলেন সম্রাট অশোক|

যুগ যুগ ধরে এক অলৌকিক উপায়ে এই প্রাচীন মন্দিরটি সঠিক আবহাওয়ার খবর আগাম বলে দিচ্ছে স্থানীয়দের,বৃষ্টি পাতের আগাম খবরের জন্যে স্থানীয়রা অন্য কোনো প্রযুক্তি নয় ভরসা রাখেন এই মন্দিরে, শুধু বৃষ্টির খবর বলে দেওয়া নয়, বৃষ্টি হলেও কতটা হবে সেটাও নাকি বলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই রহস্যময় মন্দির। সেখানকার লোকেরা এই কারণেই মন্দিরটিকে ‘রেন টেম্পল’ নাম দিয়েছেন|যথার্থ নাম করণ সন্দেহ নেই|

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, হঠাৎ করেই নাকি প্রখর রোদেও মন্দিরের ছাদ থেকে জল পড়তে থাকে এর অর্থ বৃষ্টি হবেই।প্রতিবার বৃষ্টি হওয়ার ৬-৭ দিন আগে থেকেই নাকি এমন অদ্ভুত সংকেত দেয় এই মন্দির। প্রবল বৃষ্টি হবে নাকি স্বল্প বৃষ্টি হবে, সেটাও নাকি জলবিন্দুর চুঁইয়ে পড়ার ধরণ দেখেই বোঝা যায়, রহস্য এখানেই শেষ নয়, বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর এই মন্দিরের ছাদ থেকে যে জল চুঁইয়ে পড়ছিলো তা পুরোপুরি নাকি বন্ধ হয়ে যায়। শুধু তাই না, সিলিংয়ে জলের কোনো চিহ্নও থাকেনা,

বৃষ্টির আগাম খবর পাওয়া যায় তাই কৃষকদের কাছে এই মন্দির বেশ পবিত্র। কারণ বৃষ্টির পূর্বাভাস, তাদের চাষবাষে সাহায্য করে।প্রায় সারা বছরই দর্শনার্থীরা আসেন এখানে তবে রথযাত্রা উপলক্ষে উৎসব হয় ও সেই সময়ে বহু মানুষের সমাগম হয়, এই মন্দিরে|

আবার ফিরবো নতুন পর্বনিয়ে যথা সময়ে, পড়তে থাকুন আমার লেখা ও দেখতে থাকুন টিভির অনুষ্ঠান, আর জ্যোতিষ পরামর্শ ও প্রতিকারের জন্যে উল্লেখিত নাম্বারে ফোন করুন নির্দ্বিধায়|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|

মন্দির রহস্য – যমরাজ মন্দির , হিমাচল প্রদেশ

এর আগের মন্দির রহস্য পর্ব গুলিতে আমি বেশ কয়েকটি কালী মন্দির, শিব মন্দির এবং বিষ্ণু মন্দির তার সাথে জড়িত রহস্য জনক নানান ঘটনা ও গল্প আপনাদের বলেছি, আজ এমন একটি মন্দিরের কথা বলবো যেখানে প্রতিষ্টিত আছেন যমরাজ, হয়তো অনেকেই আগে এমন মন্দিরের কথা আগে শোনেননি, এই মন্দিরটি রয়েছে হিমাচল প্রদেশেরে চম্বা জেলার ভারময় নামক স্থানে|

এই যমরাজ মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে অনেক অলৌকিক ঘটনা ও রহস্য, তবে ভক্তির থেকে এই মন্দিরের ক্ষেত্রে ভয়ের প্রাধান্যই রয়েছে ওধিক, কারন যমরাজ মানেই তো মৃত্যু আর এই মন্দিরের যমরাজের সাথে ও অবস্থান করছেন মানুষের যাবতীয় পাপপুণ্যর হিসাব রক্ষক চিত্রগুপ্ত|

মনে করা হয়, মন্দিরের মধ্যেই গোপন এক ঘরেই মানুষের পাপ-পুণ্যের হিসেবে কষেন তারা, পাহাড়ে ঘেরা মন্দিরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এক কথায় অপূর্ব যা দেখতে আসেন বহু দর্শনার্থী তবে, মন্দিরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার দুঃসাহস দেখাতে চায়না তারা, বাইরে থেকে প্রনাম করেই বিদায় নেয় বেশি ভাগ দর্শনার্থী|

