পন্ডিতজি ভৃগুর শ্রী জাতক
আধ্যাত্মিকতা ও জ্যোতিষ চর্চা এই এই দুটি বিষয় কে কেন্দ্র করে আমার জীবন আবর্তিত হচ্ছে বিগত তিন দশকের বেশি সময় ধরে|বহু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছে এই পেশাদার জ্যোতিষ জীবনে|সঠিক জ্যোতিষ পরামর্শ ও প্রতিকারের মাধ্যমে লক্ষ্য লক্ষ্য জাতক জাতিকার জীবনে সাফল্য আসতে দেখেছি, তার সাক্ষী থেকেছি|নাম যশ অর্থ সবই দেখেছি|তবে সব থেকে বেশি যা পেয়েছি তা হলো আত্ম তৃপ্তি ও মানসিক শান্তি|অসংখ্য ক্লাইন্ট ছড়িয়ে আছে দেশে বিদেশে যাদের অনেকেই আজও নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রেখে চলেন|এছাড়া আছে অসংখ্য পাঠক পাঠিকা ও দর্শক যারা নিয়মিত আমার আধ্যাত্মিক লেখাগুলি পড়েন ও আমার বিভিন্ন জ্যোতিষ সংক্রান্ত অনুষ্ঠান টিভিতে বা ইউটিউবে দেখেন|তাদের সবার কাছে আমি চীর কৃতজ্ঞ|
পেশাদার জ্যোতিষ চর্চার পাশাপাশি পুরানবিদ,আধ্যাত্মিক লেখক, শাস্ত্রজ্ঞ,ধর্মীয় বক্তা এবং গবেষক হিসেবে আমার যে পরিচিতি তৈরি হয়েছে এই দীর্ঘ সময়ে তা আপনাদের আন্তরিক স্নেহ ও ঐকান্তিক সমর্থনের ফসল মাত্র|বর্তমানে হৃদয়েশ্বরী মা সর্ব মঙ্গলা মন্দির প্রতিষ্ঠার পর থেকে অসংখ্য মানুষ যুক্ত হয়েছেন আমার এই সারাজীবন ব্যাপী আধ্যাত্মিক যাত্রার সাথে|
এই দুর্গম গন্তব্যে, আপনাদের সহযাত্রী হিসেবে পেয়ে আমি ধন্য|এবার থেকে আমার এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনারা পেয়ে যাবেন আমার সব আপডেট|থাকবে আমার লেখা, ভিডিও, বই এবং হৃদয়েশ্বরী মায়ের মন্দির সংক্রান্ত সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও এবং এই আধ্যাত্মিক কর্মকান্ডর সাথে যুক্ত হওয়ার সহজতম পথ|
হৃদয়েশ্বরী মা সর্বমঙ্গলা মন্দির
আমার গৃহ মন্দিরে নিত্য পূজিতা হতেন দেবী সর্বমঙ্গলা|তবে তা ছিল আমার ব্যক্তিগত পূজার স্থান|কিন্তু একটি অলৌকিক ঘটনার পর আমি এই গৃহ মন্দির ও মা সর্বমঙ্গলা কে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করি|বেশ কিছুকাল আগে দেবী স্বয়ং আমার স্বপ্নে আসেন ও আমায় নির্দেশ দেন নতুন করে আমার গৃহ মন্দিরের সংস্কার করে তার দ্বার স্বর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে|দেবীর আদেশ আমি মাথা পেতে গ্রহন করি ও পরিকল্পনা করি যে ভাবেই হোক এই আদেশ পালন করতেই হবে|দেবীর আদেশ মত এই বছর অর্থাৎ 2020 এর শ্রাবনী পূর্নিমায় শুরু হয় মা হৃদয়েশ্বরী সর্ব মঙ্গলা মন্দিরের পথ চলা|
