বাংলার শিব: মহাকাল শিব মন্দির

542

চলছে শ্রাবন মাস এই মাসেই সমুদ্র মন্থন থেকে উঠে আসা বিষ পান করে নীল কণ্ঠ হয়ে ছিলেন মহাদেব|এই শ্রাবন মাসেই তিনি সস্ত্রীক মর্তের অধিবাসীদের দুক্ষ কষ্ট দূর করতে আসেন বলে বিশ্বাস করা হয়|গোটা শ্রাবন মাস জুড়েই দেবাদিদেব মহাদেব কে নিয়ে লিখবো পাশাপাশি থাকবেন ইউটিউবের বিশেষ অনুষ্ঠান|আজকের পর্বে বাংলার এক জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ শিব মন্দিরের কথা আপনাদের জানাবো| উত্তর বঙ্গের দার্জিলিং অনেকেরই প্ৰিয় ভ্রমণ স্থান|এই দার্জিলিং এর চৌরাস্তা থেকে কয়েক মিনিটের হাঁটা পথে পৌঁছানো যায় মহাকাল মন্দিরে যা বাংলার প্রাচীনতম শিব মন্দির গুলির অন্যতম| দার্জিলিং স্থানটির সাথে আধ্যাত্মিকতার গভীর সম্পর্ক রয়েছে|শোনা যায় ঐ জায়গাটি কোনো এক সময় সিকিমের রাজারদের অধীনে থাকার সময় সেখানে বৌদ্ধদের আশ্রম ছিল। বৌদ্ধ সন্যাসীরা এই জায়গার নামকরন করেছেন ‘দোর্জে’ ও ‘লিং’ দুটি শব্দ থেকে যার অর্থ বজ্রের দেশ| মহাকাল শিব মন্দিরের মূল মন্দিরের সামনে প্রবেশ দ্বারের কাছেই রয়েছে শিবের বাহন নন্দীর মূর্তি|এই মন্দিরের বিশেষত্ব হলো এখানে হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে এক অপূর্ব সহাবস্থান চোখে পড়ে| গোলাকার মন্দিরের মাঝখানে শিবলিঙ্গ ও বুদ্ধ মূর্তির সাথে হিন্দুদের ব্রাহ্মন পুরোহিত ও বৌদ্ধদের সন্যাসীকে একসাথে নিজ নিজ আরাধ্য ভগবানের অর্চনা করতে দেখা যায়|হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয় ধর্মের মানুষের কাছেই স্থানটি অত্যন্ত পবিত্র এবং আস্থার| আগামী দিনে দার্জিলিং ভ্রমন কালে পাহাড় দর্শনের পাশাপাশি অবশ্যই মহাকাল মন্দির দর্শক করুন|আগামী পর্বে অন্য কোনো শিব মন্দিরের কথা নিয়ে ফিরে আসবো|এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যারা জ্যোতিষ পরামর্শ বা গ্রহ দোষ খণ্ডন করতে চান তারা যোগাযোগ করতে পারেন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|