শিব মাহাত্ম – বুধেশ্বর মহাদেব
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
শুরু হতে চলেছে পবিত্র শ্রাবন মাস। সামনেই শ্রাবনের প্রথম সোমবার। প্রতি বছরের ন্যায় গোটা শ্রাবন মাস জুড়ে থাকবে। দেশ তথা বাংলার বিখ্যাত শিব মন্দিরের কথা সাথে শিব সংক্রান্ত নানা পৌরাণিক তথ্য এবং আলোচনা। আজ শুরু করবো বুধেশ্বর মহাদেব দিয়ে।
ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরে চার দিকে ভোলেনাথের অনেক বিখ্যাত শিব মন্দির রয়েছে, কিন্তু ঐতিহাসিক মন্দিরগুলির মধ্যে বুধেশ্বর মহাদেব মন্দির দেখার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
ছত্রিশ গড়ের রায়পুরের এই শিব মন্দিরের ইতিহাস প্রায় ছয়শো বছরের পুরনো। অনেকে মনে করেন বুধেশ্বর মহাদেবের নামকরণ করা হয়েছে আদিবাসী দেবতার নামে।
এখানে একটি বহু প্রাচীন জলাশয় আছে। স্থানীয় আদিবাসীদের আরাধ্য দেবতা বুদ্ধদেবের নামানুসারে পুকুরটির নাম বুধতালাব। এক কালে পুকুরের পাড়ে একটি শিবলিঙ্গ ছিল এবং তার চারপাশে ভয়ঙ্কর বিষধর সাপ বাস করত এবং শিবলিঙ্গের চারপাশে সাপগুলি সর্বদা আবৃত থাকত। বুধতালাবের তীরে থাকায় শিবলিঙ্গটির নাম হয় বুধেশ্বর মহাদেব। পরবর্তীতে স্থানীয় আদিবাসিদের উদ্যোগে পুকুরের পাড়ে একটি ছোট মন্দির তৈরি করে শিবলিঙ্গকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। বুধেশ্বর মন্দিরে দুশো বছরের পুরনো একটি বটগাছ রয়েছে।
শ্রাবন মাসে ভক্তরা আসেন মহাদেবকে জল অর্পণ করতে তাছাড়া মহাশিবরাত্রির সময়ে অসংখ্য
ভক্ত এই মন্দির দেখার জন্য ভিড় করেন।মহাশিবরাত্রির সকালে শিবলিঙ্গে ভস্ম আরতি করা হয়।বহু নারী এখানে ছুটে আসেন বট সাবিত্রী ব্রত পূজা করতে।সব মিলিয়ে শ্রাবন মাসে বুধেশ্বর মহাদেব প্রাঙ্গন উৎসবের আকার নেয়।
ফিরে আসবো পরের পর্বে। সঙ্গে থাকবে
নতুন এক শিব মন্দিরের কথা পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।