Home Blog

ভক্তের ভগবান – গদাধর পন্ডিতের কথা

ভক্তের ভগবান – গদাধর পন্ডিতের কথা

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

শ্রী চৈতণ্যদেব যদি যদি সাক্ষাৎ বিষ্ণু অবতার হন তবে শ্রী গদাধর পন্ডিত ছিলেন রাধারানীর অবতার। তার মধ্যে রাধা তত্ত্বের প্রকাশ ঘটেছিলো। আজ ভক্তের ভগবানের এই পর্বে শ্রী গদাধর পন্ডিতের ভক্তি নিয়ে লিখবো।

গদাধর পন্ডিত বয়সে নিমাই পন্ডিতের চেয়ে সামান্য ছোটো ছিলেন। শৈশব থেকেই তাদের মধ্যে সখ্যাতা গড়ে ওঠে। নিমাই জননী শচীমাতা গদাধরকে তার আরেক পুত্র রূপেই দেখতেন।
একবার কৃষ্ণ প্রেমে উন্মাদ প্রায় গৌরাঙ্গ যখন নিজের বুক চিরে কৃষ্ণ দর্শন করানোর উপক্রম করেন তখন গদাধর পন্ডিত বহু চেষ্টায় তাকে থামান এবং এই জন্যে শচি মাতা তাকে অত্যাধিক স্নেহ করতেন।

সন্ন্যাস নেয়ার পর নিয়মিত গদাধর পন্ডিত চৈতণ্যদেবকে ভাগবত পাঠ করে শোনাতেন।
চৈতণ্য দেব তার সান্নিধ্যে এলেই কৃষ্ণ বিরহ অনুভব করতেন এবং ভাব তন্ময় হয়ে যেতেন।
শ্রী রাধিকার সমস্ত গুন ফুটে উঠতো গদাধর পন্ডিতের মধ্যে।

একবার পুরীতে থাকা কালীন শ্রীমদ্ভাগবত শোনার পর মহাপ্রভু গদাধর পণ্ডিতাকে বললেন, “গদাধর, আমি তোমাকে আমার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পত্তি দিতে চাই। তুমি কি তা গ্রহণ করবে?” গদাধর পণ্ডিত রাজি হলে মহাপ্রভু বললেন, “এটা আমার হৃদয়ের সম্পত্তি।” এরপর তিনি বালি সরাতে শুরু করলেন এবং সেখান থেকে বেরিয়ে এলো এক সুন্দর কৃষ্ণ মূর্তি মহাপ্রভু তখন শ্রী গদাধর পণ্ডিতকে অনুরোধ করলেন, “দয়া করে তাঁকে নিয়ে যাও এবং মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত করে নিত্য পুজোর ব্যাবস্থা করো।

বাগান বা টোটার মধ্যে থেকে এই গোপীনাথ মূর্তি প্রকট হয়েছিলো তাই নাম হয় টোটা গোপীনাথ। তারপর থেকে নিজের দেহ মন সর্বস্ব গদাধর পন্ডিত সমর্পন করেন টোটা গোপীনাথকে। মহাপ্রভু যতদিন জীবিত ছিলেন তিনি নিয়মিত গদাধর পন্ডিতের গৃহে টোটা গোপীনাথ দর্শনে যেতেন।
মহাপ্রভুর অন্তর্ধানের পর বিমর্শ গদাধর পন্ডিত আর বেশি দিন দেহ ধারণ করেননি।ভগবানের বিরহ ভক্তের কাছে অসহানীয়।আজও টোটা গোপীনাথ মন্দির গদাধর পন্ডিত এবং মহাপ্রভুর স্মৃতি ধরে রেখেছে যা সব বৈষ্ণবের কাছে একটি অত্যন্ত পবিত্র এবং দর্শনীয় স্থান।

ফিরে আসবো ভক্তের ভগবানের পরবর্তী
পর্ব নিয়ে। থাকবে আরো এক ভক্ত এবং একটি
বিশেষ লীলা। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

ভক্তের ভগবান – কৃষ্ণ ভক্ত মাধবেন্দ্র পুরী

ভক্তের ভগবান – কৃষ্ণ ভক্ত মাধবেন্দ্র পুরী

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

মাধবেন্দ্র পুরী ছিলেন আধ্যাত্মিক গুরু চৈতন্য মহাপ্রভুর আধ্যাত্মিক গুরু। শ্রীল মাধবেন্দ্র পুরী কতৃক প্রতিষ্ঠিত গোপাল আজ শ্রীনাথজি হিসাবে পূজিত হন।আজকের পর্বে এই মহান

