Home Blog

শক্তি পীঠ – গন্ডকী

শক্তি পীঠ – গন্ডকী

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

আজ যে শক্তিপীঠটি নিয়ে লিখবো তা

আমাদের প্রতিবেশী দেশ নেপালে অবস্থিত

শক্তি পীঠ গন্ডকী। এই শক্তিপীঠটি একাধারে বৌদ্ধ, শাক্ত এবং শৈব্য দের কাছে সমান ভাবে পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ।

 

পুরান অনুসারে এখানে সতীর ডান গাল অথবা গন্ডদেশ পড়েছিলো । দেবী হলেন গন্ডকী যিনি চন্ডী রূপেই পূজিতা হন এবং দেবীর ভৈরব এখানে চক্রপাণি।

 

স্থানটি আদতে একটি শৈব্য তীর্থ কারন মুক্তিনাথ শিব মন্দির রয়েছে এখানেই এবং গন্ডকী চন্ডীর মন্দির পাহাড়ের উপরে অবস্থিত।মুক্তিনাথ মন্দিরের উল্লেখ বিষ্ণু পুরানেও পাওয়া যায়।

বর্তমান মন্দিরটিও বেশ প্রাচীন তবে সুন্দর এবং অপূর্ব তার নির্মাণ শৈলী।মন্দিরের পাঁচিলে একশো আটটি পিতলের নানান জন্তুর মুখ বসানো আছে প্রতিটির মুখ থেকে অজস্র ধারায় অনবরত জল পড়ছে। এই জল শিব ভক্তদের কাছে অমৃতর ন্যায়

পবিত্র। প্রচলিত বিশ্বাস এই শক্তিপীঠ দর্শন করে এই শিব মন্দিরে পুজো দিলে এবং এই জলে স্নান করলে সব দুঃখ যন্ত্রনা থেকে মুক্তি লাভ হয়।

 

পুরান অনুসারে জানা যায় যে সমুদ্র মন্থন থেকে উঠে আসা বিষ পান করে ভগবান শিবের অসহ্য জ্বালা শুরু হলে তিনি এই স্থানে এসে গন্ডকী পার্শবর্তী একটি হ্রদে স্নান করে সেই জ্বালা দূর করেন।সেই থেকে এই হ্রদের নাম নীলকন্ঠ হ্রদ।

 

তিব্বতীয় বৌদ্ধ ধর্মের অন্যতম ধর্মগুরু রিনপোচে মুক্তিনাথে এসে ধ্যান করেছিলেন বলে বৌদ্ধরা বিশ্বাস করেন তাই বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছেও স্থান টি অতি গুরুত্বপূর্ণ।

 

সব শেষে বলবো এই গন্ডকীতেই পাওয়া যায় শালগ্রাম শীলা। পৃথিবীর অন্য কোনো নদীতে এই শালগ্রাম শীলা দেখা যায় না। এই শালগ্রামশীলা কে সাক্ষাৎ বিষ্ণু মনে করা হয়।কারন পুরান মতে কঠোর তপস্যারত বিষ্ণুর ঘাম থেকে এই

গন্ডকী নদীর সৃষ্টি হয়েছে।

 

ফিরে আসবো আগামীপর্বে অন্য একটি

শক্তিপীঠ সংক্রান্ত লেখনী নিয়ে। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

শক্তিপীঠ – ইন্দ্রাক্ষি

শক্তিপীঠ – ইন্দ্রাক্ষি

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

আমাদের প্রতিবেশী দেশ শ্রীলংকায় রয়েছে একটি বিতর্কিত শক্ত পীঠ যার নাম ইন্দ্রাক্ষি|আজকের পর্বে জানাবো এই শক্তিপীঠ সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য|

 

শুরুতেই বিতর্কিত বললাম কারন এই পীঠের সঠিক অবস্থান নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য রয়েছে তবে বেশি ভাগ গবেষক ও শাস্ত্র বিশেষজ্ঞই মনে করেন বৌদ্ধ প্রধান দেশ শ্রীলংকার একসময় গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত জাফনাতেই আছে এই সতীপীঠ| জাফনার নাইনাতিভুতে ধুমধাম করে পুজো হয় দেবী ইন্দ্রাক্ষির|

 

সেই পুরাকাল থেকে সিংহল এবং ভারতের রয়েছে গভীর সম্পর্ক।পীঠ নির্ণয় তন্ত্র, চন্ডীমঙ্গল কাব্য সহ বেশ কিছু প্রাচীন শাস্ত্রে সিংহলে অবস্থিত ইন্দ্রাক্ষি নামক এই শক্তি পীঠের উল্লেখ পাওয়া যায়|