আপনারা হয়তো জানেন যে প্রাচীনতম ও সর্বাধিক জনপ্রিয় সর্ব মঙ্গলা মন্দির অবস্থিত বর্ধমানে|যাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে বেশ কিছু অলৌকিক লোককাহিনী বা কিংবদন্তী|কথিত আছে, প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে শহর বর্ধমানের উত্তরাংশে বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ায় বাগদিরা পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে একটি শিলামূর্তি পেয়েছিল। সেটিকে প্রস্তর খণ্ড ভেবে তার উপরে শামুক–গুগলি থেঁতো করতো। পরবর্তীতে বর্ধমান মহারাজা সঙ্গম রায় স্বপ্নাদেশ পেয়ে শিলামূর্তিটিকে নিয়ে এসে সর্বমঙ্গলা নামে পুজো শুরু করেন।যদিও এই নিয়ে কিঞ্চিৎ মতপার্থক্য রয়েছে| পরবর্তীকালে ১৭০২ সালে টেরাকোটার নিপুণ কারুকার্য খচিত সর্বমঙ্গলা মন্দির নির্মাণ করেন মহারাজাধিরাজ কীর্তিচাঁদ মহতাব|মন্দিরের তুলনায় দেবী মূর্তি বহু প্রাচীন|কারুর কারুর মতে দেবী মূর্তি হাজার বা দুহাজার বছরের পুরোনো|পরবর্তীতে শেষ যুবরাজ উদয়চাঁদ মহতাব ট্রাস্ট কমিটি গঠন করেন এবং প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের পরম্পরা আজও চলে আসছে একি নিষ্ঠা ও ভক্তির সাথে|
বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী দেবী সর্বমঙ্গলা মূলত বাংলার লৌকিক দেবতা হলেও অনেকেই মন্দিরটিকে শক্তিপীঠ বলেন|সেই মতে এখানে দেবীর নাভি পরেছিল।দেবী সর্বমঙ্গলার ভৈরব এখানে মহাদেব|সর্বমঙ্গলা দেবীর মুল মূর্তিটি কষ্টি পাথরের অষ্টাদশভূজা সিংহবাহিনী ‘মহিষমর্দিনী’ মহালক্ষীরূপিণী|কষ্টি পাথরে নির্মিত হওয়ায় দেবী মূর্তি স্বাভাবিক ভাবেই ঘোর কৃষ্ণবর্ণের|তাছাড়া তিনি আদ্যা শক্তি মহামায়ার রূপ বিশেষ তাই করল বদনা হওয়াটাই স্বাভাবিক|
আমার গৃহমন্দিরে স্থাপিত হৃদয়েশ্বরী সর্বমঙ্গলার রূপ সৃষ্টির খেত্রে তার আদি ও প্রাচীনতম প্রচলিত রূপকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে|
আপনারা হয়তো জানেন জ্যোতিষ সংক্রান্ত সমস্যার প্রতিকার যেমন রত্ন বা কবজ ধারনের মাধ্যমে হয় তেমনি সঠিক পদ্ধতিতে মন্ত্র উচ্চারণ পূজা পাঠ ও হোম যজ্ঞের মাধ্যমে গ্রহদোষ খণ্ডনের মাধ্যমেও হয়|আর এই পদ্ধতিতে অত্যন্ত কার্যকর হয় প্রতিকার|এই প্রতিকারে জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে আপনাদের হৃদয়েশ্বরী মা সর্বমঙ্গলা মন্দিরে|বিশেষ তিথি তে হবে বিশেষ পুজো,যজ্ঞ আহুতি দান ও শাস্ত্র মতে গ্রহ দোষ খণ্ডন|
এই মন্দির ও এই আধ্যাত্মিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত হতে ও সব তথ্য পেতে নজর রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে এবং পন্ডিতজি ভৃগুর শ্রীজাতক এর অরিজিনাল সোশ্যাল মিডিয়া
পেজ, প্রোফাইল ও ইউটিউবের অনুষ্টানের দিকে