কবে এবং কে এই মন্দির এখানে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই প্রশ্নের উত্তর এখনো রয়েছে অজানা, লোকমুখে প্রচারিত, মন্দিরটিতে মোট চারটি অদৃশ্য দরজা রয়েছে যেগুলি নাকি সোনা, রুপা, ব্রোঞ্জ এবং লোহা দিয়ে তৈরি, পুরাণেও এমনই চারটি দরজার বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। যমরাজের ইচ্ছা অনুযায়ীই নাকি মৃত ব্যক্তির আত্মা এসব দরজার কোনো একটি দিয়ে স্বর্গ বা নরকে পৌঁছায়|

মানুষের বিশ্বাস, মৃত্যুর পরে মুক্তি লাভের জন্যে সেই আত্মার ঠাঁই হয় যমরাজের পায়ের কাছে। সেখানে চিত্রগুপ্ত সেই আত্মার ভালো মন্দের হিসাব পেশ করেন মৃত্যুর দেবতার সামনে, তারপর যমরাজ সিদ্ধান্ত নেন, কোন দরজা খোলা হবে সেই আত্মার জন্যে। এইভাবে এই মন্দির মানুষের পাপ পুণ্যের হিসাব করার ও আত্মার পরবর্তী গন্তব্য নির্ণয় করার কাজে ব্যবহিত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে|

আগামী দিনে, হিমাচলপ্রদেশ ভ্রমণ করলে এই মন্দির টি চাইলে দেখে আসতে পারেন, আজ এখানেই থামছি, আবার দেখা হবে একটি নতুন পর্বে, যাওয়ার আগে মনে করিয়ে দিই বর্তমানে, কোলকাতা, বারাসাত ও অনলাইনে ভাগ্যবিচারের পাশাপাশি জেলায় ও যাচ্ছি নিয়ম করে তাই দূরের বন্ধুরা জ্যোতিষ সংক্রান্ত কাজ নিয়ে আমার কাছে আসতে চাইলে আগে উল্লেখিত নম্বরে ফোন করে জেনে নেবেন আমাকে কোথায় কবে ও কখন পাবেন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|

ভারতের সাধক – ভবা পাগলা

ভারতের সাধকদের মধ্যে যারা সঙ্গীত ও আধ্যাত্মিকতা এক সূত্রে গেথে ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ভবেন্দ্র মোহন সেন ওরফে ভবাপাগলা, আজকের পর্বে এই মহান সাধকের কথা আপনাদের শোনাবো, জানাবো তার জীবন,তার সাধনা ও তার সাথে জড়িত কিছু অলৌকিক ঘটনা,

শৈশব থেকেই ভবা ছিলেন ভাবুক প্রকৃতির ও সর্বদা কালী সাধনায় মগ্ন,প্রথা গত শিক্ষা খুব বেশি না থাকলেও আধ্যাত্মিক ভাবে অগাধ জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন ভবা পাগলা|

ভবা পাগলার জন্ম আনুমানিক ১৮৯৭ খৃস্টাব্দে বাংলাদেশে, তার পিতার নাম গজেন্দ্র কুমার সাহা, পারিবারিক সূত্রেই ভবা ছিলেন কালী সাধক|পরবর্তীতে দেশ ভাগ হলে ভবাকে চলে আসতে হয় ভারতে, সেখানেও তার সঙ্গে ছিলো একটি কালী মূর্তি,থাকতে শুরু করেন শোভাবাজার অঞ্চলে এক ভক্তের গৃহে, সেখান থেকেই ক্রমশঃ ছড়িয়ে পড়তে থাকে তার গান ও অলৌকিক কীর্তি|

হালকা পাতলা গড়ন, গায়ের রঙ উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ, মাথায় ঝাঁকড়া চুল, চিবুকে এক গোছা দাড়ি, এই অতি সাধারণ চেহারার ভবাপাগলার মধ্যে ছিলো অসীম আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও বিশাল অলৌকিক ক্ষমতা, যা বার বার ধরা দিয়েছে তার নানান কর্ম কাণ্ডে, শোনা যায় একবার এক দুরারোগ্য ব্যাধি তে আক্রান্ত ব্যাক্তি কে অলৌকিক ভাবে সুস্থ করে দিয়েছিলেন ভবাপাগলা|