 

এই পীঠে দেবী ইন্দ্রাক্ষি রূপে পূজিত হন এই পীঠের সাথে জড়িত আছে দেবরাজ ইন্দ্র ও এক পৌরাণিক ঘটনা|পৌরাণিক মত অনুযায়ী,প্রাচীন সিংহলে পড়েছিল সতীর পায়ের মল বা নুপুর| সতী এখানে ইন্দ্রাক্ষ্মী আর শিব হলেন রক্ষশেশ্বর৷ শাস্ত্র অনুসারে ইন্দ্রাক্ষ্মীর মূর্তি বানিয়ে পুজো করতেন স্বয়ং দেবরাজ ইন্দ্র কারন বৃত্তাসুরের সাথে যুদ্ধের সময় দেবী ইন্দ্রকে সাহায্য করে ছিলেন ও দেবতাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন এবং যুদ্ধ শেষে তিনি এই স্থানে ইন্দ্রাক্ষি রূপে সদা বিরাজমান থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

 

আগামী পর্বে আবার কোনো শক্তি পীঠ নিয়ে লিখবো।থাকবে অনেক পৌরাণিক এবং শাস্ত্রীয় তথ্য।পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন।ধন্যবাদ।

শক্তিপীঠ – দন্তেশ্বরী 

শক্তিপীঠ – দন্তেশ্বরী

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

আজকের শক্তিপীঠ পর্বে বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য চত্রিশগড়ে অবস্থিত একটি শক্তি পীঠ

নিয়ে লিখবো ।

 

শক্তি পীঠ দন্তেশ্বরী অবস্থিত ছত্তিশ গড়ের দান্তেওয়ারা অঞ্চলে।এই দেবীর নামেই এই

অঞ্চনের নামকরণ বলে অনেকে বিশ্বাস করেন|শাস্ত্র মতে দেবী সতীর দাঁত পতিত হয়েছিলো এখানে।দাঁত থেকেই সম্ভবত পীঠটির নাম দন্তেশ্বরী।

 

আনুমানিক চতুৰ্দশ শতাব্দীতে তৈরী হয়েছিলো এই দেবী মন্দির|মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে

দন্তেশ্বরী দেবীর মূর্তি যা একটি কৃষ্ণ বর্ণের পাথর থেকে তৈরী|মূল মন্দির চারটি ভাগে বিভক্ত যথা গর্ভ গৃহ,মহা মণ্ডপ, মুখ্য মণ্ডপ এবং সভা মণ্ডপ|মূল মন্দির কে ঘিরে রয়েছে একটি সুউচ্চ প্রাচীর|

 

দেবী দন্তেশ্বরীর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন কাকতীয় বংশের রাজারা|দেবী দন্তেশ্বরী এই প্রাচীন রাজ বংশের কুল দেবী|

 

স্থানীয় অধিবাসী দের কাছে দেবী দন্তেশ্বরী অত্যান্ত প্রসিদ্ধ এবং শ্রদ্ধার|বিশেষ বিশেষ তিথিতে বিশেষ পুজো ছাড়াও প্রতিবছর নব রাত্রি ও দশেরা উৎসব এখানে মহাসমারোহে পালিত হয় ও সেই উপলক্ষে ব্যাপক জনসমাগম হয়|

 

সমস্ত শক্তিপীঠের মধ্যে এটিই একমাত্র মন্দির যেখানে দুটি নয় তিনটি নবরাত্রি পালিত হয়। চৈত্র ও শারদীয়া নবরাত্রি ছাড়াও এখানে ফাল্গুন মাসেও নবরাত্রি পালিত হয়। একে স্থানীয় ভাষায়

ফাগুন মাধাই বলা হয়।

 

যারা তন্ত্র নিয়ে চর্চা করেন তাদের কাছে এই স্থানের আলাদা মহাত্ম আছে।দন্তেশ্বরী শক্তিপীঠকে তান্ত্রিকদের ধ্যানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যুগ যুগ ধরে অনেক তান্ত্রিক ও অঘোরি এখানকার পাহাড়ের গুহায় তন্ত্র বিদ্যা চর্চা করেন।

 

স্থানীয়রা সবাই নিজের মনোস্কামনা পূরণের জন্য দেবী দন্তেশ্বরীর স্মরণ নেন এবং বিশ্বাস করা হয় দেবী কাউকে শুন্য হাতে ফেরান না।

 

