পুরান রহস্য – পঞ্চকেদার সৃষ্টি হলো কিভাবে?

1270

শিব ক্ষেত্র বলতেই প্রথমেই কাশি বা অমরনাথ বা কৈলাস মানস সরোবরে নাম মনে হলেও শৈব্য দের কাছে পাঁচটি শিব মন্দিরের আলাদা মাহাত্ম্য আছে|এই পাঁচটি শিবমন্দিরকে একত্রে পঞ্চ কেদার ও বলে|এগুলি হলো যথাক্রমে কেদার নাথ, তুঙ্গনাথ যা উত্তরাখণ্ড এর রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় অবস্থিত পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিব মন্দির, মদমহেশ্বর,রুদ্রনাথ যা পাঁচটি কেদারের মধ্যে সবচেয়ে দুর্গম রুদ্রনাথ। কল্পেশ্বর ,কল্পগঙ্গা নদীর তীরে কল্পেশ্বর মন্দির।এই পাঁচটি মন্দির বা পঞ্চকেদার কিভাবে সৃষ্টির হোলো তা নিয়ে মহাভারতে একটি সুন্দর ঘটনার উল্লেখ আছে|কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৌরবদের হত্যা করলেন পঞ্চ পাণ্ডব এবং স্বজন হত্যা ও ব্রাহ্মণ হত্যার মত গুরুতর পাপের ভাগী হলেন। যুদ্ধ শেষে শোকে দুক্ষে মর্মাহত পাঁচ ভাই বেড়িয়ে পড়লেন দেবাদিদেব মহাদেব-এর খোঁজে। উদ্দেশ্য তাঁর আশীর্বাদ নিয়ে কিছুটা হলেও মনের শান্তি ফিরে পাওয়া।প্রথমেই তাঁরা গেলেন শিবধাম কাশীতে যেখানে রয়েছে অসংখ্য শিব মন্দির|কাশীতে শিবের দেখা না পেয়ে বিমর্ষ পঞ্চপাণ্ডব গেলেন গাড়োয়াল হিমালয়ে। সেখানে গুপ্তকাশীর কাছাকাছি তাঁরা দেখলেন প্রকাণ্ড এক ষাঁড় ঘুরে বেড়াচ্ছে। পঞ্চপাণ্ডবদের অন্যতম ভীম দর্শনমাত্র চিনে ফেললেন যে এই ষাঁড়ের ছদ্মবেশে লুকিয়ে আছেন স্বয়ং মহাদেব|ওদিকে পাণ্ডবদের দেখেই শিব পালানোর চেষ্টা করলেন। ছুটে গিয়ে ভীম ষাঁড়টিকে জড়িয়ে ধরলেন। শিব তৎক্ষণাৎ অদৃশ্য হয়ে গেলেন মাটীর নীচে এবং ওই আত্মগোপনরত অবস্থায় ছদ্মবেশে বিভিন্ন জায়গায় শিব পঞ্চপাণ্ডবদের দর্শন দেন। কেদারনাথে ষাঁড়ের কুঁজ আবির্ভুত হয়। তুঙ্গনাথে বাহুদ্বয়, রুদ্রনাথ-এ মস্তক, নাভি ও পেট আবির্ভূত হয় মদমহেশ্বর-এ, চুল ও জটা কল্পেশর-এ। এভাবেই খণ্ডিতভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল এই সকল জায়গায়। এরপর পাণ্ডব ভাইয়েরা এই পাঁচ জায়গাতেই শিবের মন্দির স্থাপন করলেন, যা বর্তমানে একত্রে পঞ্চ কেদার নামে হিন্দুদের পবিত্রতম তীর্থস্থান ও জগৎ প্রসিদ্ধ|আগামী পর্বে এমনই কোনো রোমাঞ্চকর পৌরাণিক ঘটনার সহজ ব্যাখ্যা নিয়ে ফিরে আসবো|আপাতত অনলাইন ও চেম্বারে পেশাগত ব্যাস্ততা বেশ বেড়েছে পাশাপাশি নিয়মিত টিভির অনুষ্ঠানতো আছেই|দেখতে থাকুন এবং পড়তে থাকুন আর জ্যোতিষ সংক্রান্ত প্রশ্ন বা সমস্যা নিয়ে সাক্ষাতের জন্যে যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|