ভক্তকে নিয়ে লিখবো।

 

শ্ৰীহট্টর ধর্মনিষ্ঠ ব্ৰাহ্মণ পরিবারে তাঁর জন্ম। ব্যাকরণ, কাব্য ও ধর্মশাস্ত্রে পারদর্শী মাধবেন্দ্ৰ চতুষ্পাঠী স্থাপন করে অধ্যাপনা শুরু করেন।পরবর্তীতে সংসার ত্যাগ করে পুরী সম্প্রদায়ের এক সন্ন্যাসীর কাছে দীক্ষা নিয়ে আধ্যাত্মিক জীবন শুরু করেন।

 

মাধবেন্দ্র পুরীর কৃষ্ণ প্রেম ছিল খুবই অস্বাভাবিক। আকাশে কালো বৃষ্টির মেঘ দেখলেই তিনি তাঁর মধ্যে তাঁর আরাধ্য কৃষ্ণকে খুঁজে পেতেন এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ে যেতেন । দিনরাত্রি তিনি কৃষ্ণপ্রেমে ডুবে থাকতেন কখনও হাসতেন, কখনও কাঁদতেন, কখনও উচ্ছৃঙ্খল হৈ চৈ করতেন।

 

মাধবেন্দ্র পুরীকে প্রথম দেখে নিত্যানন্দ প্রভু চিৎকার করে বললেন, “আজ আমি আমার সমস্ত পবিত্র স্থানে ভ্রমণের ফল পেয়েছি। মাধবেন্দ্র পুরীর চরণ দেখে আমি ভগবানের প্রেমের ভান্ডার পেয়েছি, এবং এইভাবে আমার জীবন ধন্য হয়ে উঠেছে।”

 

একবার বৃন্দাবনে অবস্থান কালে অভুক্ত মাধবেন্দ্র পুরী জেদ ধরলেন তিনি নিজে চেয়ে বা মাধুকরী করে আহার করবেন না।কৃষ্ণ স্বয়ং চাইলে তার খিদে মেটাবেন। ভগবান তার ভক্তের কষ্ট সইতে পারলেন না। এক গোপ বালক রূপে তিনি ক্ষীর নিয়ে এলেন এবং বললেন এটা তার জন্যে

এক ভক্ত পাঠিয়েছেন এবং তিনি যেনো খেয়ে নিয়ে পাত্রটি রেখে দেন। তিনি এসে নিয়ে যাবেন। মাধবেন্দ্র পুরী আহার সম্পন্ন করলেন।কিন্তু পাত্র নিতে কেউ এলেন না। ঘুমের মধ্যে তিনি দেখলেন তার আরাধ্য গোপীনাথ তাকে দর্শন দিয়েছেন। তিনি ভগবানের দর্শন পেয়ে ধন্য অনুভব করলেন। বুঝলেন সেই গোপ বালক গোপাল স্বয়ং।

 

মাধবেন্দ্র পুরী সম্পর্কে কবিরাজ গোস্বামী লিখেছেন— ‘পৃথিবীতে রোপণ করি গেলা প্রেমাঙ্কুর/সেই প্ৰেমাঙ্কুরের বৃক্ষ চৈতন্য ঠাকুর’

 

আবার এক ভক্তের কথা নিয়ে যথা সময়ে

ফিরে আসবো থাকবে আরো একটি

অলৌকিক লীলা। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে বিশেষ পর্ব : মহা কুম্ভর আধ্যাত্মিক তাৎপর্

মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে বিশেষ পর্ব

মহা কুম্ভর আধ্যাত্মিক তাৎপর্

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

পবিত্র মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে আজ থেকে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা। এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে গঙ্গা, যমুনা ও পৌরাণিক সরস্বতীর সঙ্গমে অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলা বিশ্বের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় মিলন উৎসব।মকর সংক্রান্তর এই পুন্য তিথিতে আজ কুম্ভ মেলার আধ্যাত্মিক এবং ধর্মীয় তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করবো।