আজকের পর্বে এই টুকুই। ফিরবো আগামী পর্বে|অন্য কোনো শক্তিপীঠের কথা নিয়ে।

চলতে থাকবে শক্তি পীঠ নিয়ে ধারাবাহিক এই আলোচনা।পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

শক্তিপীঠ – কাত্যায়নি

শক্তিপীঠ – কাত্যায়নি

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

বৃন্দাবনের পবিত্র ভূমিতে রয়েছে একান্ন শক্তি পীঠের অন্যতম শক্তিপীঠ যার নাম কাত্যায়নী। আজকের পর্বে এই শক্তি পীঠ নিয়ে লিখবো।

 

সতীর দেহের কোন অংশ বৃন্দাবনের এই বিশেষ স্থানে পতিত হয়েছিলো তা নিয়ে বিভিন্ন শাস্ত্রে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। একটি মত অনুসারে এখানে দেবী সতীর কেশ রাশি পড়েছিলো আবার অন্য একটি মত অনুসারে অনুসারে এই স্থানে পড়েছিলো দেবীর আংটি।

 

শক্তিপীঠটি কাত্যায়নী নামে বেশি পরিচিত হলেও দেবী এখানে উমা বা যোগমায়া নামেও পূজিতা হন এবং দেবীর ভৈরব হিসেবে এই স্থানে পূজিত হন ভূতেশ।

 

বর্তমানে রঙ্গনাথ মন্দিরের কাছে রাধাবাগে শক্তি পীঠ কাত্যায়নী অবস্থিত এবং দেবীর ভৈরব ভূতেশ বৃন্দাবনের ভূতেশ্বর রোডের কাছে ভূতেশ্বর মহাদেব মন্দিরে পূজিত হয়ে থাকেন।

 

প্রাচীন কালে কবে কে কিভাবে এই শক্তিপীঠ আবিস্কার করেন তার কোনো সঠিক এবং নিদ্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়না তবে ১৯২৩ সালে যোগীরাজ স্বামী কেশবানন্দ এই স্থানটি চিহ্নিত করেন এবং দেবী মন্দির তৈরী করেন।এই মন্দিরের অন্যতম দর্শনীয় বস্তু একটি বিশাল আকৃতির তলোয়ার আছে যাকে উচ্ছল চন্দ্রহাস বলে।

 

ভাগবত পুরাণে আছে যে ব্রজের গোপীগন

শ্রীকৃষ্ণ কে পতি রূপে পাওয়ার জন্য সারা মাঘ মাস জুড়ে কাত্যায়নী ব্রত পালন করেছিলেন।

সেই সময়ে তারা প্রতিদিন কাত্যায়নী শক্তি পীঠে

দেবীর পুজো করতে আসতেন এবং

নিজেদের মনোস্কামনা দেবীকে জানাতেন।

 

শাস্ত্র মতে কাত্যায়নী রূপ নবদুর্গার ষষ্ঠ রূপ তাই নবরাত্রির সময় এখানে বিশেষ পুজো হয় এবং বেশ বড়ো আকারে উৎসব হয়।

 

আবার ফিরে আসবো আগামী পর্বে অন্য একটি শক্তিপীঠের কথা এবং তার আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা

নিয়ে। পড়তে থাকুন। ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

শক্তি পীঠ – গায়েত্রী

শক্তি পীঠ – গায়েত্রী

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

আজ যে শক্তি পীঠ নিয়ে লিখবো তা

অবস্থিত রাজস্থানের পুস্করে।দেবী সতী এখানে পূজিত হন গায়ত্রী নামে এবং দেবীর ভৈরব সর্বানন্দ।

 

রাজস্থানের শুষ্ক মরু অঞ্চলে অবস্থিত এই

শক্তিপীঠ পীঠ নির্ণয় তন্ত্র সহ একাধিক শাস্ত্রেই খুব গুরুত্বপূর্ণ পীঠ রূপে উল্লেখিত।এই শক্তিপীঠে দেবীর হাতের তালু থেকে কনুই অবধি অর্থাৎ মণিবন্ধ পড়েছিল এখানে।

 

দেবী গায়েত্রী হলেন বেদ মাতা। দেবী গায়েত্রী থেকেই বেদ পুরান সৃষ্টি হয়েছে। এই গায়েত্রী দেবী সাক্ষাৎ বিরাজ করছেন এই শক্তি পীঠে।

এখানে একটি পবিত্র কুন্ড আছে। যার নাম পুস্কর

এই কুন্ডের জল মহাপবিত্র এবং এর সাথে জড়িয়ে আছে বহু অলৌকিক ঘটনা।

 