ভবা পাগলার সহজাত প্রতিভা ছিলো গান লেখার ও সুর করার, প্রায় ছেয়াশি হাজার সংগীত রচনা করেছিলেন ও তাতে সুর দিয়েছিলেন,ভবা পাগলা, শ্যামা সংগীত বা ভক্তি গীতিই ছিলো তার সংগীতের প্রধান ভিত্তি|কালী সাধনার মাধ্যম হিসেবে সংগীত কে তিনি সফল ভাবে ব্যবহার করে ছিলেন এবং হয়ে উঠেছিলেন একজন সিদ্ধ পুরুষ|নিজের জীবদ্দশায় প্রায় সাতটি কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি|এই মহান সাধক ১৯৮৪ খৃস্টাব্দে দেহ ত্যাগ করেন, আজও তিনি স্মরণীয় তার অলৌকিক কীর্তি ও তার গানের জন্যে|

এই মহান কালী সাধককে আমার শ্রদ্ধা ও প্রনাম জানিয়ে শেষ করছি আজকের লেখা, কেমন লাগলো জানাবেন, আবার লিখবো অন্য কোনো সাধককে নিয়ে, পড়তে থাকুন, আর গ্রহ গত সমস্যানিয়ে আমার কাছে আসতে চাইলে উল্লেখিত নাম্বারে যোগাযোগ করে নেবেন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|

পুরান রহস্য – ভীষ্ম অষ্টমী

পুরান ও সনাতন ধর্ম শাস্ত্রের কিছু রহস্য, কিছু অজানা তথ্য আপনাদের সামনে আনতে শুরু করেছিলাম পুরান রহস্য শীর্ষক এই ধারাবাহিক লেখা আজ আমাদের মহাকাব্যে উল্লেখিত একটি বিশেষ ঘটনার কথা বলবো যা ঘটেছিলো আজকের দিনে এবং সেই ঘটনাকে উৎসর্গ করেই আজকের দিনের নামকরণ, আজ ভীষ্ম অষ্টমী|আজকের দিনে প্রান ত্যাগ করেছিলেন ভীষ্ম|

মহাভারত অনুসারে মহারাজ শান্তনু এবং গঙ্গার পুত্র ছিলেন ভীষ্ম। নিজের শপথ রাখতে সিংহাসনের মোহ ত্যাগ করেছিলেন তিনি। এমনকি কোনও দিন তিনি বিবাহ করবেন না বলেও প্রতিশ্র‌ুতিবদ্ধ হন, তাই আজীবন অকৃতদার, এই ভীষণ প্রতিজ্ঞা করার জন্য সিদ্ধার্থ ভীষ্ম নামে পরিচিত হন, ভীষ্ম স্বেচ্ছামৃত্যুর আশীর্বাদ পেয়েছিলেন, অর্থাৎ তিনি যেদিন চাইবেন সেদিন তার মৃত্যু হবে|

কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে সারা শরীরে অজস্র বাণ নিক্ষেপ করে ভীষ্মকে শরশয্যায় শায়িত করে দেন অর্জুন।
ভীষ্ম যখন শরশয্যায় শায়িত হয়েছিলেন তখন সূর্যের দক্ষিণায়ন চলছিল। তিনি প্রাণত্যাগের জন্য উত্তরায়ন পর্যন্ত অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। মাঘ শুক্লা অষ্টমীর সময় সূর্যের উত্তরায়ন শুরু হয়ে যায় এবং তিনি স্বেচ্ছায় নিজের প্রান ত্যাগ করেন|

দেশের নানা স্থানে এই দিন ভীষ্মর ত্যাগ ও বীরত্ব কে স্মরণ করে তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়, কোথাও কোথাও পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পনের রীতিও রয়েছে|আপনারও এই মহান যোদ্ধা ও ত্যাগী মহাত্মাকে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন নিজের মতো করে|

আজ লেখা এখানেই শেষ করলাম, পরের পর্বে দেখা হবে, জ্যোতিষ মতে ভাগ্যগণনা হোক বা সমস্যার সমাধান, চাইলে উল্লেখিত নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|

