Home Blog Page 134

মন্দির রহস্য – শনি শিঙ্গাপুর

আজ মন্দির রহস্যর এই পর্বে লিখবো একটি রহস্যময় গ্রাম নিয়ে যে গ্রামের নামকরনি হয়েছে গ্রহরাজ শনি ও তার একটি মন্দির কে কেন্দ্র করে|শিঙ্গাপুর গ্রামের অবস্থান ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশে। জেলার নাম নাভাসা। মহারাষ্ট্রের সুপরিচিত শহর আহমেদ নগর থেকে গ্রামটির দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। শনি শিঙ্গাপুর গ্রামটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে এখানে হিন্দু ধর্মের অন্যতম দেবতা শনির একটি মন্দির রয়েছে আর মন্দির নিয়ে রয়েছে অনেক রহস্য অনেক কিংবদন্তি|

এই গ্রামে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা সবার ঘরের দরজা খোলা থাকে। ‘খোলা থাকে’ বললেও কিঞ্চিত ভুল হবে, কেননা সেই গ্রামের ঘর-বাড়ির দরজাতে কপাটই নেই; মানে চাইলেও দরজা বন্ধ করার সুযোগ নেই। কিন্তু কেনো?

কথিত আছে, প্রায় ৩০০ বছর আগে গ্রামটিতে একবার প্রচন্ড বৃষ্টি ও বন্যা হয়। বন্যা শেষ হলে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পানাশালা নদীর তীরে বিশালাকৃতির কালো রঙের একটি পাথর পাওয়া যায়, এই সময়ে একদিন সবাই যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন একই সময় গ্রামের সবার সাথে স্বপ্নে যোগ দিলেন শনি দেবতা। সবাইকে তিনি জানালেন,এটি কোনো সাধারণ মূর্তি নয়, এটি আমার প্রতিমূর্তি। যদি তোমরা আমার উপাসনা করো তাহলে আমি তোমাদের সবার মুক্তি ও নিরাপত্তা দান করবো|শনি দেবতা তার উপাসনার পদ্ধতি হিসেবে দুটি শর্ত জুড়ে দেন। প্রথমত, এই গ্রামের কোনো এক জায়গায় আমার এ পবিত্র প্রতিমূর্তিটিকে সংরক্ষণ রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, গ্রামের কেউ তাদের ঘরের দরজার কপাট বন্ধ করতে পারবে না। যদি কেউ ঘরের দরজার কপাট বন্ধ করে তাহলে তিনি তাদের নিরাপত্তার দায়দায়িত্ব নিবেন না। কেননা সবার নিরাপত্তা প্রদানের জন্য দেবতাকে যখন তখন সবার ঘরে প্রবেশের সুযোগ থাকতে হবে। তাছাড়া দরজার কপাট বন্ধ থাকলে দেবতার সুনজর থেকেও গৃহবাসী বঞ্চিত হবে|

এরপর তৈরি হলো এক শনি মন্দির প্রতিষ্টিত হলেন শনিদেব|এখানে শনি মন্দিরের উপরে কোনো ছাদ নেই। খোলা আকাশের নিচেই বেদি নির্মাণ করে শনি দেবতার পবিত্র পাথরটি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।গ্রহ রাজ শনিদেবের এই আদেশ আজও অক্ষরে অক্ষরে পালন করে আসছেন এই গ্রামের মানুষ তাই এই রীতি যা ভাবতেও অবাক লাগে|

আবার ফিরবো আগামী পর্বে|ধারাবাহিক লেখাগুলি পড়া ও অনুষ্ঠান দেখার পাশাপাশি যদি কেউ জ্যোতিষ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আসতে চান যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ| 