শোনা যায় রাজপুতনার পরিহার বংশীয় রাজা লহোর ছিলেন কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত। একবার তিনি এই অঞ্চলে শিকারে আসেন। একটি শ্বেত বরাহের পেছনে ছুটতে ছুটতে তিনি এই এলাকায় এসে তৃষ্ণার্ত হয়ে এই কুন্ডের জল পান করেন।

এতে তার শরীরের সব রোগ হটাৎ সেরে যায়।

তারপর এই কুন্ডের এবং শক্তিপীঠের মহাত্ম দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে।

 

পদ্মপুরান অনুযায়ী এই কুন্ডের ধারে প্রজাপতি ব্রহ্মা যজ্ঞ করেছিলেন।ভারতের একমাত্র ব্রম্হার মন্দিরটিও এখানেই অবস্থিত।

 

পুরাকালে ব্রহ্মা যে স্থানে যজ্ঞ করেছিলেন সেই যজ্ঞবেদীর পশ্চিম দিকে গায়ত্রী মাতার মন্দির আছে।মহাভারতে এই তীর্থের বর্ণনা আছে। বন পর্বে পান্ডবরা এই স্থানে এসে পুজো দিয়ে ছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।ভক্তদের বিশ্বাস এখানে

স্নান করে গায়েত্রী দেবীর মন্দিরে পুজো দিলে সমস্ত মনোবাসনা পূর্ণ হয়।

 

ফিরে আসবো পরবর্তী শক্তিপীঠ নিয়ে।আগামী পর্বে।পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

শক্তি পীঠ – দেবী যোগ্যদা

শক্তি পীঠ – দেবী যোগ্যদা

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

আজকের পর্বে এই বাংলারই পূর্ব বর্ধমানে অবস্থিত অত্যান্ত জাগ্রত শক্তি পীঠ দেবী যোগ্যদার কথা জানবো।

 

পীঠ নির্নয় তন্ত্র মতে দেবী সতীর ডান পায়ের একটি আঙ্গুল পতিত হয়েছিলো এই স্থানে|

একটি প্রচলিত কিংবদন্তী অনুসারে এই দেবীকে প্রতিষ্ঠিত করে ছিলেন স্বয়ং বীর হনুমান, এবং তিনি স্বয়ং পুরাকালে দেবীকে দর্শন করতে ও তার পূজা করতে আসতেন|

 

দেবী যোগ্যদা বর্তমানে ক্ষীর গ্রামের অধিষ্টাত্রী কুলদেবী|এলাকায় অন্যান্য লৌকিক দেবদেবীর মন্দির ও পূজার প্রচলন থাকলেও দেবী যোগ্যদাকে এখানে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়|সংরক্ষিত একটি প্রাচীন ধার্মীক পুঁথি থেকে দেবী যোগ্যতা সম্পর্কে বলা হয়েছে

“বাম স্কন্ধে লক্ষণ নিল,

দক্ষিণ স্কন্ধে রাম,

মাথায় প্রতিমা করে চলে হনুমান ।

শ্রীরাম বলি হুংকার ছাড়িলো হনুমান

ক্ষীরগ্রাম মধ্যে হনু দিলা দরশন।”

 

শোনা যায় বহু পূর্বে স্থানীয় রাজা দেবীকে প্রতিষ্ঠা করে প্রতিশ্রুতি দিলেন যে তিনি দেবী প্রতিদিন বলি দেবেন, কথামতো রাজা রাজ্যে পালার ব্যবস্থা করলেন, বলি শুরু হলো, প্রতিদিন একটি করে বলি|এইভাবে একটি ব্রাহ্মণের ঘরে এল পালা|প্রান ভয়ে আগের দিন ব্রাহ্মণ গ্রাম ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করলেন এবং এক অলৌকিক ঘটনা ঘটলো, ব্রাহ্মণ কে বাধা দিলেন ব্রাহ্মনী বেশি দেবী । ব্রাহ্মণ কে অভয় দিয়ে দেবী বললেন, ” আমি সেই যোগ্যদা ।আর আমি মানুষের রক্ত খাই না ।খাবোনা। রাজা নিজের মত চাপিয়ে দিয়েছে তোমাদের ওপর। তুমি ঘরে ফিরে যাও” এরপর দেবী যোগ্যতা দশভুজা মূর্তি ধারণ করে ব্রাহ্মণ কে দেখা দিলেন|ঘটনাটি এলাকায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পরে এবং সেই থেকে ক্ষীর গ্রামের দেবী যোগ্যতার উদ্দেশ্য বলি বন্ধ হয়|

 