মন্দির রহস্য – ভূতনাথ মন্দির

ইদানিং পেশাগত ব্যস্ততা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে,বহু মানুষ ফোন করছেন জ্যোতিষ সংক্রান্ত প্রশ্ন ও সমস্যা নিয়ে, অনলাইনের পাশাপাশি চেম্বারে নিয়মিত বসা চলছে, আর প্রতিদিনের টিভির অনুষ্ঠান তো চলছেই আর এতো কিছুর মধ্যেই আজ আবার একটি মন্দির রহস্য পর্ব নিয়ে আমি আপনাদের সামনে, আজ বলবো ভারতের একটি অন্যতম রহস্যময় মন্দির নিয়ে, ভূতনাথ মন্দির|

উত্তরা খন্ডের ঋষিকেশে অবস্থিত একটি বহু প্রাচীন শিব মন্দির, শিব এখানে ভুতেশ্বর মহাদেব নামে প্রসিদ্ধ এবং মন্দিরটি ভূতনাথ মন্দির নামেই জগৎ বিখ্যাত|এই মন্দির ঘিরে রয়েছে একটি রহস্য ও পৌরাণিক আখ্যান|

পুরান অনুসারে দক্ষ কন্যা পার্বতীকে বিবাহের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া শিবের বরযাত্রী এই স্থানে এসেছিলো, এবং যাত্রা পথে এই নিদ্দিষ্ট স্থানে তারা অপেক্ষা করে ছিলো কিছুক্ষন, এটি তাদের বিশ্রামের স্থান|পরবর্তীতে স্থানীয় দের অনুরোধে স্বয়ং প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি ভুতেশ্বর রূপে এই স্থানে সদা বিরাজমান থাকবেন, তারপর থেকে এই স্থানে সুদৃশ্য আটতল বিশিষ্ট ভূতনাথ মন্দিরে, তিনি বিরাজমান,এমনকি মহাদেবের অশরীরী সঙ্গী সাথীরাও রয়েছে স্বমহিমায়, এমনটাই প্রচলিত বিশ্বাস|

কথিত আছে এই মন্দিরে এসে ভুতেশ্বর মহাদেবের দর্শন করলে অশুভ শক্তি, ভুত, প্রেত মানুষের আর কোনো ক্ষতি করতে পারেনা, বাবা ভুতেশ্বরের কৃপায় দূর হয় অশুভ শক্তি জনিত সব সমস্যা, তাই এই এই সব সমস্যায় পীড়িত বহু মানুষ প্রায় প্রতিদিন আসেন এই মন্দিরে, ভক্তি সহকারে পূজা দেন|

মন্দির প্রাঙ্গনে রয়েছে একটি সুসজ্জিত বেদি যার চারপাশে ঝোলানো রয়েছে দশটি ঘন্টা এবং রহস্য রয়েছে এই খানেও, ওই দশটি ঘন্টা থেকে দশ প্রকার আলাদা আলাদা ধ্বনি উৎপন্ন হয় যার কোনো কারন বা ব্যাখ্যা আজও পাওয়া যায়নি|

মন্দিরের চার পাশে বেশ একটা গা ছম ছমে অলৌকিক শক্তির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়. প্রতিদিন সন্ধে ছটায় বন্ধ হয় মন্দির|আগামী দিনে ঋষিকেশ ভ্রমণ কালে এই মন্দির দর্শন করতে ভুলবেন না|

আবার পরের পর্বে দেখা হবে, নতুন কোনো মন্দির রহস্য নিয়ে কথা হবে|পড়তে থাকুন, যোগাযোগ রাখুন আর জীবনের সমস্যার জ্যোতিষ নির্ভর সমাধান চাইলে উল্লেখিত নাম্বারে ফোন করে কথা বলতে পারেন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ| 

শীতল ষষ্ঠী

আশা করি সরস্বতীপুজো ভালোই কেটেছে আপনাদের, তবে আমাদের বাঙালিদের তো পুজো পার্বন আর ব্রতের শেষ নেই, আজ যেমন শীতল ষষ্ঠী, গ্রাম বাংলার বহু গৃহে আজ পালিত হয় এই উৎসব, শীতল ষষ্ঠী পালনের রয়েছে কিছু বিজ্ঞান ভিত্তিক যুক্তি ও বহু প্রাচীন ঐতিহ্য|