প্রতি ৪ বছরে হয় কুম্ভ, ৬ বছরে হয় অর্ধকুম্ভ ও ১২ বছরে হয় পূর্ণ কুম্ভ। আর ১৪৪ বছর পর আসে মহাকুম্ভ।এবারের মহাকুম্ভকে বিশেষ বিবেচনা করা হচ্ছে কারণ ১৪৪ বছর পরে একটি বিরল গ্রহগত সংযোগ এই বছর সৃষ্টি হতে চলেছে।পৌরাণিক কালে সমুদ্র মন্থনের সময়ে যে রূপ গ্রহের অবস্থান ছিলো এবছর সেই রকম গ্রহের অবস্থান থাকবে।

পুরান অনুসারে একবার ঋষি দূর্বাসার অভিশাপে ইন্দ্র ও অন্যান্য দেবতারা তাদের ক্ষমতা হারান এবং স্বর্গ হয়ে যায় শ্রী হীন । সুযোগ বুঝে অসুররা দেবতাদের আক্রমণ করে এবং এই যুদ্ধে দেবতারা পরাজিত হন। তখন সমস্ত দেবতা একত্রে ভগবান বিষ্ণুর কাছে সাহায্যের জন্য গেলেন এবং ভগবান বিষ্ণু অসুরদের সঙ্গে তাদের সমুদ্র মন্থন করে সেখান থেকে অমৃত আহরণের পরামর্শ দেন।

দেবতা এবং অসুররা সমুদ্র মন্থন করলে অমৃতের পাত্র বের হলে অসুররা তা অধিকার করে নিতে চাইলেন। অসুরদের হাতে অমৃত অমৃত গেলে তারা অমর এবং অজেয় হয়ে যাবে। সৃষ্টি ধ্বংস হতে পারে তাই ভগবান ইন্দ্রের পুত্র জয়ন্ত তা নিয়ে আকাশে উড়ে যান । অসুররাও অমৃত পাত্র নিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এরপর অমৃত কলসের জন্য বারো দিন ধরে দেবতা ও অসুরদের মধ্যে যুদ্ধ হয়। সেই সময়ে অমৃত কলশের কিছু ফোঁটা প্রয়াগরাজ এবং পার্শবর্তী কিছু অঞ্চলে পড়েছিল তাই এই পবিত্র স্থানে মহাকুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়।

মহাকুম্ভে স্নানের কিছু শাস্ত্রীয় রীতি নীতি আছে প্রথমে শাহী স্নানে অংশ নেন ন নাগা সাধুরা। নাগা সাধুদের স্নানের প্রথা বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে।তারপর স্নান করেন অন্যান্য সাধু সন্ন্যাসীরা এবং গৃহস্তরা।সাধারণত স্নান করার সময়, ৫ টি ডুব দিন, তবেই স্নান সম্পূর্ণরূপে বিবেচিত হবে। স্নানের পর সূর্য্য প্রণাম করে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করা হয়। স্নান শেষে দান
ধ্যান করতে হয় এবং বজরংবলী এবং বাসুকি কে প্রণাম করতে হয়।

এই বিশেষ তিথিতে মহাকুম্ভে স্নান করলে সর্ব প্রকার কষ্ট দূর হয় এবং পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং জীবাত্মা মোক্ষ লাভ করতে সক্ষম হয়।

সবাইকে জানাই মকর সংক্রান্তির শুভেচ্ছা এবং
অভিনন্দন। ধারাবাহিক আধ্যাত্মিক আলোচনা নিয়ে ফিরে আসবো আগামী পর্বে। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

স্বামীজীর জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ পর্ব স্বামী বিবেকানন্দর অলৌকিক ক্ষমতা

স্বামীজীর জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ পর্ব

স্বামী বিবেকানন্দর অলৌকিক ক্ষমতা

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ তার প্রিয় শিষ্য নরেনকে নিজের সর্বস্ব দিয়ে নিঃস্ব হয়ে ছিলেন এবং স্বামী বিবেকানন্দ হয়ে উঠেছিলেন সর্বজ্ঞানী এবং অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী আজ জন্মদিনে
তার জীবনের কিছু অদ্ভুত ও অলৌকিক ঘটনার মাধ্যমে তাকে স্মরণ করবো।