গোটা অঞ্চলে একাধিক স্থানে দেবী যোগ্যতার পূজা হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে|মূলত তন্ত্র মতেই দেবীর পূজা হয়|দেবী দুর্গার স্বরূপ আবার ভদ্রকালী হিসেবেও তার পূজা হয় |একটি অতি প্রাচীন পাথর খন্ডের উপর চিত্রিত দেবীকে মূলত পূজা করা হয় বিশেষ বিশেষ তিথীতে|দেবীর একটি প্রতিরূপকে প্রয়োজনে জনসমক্ষে আনা হয়|মুল বিগ্রহ টি একটি পুকুরে ডুবিয়ে রাখা হয় ও পূজার সময় জল থেকে তুলে এনে তা পূজা করা হয় এবং পূজা হয় মধ্যরাতে|অত্যান্ত গোপনীয়তার সাথে এই পক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়|

 

আগামী পর্বে ফিরে আসবো আরো একটি শক্তিপীঠ নিয়ে। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

একান্ন পীঠ – জ্বালা মুখী

একান্ন পীঠ – জ্বালা মুখী

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে আজকের শক্তিপীঠ পর্ব ভারতের হিমাচল প্রদেশের কাংড়া উপত্যকায় অবস্থিত জ্বালা মুখী শক্তি পীঠ নিয়ে।

 

এই শক্তি পীঠে দেবতাদের তেজ সম্পন্ন হয়ে একটি অগ্নিশিখা সর্বদা নাকি জ্বলছে সেই থেকেই নাম জ্বালা মুখী।রাজা ভূমিচন্দ্র সেই স্থানের অনেক সন্ধান করেন কিন্তু খুঁজে না পেয়ে নগরকোটের সামনে একটি দেবীর মন্দির নির্মাণ করেন পরে একদিন রাজা এক গোয়ালার কাছে দেবীর অগ্নি শিখার কথা শুনলেন এবং সেই স্থান খুঁজে পেয়ে সেখানেই দেবীর মন্দির নির্মাণ করলেন ।মহাভারত কালে নাকি পঞ্চপাণ্ডব এই স্থানে মন্দির নির্মাণ করেছিলেন এমনটাও শোনা যায়|

 

ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল কাব্যেও এই পীঠের উল্লেখ আছে, সেখানে বলা হচ্ছে-

“জ্বালমুখে জিহ্বা তাহে অগ্নি অনুভব

দেবী অম্বিকা নাম উন্মত্ত ভৈরব”

পুরান মতে এখানেই কালীধর পাহাড়ে কোথাও দেবী সতীর জিহ্বা পতিত হয়েছিল।

 

বহু কিংবদন্তী ও অলৌকিক মহিমা প্রচারিত আছে এই শক্তি পীঠ ঘিরে|এই পীঠের দেবী হলেন- সিদ্ধিদা আর ভৈরব হলেন উন্মত্ত । আবার কারোর মতে এই পীঠের দেবী হলেন অম্বিকা, ভৈরব হলেন উন্মত্ত |মন্দিরের কাছেই এক পাহাড়ে ভৈরব বিরাজমান |

 

মায়ের মন্দিরে কোনো বিগ্রহ নেই|এক জ্বলন্ত দিব্য অগ্নি শিখাকে দেবী রূপে পূজা করা হয়|মায়ের মন্দিরের উত্তর দিকের দেওয়ালের মাঝে মায়ের মূল জ্যোতি বা আগুনের শিখা বিরাজমানা|বলা হয় এই আগুনের শিখাই হলেন মা জগদম্বা সিদ্ধিদা বা অম্বিকা যা জ্বালামুখী নামেই বেশি বিখ্যাত ভক্তেরা যে যে নামে ডাকবে মা তাদের কে সেই রূপেই কৃপা করবেন । এই আগুনের শিখা অনবরত জ্বলছে| কোনদিন নেভেনি |

 

বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী এই শক্তি পীঠ| মুঘল সম্রাট আকবর, দেবীর মহিমা প্রত্যক্ষ করতে একবার এই পীঠে আসেন। আবুল ফজলের রচিত ‘আইন- ই – আকবরি’ তেও এই পীঠের কথা উল্লেখ আছে।দেবীর অলৌকিক ক্ষমতার প্রমান পেয়ে আকবর দেবীর মহিমা স্বীকার করেন এবং দেবীর মন্দিরে একটি সোনার ছাতা প্রদান করেন|

 

