শিব কথার আজকের এই নতুন পর্বে আপনাদের স্বাগত|চিদ্ জগতে শিব সদাশিব রূপে অবস্থান করেন। কখনও কখনও শিবকে বৈকুণ্ঠের দ্বাররক্ষকও বলা হয়।আবার তিনি দেবাদিদেব অর্থাৎ দেবতাদের আরাধ্য দেবতা|তিনি তম গুনের অধিকারী তাই সংহার কর্তা|লৌকিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তিনি আপাদমস্তক সংসারী আবার তিনিই আদি অঘোরী|বৈচিত্রপূর্ণ এই একাধিক গুণাবলীর অধিকারী শিবের জন্মের উল্লেখ আছে শাস্ত্রে আছে তার পিতৃ পরিচয়|আদি শিব লিঙ্গ প্রকট হয়েছিলো আদি অন্ত হীন রূপে তবে জন্মসূত্রে শিবের পিতা হলেন ব্রহ্মা। ব্রহ্মার অনুরোধ সত্ত্বেও তাঁর প্রথম মানস পুত্র চতুষ্কুমারগণ প্রজা সৃষ্টিতে লিপ্ত হতে অস্বীকার করলে ব্রহ্মারঅন্তরে দুর্বিসহ ক্রোধ উৎপন্ন হয়েছিল। যা তিনি সংবরণ করার চেষ্টা করলেও তা তাঁর ভ্রূর মধ্য থেকে বেরিয়ে এসেছিল এবং নীললোহিত বর্ণের একটি শিশু উৎপন্ন হয়েছিল। জন্মের পরেই শিশু ক্রন্দন বা রোদন করতে শুরু করে। ব্রহ্মা তখন বলেছিলেন “হে সুরশ্রেষ্ট। যেহেতু তুমি উৎকন্ঠিত হয়ে রোদন বা ক্রন্দন করেছ তাই প্রজাসমূহ তোমাকে ‘রুদ্র’ নামে অভিহিত করবে।” এই হোলো সংক্ষেপে শিবের জন্ম বৃত্তান্ত ও তার রূদ্র নামের ব্যাখ্যা|শিবের নিত্যধাম-মহেশধাম জড়জগৎ ও বৈকুণ্ঠ লোকের মধ্যবর্তী। এ প্রসঙ্গে ব্রহ্মসংহিতাতে বলা হয়েছে “গোলোকনাম্নি নিজ ধান্মি তলে চ তস্য দেবী-মহেশ-হরি ধামসু তেষু তেষু” এখানে দেবীধাম অর্থে জড় জগৎ এবং হরিনাম অর্থে বৈকুন্ঠ লোক এবং মহেশ ধাম তার মধ্যবর্তী। সেই সদাশিবই জড় জগতে রুদ্র রূপে নিজেকে প্রকাশ করেন|আগামী পর্বে শিব সংক্রান্ত এমনই কোনো তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য ও ব্যাখ্যা নিয়ে ফিরে আসবো আপনাদের জন্যে|নিয়মিত লেখা ও ইউটিউবের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি টিভির অনুষ্ঠানেও নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আসছি প্রায় প্রতিদিন|পাশাপাশি সরাসরি ও অনলাইনে বহু মানুষের ভাগ্য গণনা ও প্রতিকার প্রদান চলছে|আপনারাও নিজের প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন ধন্যবাদ|