যারা শীতল ষষ্ঠী পালন করেন, তাঁরা সরস্বতী পুজোর পরের দিন বাড়িতে কোনও রান্না করেন না। শীতল ষষ্ঠীর দিনে বাড়িতে উনুন না জ্বালানোর প্রথা রয়েছে, অর্থাৎ এদিন সম্পূর্ণ অরন্ধন, এক্ষেত্রে আগের দিন রান্না করে ষষ্ঠীর দিন সবকিছ শীতল বা ঠান্ডা খেতে হয়,

উপাচারের কথা বলতে গেলে এ বেশ সহজ সরল ও ঘরোয়া সরস্বতী পুজোর পর দিন সকালে তিথিগত ভাবে ষষ্ঠী থাকতে থাকতে হয় ষষ্ঠীপুজো। তারপর হয় বাড়ির শীল, নোড়ার পুজো, ফুল, প্রসাদ দিয়ে শীল-নোড়ার পুজো দিয়ে দইয়ের ফোঁটা দেওয়া হয় শীল-নোড়ার গায়ে,তারপর আগে থেকে রান্না করা খাবারের পুজো সম্পন্ন করে শেষ হয় শীতল ষষ্ঠীর উপাচার|

কিছু কিছু স্থানে আঞ্চলিক মরশুমি শাক সবজি দিয়ে আগের দিন তৈরি হয় পাঁচ মিশেলি বিশেষ তরকারি, অর্থাৎ এই উৎসবএর সাথে যোগ রয়েছে, আঞ্চলিক ফসলের আবার শীত গিয়ে আসতে শুরু করেছে বসন্ত ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে শরীরে জীবাণুর বাসা বাঁধতে শুরু করে এই সকল রোগের হাত থেকে বাঁচতে এই টাটকা শাকসবজির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলেও অনেকে বিশ্বাস করেন|

যারা শীতল ষষ্ঠী পালন করছেন, ভক্তি ও শ্রদ্ধা সহকারে করুন, আমাদের সনাতন ধর্মের প্রতিটি ব্রতই গুরুত্বপূর্ণ ও গৃহ কল্যানে বিশেষ কার্যকরী|
এখন বিদায় নিলাম, দেখতে থাকুন টিভির অনুষ্ঠান, ও ইউটিউব এর ভিডিওগুলি আর চেম্বারে বা অনলাইন ভাগ্যবিচারে যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|

শুভ সরস্বতী পুজো

আমাদের সনাতন ধর্মে বিদ্যার দেবী বলা হয় দেবী সরস্বতীকে তাই বিশেষ করে বিদ্যার্থীদের কাছে দেবী সরস্বতী পূজনীয় তবে হিন্দু দের কাছেই তিনি পরম শ্রদ্ধার এবং পূজনীয়। তাঁর আশির্বাদে শুধুমাত্র বিদ্যা নয় বুদ্ধিও বৃদ্ধি পায়, বৃদ্ধি পায় সৃজন শীল ক্ষমতা ও সমৃদ্ধি|আজ সেই বহু প্রতীক্ষিত সরস্বতী পুজো, আসুন আজ জেনে নিই দেবী সরস্বতী সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পৌরাণিক তথ্য, সহজ সরল ভাবে|

পুরান মতে সৃষ্টির একদম আদি লগ্নে ধ্যানে বসেন সৃষ্টি কর্তা ব্রহ্মদেব সেই ধ্যানে তিনি তাঁর সকল ভালো গুণকে একত্র করতে থাকেন। আর ব্রহ্মার সকল ভালো গুণ একত্রিত হয়ে তা ধীরে ধীরে এক নারীর আকার নিতে থাকে।এবং সেই নারী পরবর্তীতে আবির্ভুতা হন দেবী সরস্বতী রূপে,এবং
এই ভাবেই ধ্যান মগ্ন ব্রহ্মার মুখ গহ্বর থেকে সৃষ্টি হয় দেবী সরস্বতীর|জন্মের পর সরস্বতী তাঁকে এই বিশ্বকে কী ভাবে আরও সুন্দর করে তোলা যায়, সে সম্পর্কে পরামর্শ দেন ও ব্রহ্মা দেবী সরস্বতীর উপর দায়িত্ব দেন বিশ্বের সৌন্দর্য রক্ষা ও সমস্ত সৃজন শীল কাজের|