ফিরোজ শাহ এই স্থানে নিজের বীরত্ব দেখতে এলে মৌমাছির আক্রমণের স্বীকার হয়েছিলেন বলেও কিংবদন্তী প্রচলিত আছে।কিছু ঐতিহাসিকের মতে ঔরংজেবও এই মন্দির ধ্বংস করতে চেয়ে ব্যর্থ হন|শিখদের দশম গুরু গোবিন্দ সিং এই মন্দিরে তাঁদের ধর্মগ্রন্থ ‘গ্রন্থসাহিব’ নিত্য পাঠ ও দেবীর পূজা করতেন । তিনি ১৮১৫ খ্রীঃ মন্দির সংস্কার করে এক ভব্য মন্দির নির্মাণ করেন|পরবর্তীতে মহারাজা রঞ্জিত সিং দেবীর মন্দিরের চূড়া শোনা দিয়ে বাধিয়ে দেন।

 

এই শক্তিপীঠে আছে সূর্য্য কুন্ড।সূর্য কুন্ডের পাশ দিয়ে মন্দিরের দিকে যেতে হয় । সূর্য কুন্ড এক অপূর্ব দিব্য অলৌকিক কুন্ড। মানুষের বিশ্বাস এখানে স্নান করলে সর্ব পাপ নাশ হয় । মন্দির প্রাঙ্গনে রয়েছে রুদ্রকুন্ড, গোমুখী, ব্রহ্মকুন্ড নামক তিনটি কুণ্ড| রুদ্রকূন্ডর জল অনবরত ফোটে তবে তাপমাত্রা কম।

 

অতি প্রাচীন ভগবান রামচন্দ্রের মন্দির দর্শন করতে হয় এবং শেষে উন্মত্ত ভৈরবের পুজো করতে হয়।

 

এই শক্তি পীঠ নিয়ে লেখা আজ এখানেই শেষ করছি।ফিরে আসবো পরবর্তী শক্তি পীঠ পর্ব নিয়ে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

শক্তি পীঠ – অট্টহাস

শক্তি পীঠ – অট্টহাস

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

আজকের একান্ন পীঠ পর্বে লিখবো বর্ধমানে অবস্থিত অট্টহাস শক্তিপীঠ নিয়ে। শাস্ত্র মতে এখানে সতীর অধঃওষ্ঠ বা নিচের ঠোঁট পড়েছিল এখানে। সেই থেকেই নাম হয় অট্টহাস।

 

বহু প্রাচীন এই অট্টহাস মন্দির। এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাকাল নির্দিষ্ট ভাবে জানা না

গেলেও ১৩৪২ বঙ্গাব্দে এই মন্দির

সংস্কার করা হয়।ঘন জঙ্গলে ঘেরা এই স্থান একসময় ছিলো খুবই দুর্গম।সেই সময় বাংলার ডাকাতরা এখানে পুজো করত বলে শোনা যায়। তখন এই মন্দিরে প্রায়ই বলী দেয়া হত বলেও শোনা যায়। সেই ডাকাতরা আজ আর নেই। নেই সেই সব নৃশংস রীতি তবে আজও তন্ত্র মতে নিষ্ঠা সকারে পুজো হয়।আজও রয়েছে পঞ্চমুণ্ডির আসন।

 

দেবী এখানে চামুণ্ডা রূপে পূজিতা হন।

বাম হাত মাটিতে ভর দিয়ে আর ডান হাত হাঁটুতে রেখে অদ্ভুত ভঙ্গিতে বসে আছেন দেবী। পাথরের উপর খোদাই করা হয়েছে এই সোওয়া এক ফুটের দন্তুরা চামুণ্ডার মূর্তি।কোনো এক অজ্ঞাত কারণে

অট্টহাসে কখনো প্রকাশ্যে আনা হয় না দেবীর আসল রূপ। অন্তরালেই থাকেন অট্টহাসের দেবী দন্তুরা চামুণ্ডা। মূর্তির একটি ছবি মহিষমর্দিনী মূর্তির পাশে রেখে পুজো করা হয়।মন্দিরর গর্ভগৃহ খুবই প্রাচীন। গর্ভগৃহে মায়ের প্রধান শিলা ভূগর্ভের কয়েক হাত নিচে অবস্থান করছে।

 

 

বিশেষ বিশেষ তিথি এবং প্রতি অমাবস্যায় বিশেষ পুজো হয়। শাস্ত্র মতে হোম যজ্ঞ এবং ভোগ বিতরণ হয়।এছাড়াও সারাবছরই এখানে কমবেশি ভিড় থাকে ভক্তদের।

 

ফিরে আসবো আগামী পর্বে শক্তি পীঠের পরবর্তী পীঠ নিয়ে লেখনীতে।পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

