বাংলার শিব – ঝাড়েস্বর শিব মন্দির

592

পন্ডিত জি ভৃগুশ্রী জাতক

বাংলার শিব শীর্ষক এই ধারাবাহিক লেখনী তে আগেও বেশ কয়েকটি পর্বে বাংলার প্রাচীন ও জনপ্রিয় শিব মন্দির গুলি কথা লিখেছি|মেদিনীপুরে কানাশোলে রয়েছে এমনই এক প্রাচীন শিবমন্দির যা ঝাড়েশ্বর শিব মন্দির নামে খ্যাত| কানাশোলের এই ঝাড়েশ্বর শিব মন্দিরের ইতিহাস বেশ প্রাচীন|সাড়ে তিনশো বছরেরও বেশি আগে থেকে এখানে ঝাড়েশ্বর মহাদেবের পুজোর প্রচলন রয়েছে|১২৪১ বঙ্গাব্দে নাড়াজোলের রাজা অযোধ্যা রাম খানের দেওয়ান রামনারায়ণ জানা এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন। কঠিন অসুখ থেকে সেরে ওঠার পরেই তিনি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। মহাদেব এখানে ঝাড়েশ্বর রূপে পূজিত হন|শোনো যায় একটি দীঘি খননের সময়ে এখানে এই শিব লিঙ্গ আবিষ্কৃত হয়|কিংবদন্তী অনুসারে একটি গাভী গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করে এই শিব লিঙ্গকে নিজের দুধ দিয়ে স্নান করিয়ে যেতো| রাজ্যের পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এই মন্দির একদিকে স্থাপত্য শৈলীর অনুপম নিদর্শন, অন্যদিকে পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণীয়। এখানে রয়েছে মহাকাল ভৈরবের থান, নাটমন্দির, ভোগমন্দির|শোনা যায় ঝাড়েশ্বর মহাদেব খুব দয়ালু বহু ভক্ত তার কাছে মনস্কামনা করে ফল পেয়েছেন| শিব রাত্রি ও শ্রাবন মাসে বিশেষ তিথি গুলিতে এখানে বহু ভক্তের সমাগম হয়|দুর দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন ঝাড়েশ্বর মহাদেবের দর্শন করতে ও তার কৃপা লাভ করতে| আজকের পর্ব এখানেই শেষ করছি|আগামী পর্বে আবার নতুন কোনো শিব মন্দিরের কথা নিয়ে ফিরে আসবো বাংলার শিবের নতুন পর্বে|যারা সরাসরি সাক্ষাৎ চান বা অনলাইনে জ্যোতিষ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চান তারা নির্দ্বিধায় উল্লেখিত নাম্বারে ফোন করে সরাসরি কথা বলতে পারেন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|