এক দিনে কী ভাবে গোটা বই পড়া এবং মনে রাখা সম্ভব সম্ভব তা জানা সত্যি কঠিন কাজ, অলৌকিক শক্তি ছাড়া বোধ হয় সম্ভব নয়, আর এই অলৌকিক ক্ষমতা ছিলো বিবেকানন্দর
মেরঠে থাকাকালীন স্বামীজি লাইব্রেরি থেকে বই আনাতেন। স্বামী অভেদানন্দ বইগুলি নিয়ে আসতেন। আবার পরের দিনই বইগুলি পড়ে তা ফেরত দিয়ে দিতেন স্বামীজি। এক দিন লাইব্রেরিয়ানের মনে সন্দেহ হয়। একদিন স্বামীজি লাইব্রেরিতে আসতেই, সেই বই থেকে জিজ্ঞাসা করলেন। স্বামীজি শুধু উত্তর দিলেন না, কোন পাতায় কী লেখা রয়েছে প্রায় সবই বলে দিলেন। যা দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন ওই লাইব্রেরিয়ান।
এমনই ছিলো স্বামীজীর অদ্ভুত স্মৃতি শক্তি

স্বামীজীর মধ্যে এক ধরণের প্রশান্তি ছিলো যারা তার সংস্পর্শে আসতেন তারা এক আধ্যাত্মিক শান্তি অনুভব করতেন। একবার গুরুভাইদের সাথে হিমালয় ভ্রমণ কালে এক গৃহস্ত ভক্তের বাড়িতে তারা আশ্রয় নিয়ে ছিলেন। গৃহস্তের এক শিশুকে কাঁদতে দেখে স্বামীজি সারারাত তাকে কোলে নিয়ে জপ করে কাটিয়েছিলেন আশ্চর্য বিষয় সারা রাত শিশুটি আর কাঁদেনি।

একবার মঠের বারান্দায় সারা রাত স্বমীজীকে পায়চারি করতে দেখে তার এক গুরুভাই তাকে জিগেস করলেন কি হয়েছে। স্বামীজী বললেন কথাও বহু মানুষ বিপদে পড়েছে। কষ্ট পাচ্ছে।
পরদিন জানা যায় ভারত থেকে বহু দুরে সমুদ্রে একটি জাহাজ দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই রাতে এবং
বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

ফরাসী গায়িকা মাদাম এমা কাল্ভের সাথে শিকাগোয় ১৮৯৪ খ্রিঃ সাক্ষাৎ হয় স্বামী বিবেকানন্দর, মাদাম কাল্ভে তখন জীবনের প্রতি সম্পুর্ন বীতশ্রদ্ধ এবং আত্মহত্যা প্রবণ হয়ে পড়েছিলেন সেটাও স্বাভাবিক কারন তিনি তখন মেজাজী, একগুঁয়ে এবং পুরোমাত্রায় ভোগী মহিলা এবং স্বাভাবিক কারণেই তাঁর জীবনে শান্তি ছিল না, ঝড় বয়ে যাচ্ছে তার অন্তরে|তাকে দেখেই স্বামীজী বলে উঠলেন,বাছা, কী ঝোড়ো হাওয়াই না তুমি নিয়ে এলে। শান্ত হও।’ তারপর অতি শান্তস্বরে মাদামের জীবনের একান্ত ব্যক্তিগত ঘটনা বলতে লাগলেন|যেন এক অলৌকিক ব্যাপার। ‘আপনি এত সব জানলেন কি করে?এই প্রশ্নের উত্তরে স্বামীজী বললেন,আমি খোলা বইয়ের মতন তোমার ভেতরটা পড়তে পারি।শুধু তাই নয় স্বামীজীর কথায় তার অন্তরের সব ঝড় থেমে গেলো শান্ত হলেন তিনি,স্বামীজীর শিষ্য হয়ে সব ছেড়ে আধ্যাত্মিক পথ আপন করে নিলেন|

জন্মদিনে শ্রদ্ধা এবং প্রনাম জানাই এই মহান সন্ন্যাসীকে|ফিরে আসবো ধারাবাহিক আধ্যাত্মিক আলোচনা নিয়ে আগামী পর্বে। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

ভক্তের ভগবান – শ্রী কৃষ্ণ এবং বারবারিক

ভক্তের ভগবান – শ্রী কৃষ্ণ এবং বারবারিক

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

রাজস্থানের সিকারে খাটুশ্যামজির বড় মন্দির রয়েছে।অসংখ্য ভক্তসমাগম হয় এই মন্দিরে।

মনে করা হয় খাটু শ্যাম এর কাছে করা প্রতিটি মনোস্কামনা পূর্ণ হয়। এই খাটু শ্যাম আসলে ঘটৎকচের পুত্র বারবারিক। শ্রী কৃষ্ণের বরে তিনি আজও পূজিত হচ্ছেন।

 