একান্ন পীঠ – জ্বালা মুখী

একান্ন পীঠ – জ্বালা মুখী

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে আজকের শক্তিপীঠ পর্ব ভারতের হিমাচল প্রদেশের কাংড়া উপত্যকায় অবস্থিত জ্বালা মুখী শক্তি পীঠ নিয়ে।

 

এই শক্তি পীঠে দেবতাদের তেজ সম্পন্ন হয়ে একটি অগ্নিশিখা সর্বদা নাকি জ্বলছে সেই থেকেই নাম জ্বালা মুখী।রাজা ভূমিচন্দ্র সেই স্থানের অনেক সন্ধান করেন কিন্তু খুঁজে না পেয়ে নগরকোটের সামনে একটি দেবীর মন্দির নির্মাণ করেন পরে একদিন রাজা এক গোয়ালার কাছে দেবীর অগ্নি শিখার কথা শুনলেন এবং সেই স্থান খুঁজে পেয়ে সেখানেই দেবীর মন্দির নির্মাণ করলেন ।মহাভারত কালে নাকি পঞ্চপাণ্ডব এই স্থানে মন্দির নির্মাণ করেছিলেন এমনটাও শোনা যায়|

 

ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল কাব্যেও এই পীঠের উল্লেখ আছে, সেখানে বলা হচ্ছে-

“জ্বালমুখে জিহ্বা তাহে অগ্নি অনুভব

দেবী অম্বিকা নাম উন্মত্ত ভৈরব”

পুরান মতে এখানেই কালীধর পাহাড়ে কোথাও দেবী সতীর জিহ্বা পতিত হয়েছিল।

 

বহু কিংবদন্তী ও অলৌকিক মহিমা প্রচারিত আছে এই শক্তি পীঠ ঘিরে|এই পীঠের দেবী হলেন- সিদ্ধিদা আর ভৈরব হলেন উন্মত্ত । আবার কারোর মতে এই পীঠের দেবী হলেন অম্বিকা, ভৈরব হলেন উন্মত্ত |মন্দিরের কাছেই এক পাহাড়ে ভৈরব বিরাজমান |

 

মায়ের মন্দিরে কোনো বিগ্রহ নেই|এক জ্বলন্ত দিব্য অগ্নি শিখাকে দেবী রূপে পূজা করা হয়|মায়ের মন্দিরের উত্তর দিকের দেওয়ালের মাঝে মায়ের মূল জ্যোতি বা আগুনের শিখা বিরাজমানা|বলা হয় এই আগুনের শিখাই হলেন মা জগদম্বা সিদ্ধিদা বা অম্বিকা যা জ্বালামুখী নামেই বেশি বিখ্যাত ভক্তেরা যে যে নামে ডাকবে মা তাদের কে সেই রূপেই কৃপা করবেন । এই আগুনের শিখা অনবরত জ্বলছে| কোনদিন নেভেনি |

 

বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী এই শক্তি পীঠ| মুঘল সম্রাট আকবর, দেবীর মহিমা প্রত্যক্ষ করতে একবার এই পীঠে আসেন। আবুল ফজলের রচিত ‘আইন- ই – আকবরি’ তেও এই পীঠের কথা উল্লেখ আছে।দেবীর অলৌকিক ক্ষমতার প্রমান পেয়ে আকবর দেবীর মহিমা স্বীকার করেন এবং দেবীর মন্দিরে একটি সোনার ছাতা প্রদান করেন|

 

ফিরোজ শাহ এই স্থানে নিজের বীরত্ব দেখতে এলে মৌমাছির আক্রমণের স্বীকার হয়েছিলেন বলেও কিংবদন্তী প্রচলিত আছে।কিছু ঐতিহাসিকের মতে ঔরংজেবও এই মন্দির ধ্বংস করতে চেয়ে ব্যর্থ হন|শিখদের দশম গুরু গোবিন্দ সিং এই মন্দিরে তাঁদের ধর্মগ্রন্থ ‘গ্রন্থসাহিব’ নিত্য পাঠ ও দেবীর পূজা করতেন । তিনি ১৮১৫ খ্রীঃ মন্দির সংস্কার করে এক ভব্য মন্দির নির্মাণ করেন|পরবর্তীতে মহারাজা রঞ্জিত সিং দেবীর মন্দিরের চূড়া শোনা দিয়ে বাধিয়ে দেন।

 