সরস্বতী শব্দের দুই অর্থ – একটি ত্রিলোক্য ব্যাপিনী সূর্যাগ্নি, অন্যটি নদী, শব্দের অর্থ অনুসারে সর শব্দের অর্থ জল অর্থাৎ যাতে জল আছে তাই সরস্বতী|

দেবী সরস্বতী কে নিয়ে কয়েকটি বিষয় আরো জানা দরকার, অনেকেই প্রশ্ন করেন রাজহংস কেন সরস্বতীর বাহন? এর কারন জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে সর্বত্রই হাঁসের সমান গতি, ঠিক যেমন জ্ঞানময় পরমাত্মা সর্বব্যাপী ও সর্বত্র বিরাজমান অর্থাৎ পরম জ্ঞানের প্রতিক এই রাজ হংস|

আবার হংসের রয়েছে এক অদ্ভুত ক্ষমতা, হংস জল ও দুধের পার্থক্য করতে সক্ষম। জল ও দুধ একত্রে মিশ্রিত থাকলে হাঁস শুধু সারবস্তু দুগ্ধ বা ক্ষীরটুকুই গ্রহণ করে, জল পড়ে থাকে। জগতে জ্ঞান থাকবে অজ্ঞানতাও থাকবে, শিক্ষা থাকবে অশিক্ষাও থাকবে, সংস্কার থাকবে কু সংস্কার ও থাকবে, তবে আমাদের সচেতন ভাবে হংসের ন্যায় ভালো টা নিতে হবে আর খারাপ টা বর্জন করতে হবে এটা বোঝাতেই সরস্বতীর বাহন হিসেবে হংসকে নির্বাচিত করা হয়েছে|

সরস্বতী পুজোর আগে কেনো কুল খেতে নেই, বিশেষত বিদ্যার্থীদের তার উত্তর ও রয়েছে পুরানে,
পুরাণ মতে, দেবী সরস্বতীকে তুষ্ট করতে একদিন বদ্রিকাশ্রমে তপস্যা করার সিদ্ধান্ত নেন মহামুনি ব্যাসদেব। তপস্যা শুরুর আগেই দেবী সরস্বতী ব্যাসদেবকে একটি শর্ত দেন তাঁকে। একটি কুল বীজ রেখে তিনি বলেন, এই বীজ থেকে গাছ হয়ে কুল হবে। সেই কুল যেদিন ব্যাসদেবের মাথায় পড়বে সেদিন দেবী সন্তুষ্ট হবেন ব্যাসদেবের তপস্যা সম্পূর্ণ হবে।

শর্ত মেনে নিয়ে তপস্যা শুরু করেন ব্যাসদেব। দীর্ঘ সময় কেটে গেলো সেই বীজ থেকে গাছ হল, গাছে কুল ধরল এবং কুল পেকে তা ব্যাসদেবের মাথাতেও পড়ল। ঘটনাচক্রে সেই দিনটা ছিল পঞ্চমী, এরপর সরস্বতীর অর্চনায় কুল ফল নিবেদন করেন ব্যাসদেব । সেই থেকেই বিদ্যার দেবীর প্রসাদ হিসেবেই মরসুমের প্রথম কুল খাই আমরা। এবং দেবীর পুজোর আগে কারোর কুল খাওয়া উচিত নয় বিশেষ করে ছাত্র ছাত্রীদের কারন সরস্বতীর কৃপা তাদের সবথেকে বেশি প্রয়োজন|

আগামী কাল দেখুন আমার টিভির লাইভ অনুষ্ঠান সেখানে পুজোর উপাচার নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবো, সরস্বতী পূজা করুন ভক্তি ভরে, আর যেকোনো গ্রহগত সমস্যার সমাধানের জন্যে যোগাযোগ করুন আমার উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন সবাইকে সরস্বতী পূজার শুভেচ্ছা|ধন্যবাদ