মহাদেব বারবারিককে বর দিয়েছিলেন, তিনি তাঁর ‘তিনটি তীর’ দিয়েই বিশ্বজয় করতে পারবেন। প্রথম তীরটি দিয়ে বারবারিক যা যা ধ্বংস করতে চান সেগুলি চিহ্নিত করতে পারতেন। দ্বিতীয় যে তীর তা দিয়ে বারবারিক যাকে যাকে বাঁচাতে চান তাদেরকে চিহ্নিত করতে পারতেন। আর তৃতীয় তীরটি দিয়ে প্রথম তীর দ্বারা চিহ্নিত সকল বস্তু ধ্বংস করতে পারতেন।

 

এই তিন তীর নিয়েই কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে লড়তে উদ্যোগী হন বারবারিক। তিনি চাইতেন যে পক্ষ হারবে তিনি তার হয়ে যুদ্ধ করবেন। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ অচিরেই বুঝেছিলেন, বারবারিকের যুদ্ধে অংশগ্রহণ কোনও পক্ষের জন্যই মঙ্গলজনক হবে না। বারবারিক এর জন্য এই যুদ্ধ শেষই হবেনা। আদি অনন্ত কাল ধরে চলবে।তখন শ্রীকৃষ্ণ এক ব্রাহ্মণের ছদ্মবেশে তাঁর পথ আগলে দাঁড়ান। আর জিজ্ঞেস করেন, বারবারিক কার পক্ষে লড়তে চান।বারবারিক বলেন তিনি পক্ষ বদলে বদলে মায়ের আদেশ মতো দুর্বলের পক্ষে লড়বেন।

অর্থাৎ বারবারিক যদি যুদ্ধ করেন তাহলে শেষে তিনিই শুধু বেঁচে থাকবেন। আর কেউ নয়।

 

তাই এরপর কৃষ্ণ ভিক্ষা হিসেবে বারবারিকের মস্তক চান। এবারে বারবারিক বুঝতে পারেন যে এই ব্রাহ্মণ সাধারণ কেউ নন। পরিচয় জানতে চাইলে কৃষ্ণ নিজের রূপ ধারণ করেন। আর তারপর বারবারিক তারপর কৃষ্ণকে নিজের মস্তক কেটে নিবেদন করেন।

 

তবে মস্তক নিবেদন করলেও বারবারিক শর্ত দিয়েছিলেন। তিনি কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ দেখতে চান। ফলে শ্রীকৃষ্ণ বারবারিকের মস্তক একটি উঁচু ঢিবির ওপর রাখেন। যাতে বারবারিক অনায়াসে যুদ্ধ দেখতে পান।যুদ্ধ শেষে বারবারিকের মস্তক বলে ওঠে শ্রীকৃষ্ণ পাণ্ডবদের পক্ষে ছিলেন বলেই তাঁরা জিততে পেরেছেন।

 

শ্রীকৃষ্ণ বারবারিককে বর দিয়েছিলেন যে তিনি কলিযুগে খাটুশ্যাম নামে পূজিত হবেন। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, “তোমার পুজো আমি আমার নিজের পুজো বলেই গ্রহণ করব।” সেই থেকেই খাটু শ্যামের প্রসিদ্ধি সর্বত্র ছড়িয়ে পরে।

 

আবার ভক্ত এবং ভগবানের লীলা নিয়ে পরবর্তী পর্বে ফিরে আসবো। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

ভক্তের ভগবান – শ্রী চৈতন্যদেব এবং জগাই মাধাই

ভক্তের ভগবান – শ্রী চৈতন্যদেব এবং জগাই মাধাই

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

যুগাবতার শ্রী চৈতন্যদেবের নাম এলেই আসে জগাই-মাধাইয়ের নাম। চৈতন্য দেবের কৃষ্ণ নাম প্রচারে বাধা দেওয়া জগাই মাধাই পরে কৃষ্ণ নামে বিভোর হয়ে পড়েন।পাপে নিমজ্জিত এই দুই ভক্তকে উদ্ধার করেছিলেন মহাপ্রভু। তার এই লীলা জগাই মাধাই উদ্ধার লীলা নামে প্রসিদ্ধ। আজকের পর্বে ভগবান এবং ভক্তের এই লীলা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।

 