এই শক্তিপীঠে আছে সূর্য্য কুন্ড।সূর্য কুন্ডের পাশ দিয়ে মন্দিরের দিকে যেতে হয় । সূর্য কুন্ড এক অপূর্ব দিব্য অলৌকিক কুন্ড। মানুষের বিশ্বাস এখানে স্নান করলে সর্ব পাপ নাশ হয় । মন্দির প্রাঙ্গনে রয়েছে রুদ্রকুন্ড, গোমুখী, ব্রহ্মকুন্ড নামক তিনটি কুণ্ড| রুদ্রকূন্ডর জল অনবরত ফোটে তবে তাপমাত্রা কম।

 

অতি প্রাচীন ভগবান রামচন্দ্রের মন্দির দর্শন করতে হয় এবং শেষে উন্মত্ত ভৈরবের পুজো করতে হয়।

 

এই শক্তি পীঠ নিয়ে লেখা আজ এখানেই শেষ করছি।ফিরে আসবো পরবর্তী শক্তি পীঠ পর্ব নিয়ে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

শক্তি পীঠ – বৈদ্যনাথ  

শক্তি পীঠ – বৈদ্যনাথ

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

আজকের পর্বে এমন একটি শক্তিপীঠ নিয়ে লিখবো যা একইসাথে একান্ন পীঠের অন্যতম পীঠ আবার দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙের মধ্যেও অন্তর্ভুক্ত।বৈদ্যনাথ ধাম নিয়ে আলোচনা করবো। বৈদ্যনাথ ধাম নামেই বেশি পরিচিত এই শক্তিপীঠ। মন্দিরটি বর্তমানে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের দেওঘর জেলায় অবস্থিত।

 

পুরানে আছে একবার রাবন শিবকে স্থায়ী ভাবে লঙ্কায় নিয়ে যেতে কঠোর তপস্যা করেন।তপস্যয় সন্তুষ্ট হয়ে চন্দ্রহাস নামে একটি বিরাট শক্তিশালী অস্ত্রও রাবণকে উপহার হিসেবে প্রদান করেন এবং আত্মলিঙ্গ অর্পণ করে লঙ্কার প্রতিষ্ঠা করতে বলেন তাকে।শর্ত ছিলো কৈলাস থেকে লঙ্কার পথে যাওয়ার সময় কোথাও যদি রাবণ শিবলিঙ্গ কে কোন জায়গায় রেখে দেন, তাহলে তিনি সেখানেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবেন। দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে লঙ্কায় যাওয়ার পথে ক্লান্ত এবং তৃষ্ণার্থ রাবন এই স্থানে শিবলিঙ্গ কিছুক্ষনের জন্য নামিয়ে রাখেন আর সেখানেই শিবলিটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিল। সেই শিব লিঙ্গই বৈদ্য নাথ রূপের এই শক্তি পীঠের ভৈরব রূপে বিরাজ করছে।

 

পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে এখানে সতীর হৃদয় বা হৃৎপিণ্ড পড়েছিল। বৈদ্যনাথ ধামে অধিষ্ঠিত দেবী জয় দুর্গা ও ভৈরব হলেন স্বয়ং শিব যিনি বৈদ্যনাথ রূপে এখানে বিরাজমান।

এটিই একমাত্র শক্তিপীঠ যেখানে বৈদ্যনাথে শিব এবং শক্তি একসাথে বিরাজমান।

 

প্রাচীন কালে মন্দিরের কিছু দূরে শ্মশান ছিল, যেখানে মায়ের হৃদয় পড়েছে বলে মনে করা হয়, এই জায়গাটি বর্তমানে “চিতাভূমি” নামে পরিচিত সকলের কাছে। মায়ের হৃদয় পতিত হওয়ার এই শক্তিপীঠ “হৃদয় পিঠ” নামেও ডাকা হয়।

 

ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী মোঘল সম্রাট আকবরের সেনাপতি মানসিংহ এই বৈদ্যনাথ মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন এবং দেওঘর রাজ্যের রাজা দ্বিধাউর এই মন্দির নির্মাণের কাজে অনেকখানি সহযোগিতা করেছিলেন। পরবর্তী কালে এই মন্দির একাধিক বার সংস্কার করা হয় এমনকি ব্রিটিশ আমলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিও এই মন্দিরের রক্ষনাবেক্ষনের ভার নিয়ে ছিলো।

 

শক্তি পীঠ হওয়ায় অমাবস্যা তিথি গুলিতে এখানে ধুমধাম করে পুজো হয় আবার জ্যোতির্লিঙ্গ থাকায় বৈদ্যনাথে বিরাট আকারে পালিত হয় মহা শিবরাত্রি।

 

আজকের শক্তিপীঠ পর্ব এখানেই শেষ করছি।

দেখা হবে পরের পর্বে থাকবে পরবর্তী শক্তি পীঠ নিয়ে উপস্থাপনা । পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।