একবার নবদ্বীপ এর পথে নাম হরি নাম প্রচার করছিলেন মহাপ্রভুর দুই সঙ্গী হরিদাস ঠাকুর এবং নিত্যানন্দ প্রভু। সেই সময়ে তারা জগাই মাধাই নামে দুই মহা পাপী এবং ব্যাভিচারির খপ্পরে পড়েন। এই দুই ভাই সমভ্রান্ত পরিবারের হয়েও মদ্যপান, মাংস আহার এবং অবৈধ নারী সঙ্গে ডুবে থাকতো।নিত্যানন্দ প্রভু তাদের উদ্ধার এর জন্য হরি নাম করার অনুরোধ করলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মাধাই তার মাথায় ভাঙা কলসির কানা দিয়ে আঘাত করলেন। রক্তাক্ত নিত্যানন্দ প্রভু ক্রোধ না করে তাদের ভগবানের আশ্রয় নিতে বললেন। জগাই তার পা জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চাইলেন কিন্তু ততক্ষন এই সংবাদ পৌঁছে গেছে মহাপ্রভুর কাছে। মহা প্রভু ক্রোধের আগুনে জ্বলতে জ্বলতে ছুটে এলেন এই এই দুই পাপীকে স্বাস্তি দিতে চাইলেন। কিন্তু হরিদাস ঠাকুর এবং নিত্যানন্দ প্রভু তাকে মনে করলেন এই কলি কালে পাপীদের উদ্ধার করতেই তার আবির্ভাব হয়েছে। ক্রোধ করা উচিৎ নয়।এতে মহাপ্রভু শান্ত হলেন এবং অনুতপ্ত জগাই এবং মাধাইকে তিনি তার চরণে স্থান দিলেন।পরবর্তীতে জগাই মাধাই হয়ে উঠেছিলেন পরম বৈষ্ণব এবং মহাপ্রভুর একনিষ্ঠ ভক্ত।

 

বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর জন্মভিটা তথা মহাপ্রভুর শশুরবাড়ি কাছেই আছে মাধাইপুর গ্রাম। জানা যায়, মাধাই-এর নাম অনুসারেই এলাকার নাম হয় মাধাইপুর। প্রায় জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে এই জগাই-মাধাই মন্দির। মন্দিরের বর্তমান সেবাইত জানান, জাগাই-মাধাই এর পৈতৃক ভিটা বর্তমানে নদীগর্ভে। এখন যে জায়গায় তাঁদের নিত্যপুজো হয়।

 

আবার এক ভক্ত এবং ভগবানের অলৌকিক লীলা প্রসঙ্গ নিয়ে ফিরে আসবো যথা সময়ে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

ভক্তের ভগবান – জগন্নাথের মুসলিম ভক্ত শালবেগ

ভক্তের ভগবান – জগন্নাথের মুসলিম ভক্ত শালবেগ

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

পুরীর জগন্নাথ দেব জগতের নাথ। সারাবছর তার মন্দিরে প্রবেশে অনেক বিধি নিষেধ আছে। সনাতন ধর্মের বাইরের কেউ তার মন্দিরে প্রবেশের অধিকার পায়না। তবে রথ যাত্রার সময় প্রভু নিজে বেরিয়ে আসেন মন্দির থেকে এবং জাতী ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রভু তার ভক্তদের সাথে মিলিত হন।

 

এই পুরীর মন্দির থেকে প্রায় দুশো মিটার দূরে অবস্থিত শালবেগ মাজার। এই মাজারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে জগন্নাথদেবের এক মুসলিম

ভক্তের কথা।আজকের পর্বে এই ভক্ত প্রসঙ্গে আলোচনা করবো।

 

প্রতি বছর মাসির বাড়ি যাওয়ার পথে প্রথা মেনে পথে এক জায়গায় আচমকা দাঁড়িয়ে পড়ে জগন্নাথ দেবের রথ। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে তাঁর এক মুসলিম ভক্তকে দর্শন করতেই প্রতি বছর পথে একটি মাজারের সামনে জগন্নাথের রথ দাঁড়িয়ে পড়ে।

 

মুঘল বাদশাহ জাহাঙ্গীরের আমলে বাংলার গভর্নর ছিলেন জাহাঙ্গীর কুলি খান। এক হিন্দু ব্রাহ্মণ ঘরের মহিলাকে তিনি বিয়ে করেছিলেন। জগন্নাথের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন ওই মহিলা। তাদের সন্তান হলেন শালবেগ ধর্মে মুসলিম হলেও মায়ের প্রভাবে তিনি হয়ে উঠে ছিলেন জগন্নাথ দেবের পরম ভক্ত। কিন্তু পুরীর মন্দিরে অহিন্দুর প্রবেশ নিষিদ্ধ হওয়ায় তিনি কখনও জগন্নাথ দেবকে দর্শন করতে পারেননি।

 

মৃত্যুর আগে তিনি মন্দিরের কাছে একটি কুঁড়েঘর তৈরি করে সেখানেই জীবনের শেষ কটি দিন কাটিয়ে যান। প্রচলিত বিশ্বাস, শেষ শয্যায় ওই ভক্তের কান্না ঈশ্বরের হৃদয় স্পর্শ করে।তিনি শালবেগকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে তাকে প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি নিজে আসবেন তার সাথে দেখা করতে।

তারপর রথের দিন রথ সেই কুটিরের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়ে আচমকা রথের চাকা থেমে যায় এবং বহু চেষ্টায় রথের চাকা নড়ানো যায়নি। তারপর থেকে প্রতিবছর রথ যাত্রার সময়ে সেই

নিদ্দিষ্ট স্থানে রথ থামানো হয়।

 

এখন ওই স্থান একটি মাজারে পরিণত হয়েছে এবং প্রতি বছর রথযাত্রার সময় ওই মাজারের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ভক্তকে দর্শন দিয়ে যান জগন্নাথ মুঘল আমল থেকে আজও এই প্রথা

চলে আসছে।

 

ভক্তের ভক্তি যদি খাঁটি হয় ভগবান কৃপা করবেনই

এই ঘটনা থেকে এই চরম সত্য

আরো একবার প্রমাণিত হয়।

 

ভক্তের ভগবানের পরবর্তী পর্বে আবার এমনই

এক ভক্ত এবং ভগবানের লীলা নিয়ে

ফিরে আসবো। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

ভক্তের ভগবান – শ্রী কৃষ্ণ এবং দ্রৌপদী

  1. ভক্তের ভগবান – শ্রী কৃষ্ণ এবং দ্রৌপদী

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

শ্রী কৃষ্ণ যুগে যুগে অবতার রূপে পৃথিবীতে এসেছেন এবং নানা রকম লীলা করছেন।

তার সর্বদা ছিলেন তার লীলা সঙ্গিনীরা।

সত্য যুগে যিনি বেদবতী ত্রেতাতে তিনিই সীতা এবং দ্বাপর যুগে তিনিই দ্রৌপদী। তার কৃষ্ণ ভক্তির জন্য তার আরেকনাম কৃষ্ণা।

 

পাঞ্চালরাজ দ্রুপদের যজ্ঞ বেদী থেকে দ্রৌপদীর আবির্ভাব হয়ে ছিলেন এবং তার স্বয়ংবর সভায় পৌঁছে পঞ্চ পান্ডব তাদের বীরত্ব এবং শ্রী কৃষ্ণের আশীর্বাদের জোরে দ্রৌপদীকে জয় করেন।

 

শ্রী কৃষ্ণ এবং দ্রৌপদীর সম্পর্ককে নানা ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। আসলে পঞ্চপান্ডবের স্ত্রী হয়েও আজীবন তিনি কৃষ্ণ ভক্তে মজে ছিলেন।

 

যখন রাজ সভায় কৌরব কতৃক দ্রৌপদীর

বস্ত্র হরণ হচ্ছিলো তখন স্বয়ং শ্রী কৃষ্ণ তার সন্মাম রক্ষা করেন। এখানে অনেকই প্রশ্ন করেন কৃষ্ণ যার পাশে আছেন তাকে নিজের সন্মান রক্ষার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো কেন।

আসলে শ্রী কৃষ্ণ দ্রৌপদীর ভক্তির পরীক্ষা নিয়ে ছিলেন। যতক্ষণ পর্যন্ত দ্রৌপদী নিজের সন্মান রক্ষার ভার নিজের হাতে রেখেছিলেন ততক্ষন পর্যন্ত শ্রী কৃষ্ণ হস্থক্ষেপ করেননি যেই মুহূর্তে দ্রৌপদী সমস্ত ভার কৃষ্ণের হাতে অর্পণ করে নিজেকে তার চরনে সম্পূর্ণ রূপে সমর্পন করলেন তখন শ্রী কৃষ্ণ নিজেই অবতীর্ণ হলেন।

 

পরবর্তীতে দ্রৌপদীর ইচ্ছেতেই পান্ডবরা কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে অংশ নেন এবং কৌরবদের পরাজিত করেন। সেখানেও নেতৃত্বে স্বয়ং শ্রী কৃষ্ণ।

 

এই যুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল। তাঁর হাত থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। ফলে পান্ডব-ঘরণী দ্রৌপদী ক্ষতস্থানটিতে নিজের শাড়ির কিছু অংশ ছিঁড়ে বেঁধে দেন। এর ফলে অভিভূত হয়ে কৃষ্ণ দ্রৌপদীকে নিজের ভগিনীর বলে ঘোষণা করেন এবং কোনও না কোনও দিন এর প্রতিদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। দ্রৌপদী কর্তৃক কৃষ্ণের হাতে কাপড় বেঁধে দেওয়ার এই ঘটনাটি থেকেই পবিত্র রাখীবন্ধন উৎসবের প্রচলন ঘটে।

 

ফিরে আসবো ভক্ত এবং ভগবানের পরবর্তী পর্ব নিয়ে যথা সময়ে। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

ভক্তের ভগবান – কৃষ্ণভক্ত রাজা জয়মাল

ভক্তের ভগবান – কৃষ্ণভক্ত রাজা জয়মাল

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

ভগবান যেমন করুনা ময় তেমনই অধর্মের বিনাশ করতে বা নিজ ভক্ত কে রক্ষা করতে তিনি রূদ্র মূর্তিও ধারণ করতে পারেন। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে তিনি যেমন পান্ডবদের কূটনৈতিক জ্ঞান দান করে ছিলেন। তেমনই রাজা জয়মাল কে প্রতিবেশী রাজার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে নিজেই

অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছিলেন। আজকের পর্বে আপনাদের সেই ঘটনার কথা জানাবো।

 

ভক্তমালা গ্রন্থে রাজা জয়মালের কথা সুন্দর ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। রাজা জয়মাল কৃষ্ণকে শ্যামসুন্দর রূপে পুজো করতেন এবং রাজ্য পরিচালনার থেকে কৃষ্ণ প্রেমেই বেশি মজে থাকতেন। তার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার প্রতিবেশী রাজ্যের রাজা জয়মালের রাজ্য আক্রমণ করে বসেন। যুদ্ধের জন্য জয় মাল প্রস্তুত ছিলেন না। তাই যুদ্ধে তার পরাজয় প্রায় নিশ্চিত

হয়ে পরে। যখন তার সৈন্যরা যুদ্ধ ক্ষেত্র ছেড়ে পলায়ন করছে এবং যেকোনো মুহূর্তে শত্রুরা রাজ্য দখল করবে এমন সময়ে জয়মালের মন্ত্রীরা তাকে আসন্ন বিপদের কথা জানাতে ছুটে আসেন।

জয়মল তার উপাসনায় অবিচল থেকে বলেন

“এই রাজ্য আমার ভগবান কৃষ্ণ আমাকে দিয়েছিলেন, এবং তিনি যদি এটি কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তবে আমি কী করতে পারি? কিন্তু তাঁর আশীর্বাদ আমার সঙ্গে থাকলে কেউ আমার ক্ষতি করতে পারবে না।”

 

জয়মাল যখন তাঁর পূজা শেষ করে যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছেন, তখন তিনি দেখতে পান তাঁর ঘোড়া হাঁপাচ্ছে এবং ঘামে ভিজে যাচ্ছে। তিনি আরও দেখলেন যে শত্রু বাহিনী সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে, প্রতিদ্বন্দ্বী রাজাও আত্ম সমর্পন করেছেন।

বন্দী রাজা জানালেন একটি রহস্যময় নীল যোদ্ধা ঘোড়ায় চেপে এসে একা হাতে তার বাহিনীকে ধ্বংস করেছেন এবং জয় মালের রাজ্য

তিনিই রক্ষা করেছেন।

 

সব শুনে রাজা জয়মাল বুঝতে পারলেন স্বয়ং শ্যাম সুন্দর তার রাজ্য রক্ষার জন্যে যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হয়েছিলেন।

 

ভক্ত যখন সম্পূর্ণ রূপে ভগবানের কাছে আত্ম সমর্পন করেন তখন ভগবানে তার ভক্তকে যেকোনো মূল্যে রক্ষা করেন। প্রয়োজন শুধু ভক্তি এবং বিশ্বাস।

 

ফিরে আসবো ভক্ত এবং ভগবানের পরবর্তী পর্ব নিয়ে। থাকবে এমনই এক অলৌকিক ঘটনা এবং তার ব্যাখ্যা। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।