পুরান রহস্য – শনিদেব, রাবন ও হনুমান

আমাদের বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রে সবথেকে বেশি ভীতি এবং কৌতূহল দেখা যায় যে গ্রহটিকে নিয়ে তা হলো গ্রহরাজ শনি গ্রহ|গ্রহ রাজ শনিদেব যেমন একটি গ্রহ তেমনই আবার একটি পৌরাণিক চরিত্র|আসলে শনিদেব কে নিয়ে এতো ভয় বা সংশয়ের কোনো কারন নেই কারন জ্যোতিষ শাস্ত্রমতে তিনি কর্মফল প্রদান করেন মাত্র, এমনি এমনি কারুর অনিষ্ট করেননা|জ্যোতিষ নিয়ে আজ অবশ্য আলোচনা করছিনা আজ শনিদেবকে কেন্দ্র করে ঘটা এক পৌরাণিক ঘটনার কথা বলবো যেখানে রয়েছেন লংকাঅধিপতি রাবন এবং রুদ্রঅবতার হুনুমান|

রাবন পুত্র মেঘনাথ যখন জন্ম গ্রন্থন করেন তখন আকাশে শনিদেবের খুব প্রভাব চলছিল|রাবন চেয়েছিলেন মেঘনাথের জন্মের সময় সব গ্রহরা তার অনুকূলে থাকবেন|এমন ভাবে তারা অবস্থান করবেন যাতে মেঘনাথ হবেন অমর ওঅপরাজেয়|
নিজের ক্ষমতার অপব্যাবহার করে রাবন সব গ্রহদের বন্দী করলেন এবং একটি নিদ্দিষ্ট ভাবে অবস্থান করতে বাধ্য করলেন কিন্তু চতুর শনিদেব চক্রান্ত করলেন এবং নিজের পা ব্যবহার করে তার নিদ্দিষ্ট ভাবের সীমানা অতিক্রম করে অন্য রাশিতে নিজের সঞ্চার ঘটালেন|ফলে মেঘনাথের জন্ম কালে হিসেব উল্টো পাল্টা হয়ে গেলো এবং শনিগ্রহের এই প্রভাবে মেঘনাথর আর অমরত্ব পাওয়া হয়নি|

এই ঘটনায় রাবন খুব রেগে যান এবং শনিদেব কে আঘাত করে বসলেন| রাবন ছিলেন অনেক বড় যোগী। যোগ বলে তিনি শনিদেবকে আটক করে রেখেছিলেন লঙ্কাতে|পরবর্তীতে হনুমানজী যখন রামজীর দেওয়া আংটি সীতা মাতাকে পৌঁছে দিতে লঙ্কা পৌছন তখন দেখেন শনিদেব আটক রয়েছেন। উনি সব কথা শোনেন এবং শনিদেবকে সেখানে থেকে মুক্ত করেন। কৃতজ্ঞতা বসত শনিদেব কথা দেন তিনি রামচন্দ্র ও হনুমানজীর ভক্তদের বিশেষ আশীর্বাদ অর্পন করবেন|

তবে এর পরেও একাধিক বার শনিদেব ও হনুমান মুখোমুখি হয়েছেন|সে নিয়েও আছে রোমাঞ্চকর পৌরাণিক কাহিনী|সেই সব ঘটনা বলবো যথা সময়ে, যথা স্থানে|আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি|টিভির অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আমার আধ্যাত্মিক লেখা গুলি পড়ুন ও জানান কেমন লাগছে|যারা আমার কাছে জ্যোতিষ সংক্রান্ত প্রশ্ন বা সমস্যা নিয়ে আসতে চান তারা উল্লেখিত নাম্বারে ফোন করে জেনে নেবেন আমাকে কবে কখন ও কোথায় পাবেন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ| 

বাংলার শিব – জলেস্বর শিব মন্দির

আজ বাংলার আরেকটি প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ শিবমন্দিরের কথা আপনাদের বলবো, আজকে পর্বে নদিয়ার জলেস্বর শিব মন্দির,নদিয়ার শান্তিপুরে ‘জলেশ্বর শিব মন্দির’ বাংলার অন্যতম প্রাচীন শৈবতীর্থ। এখানে রয়েছে কষ্টিপাথরের বিশাল আকারের শিবলিঙ্গ। মন্দিরকে কেন্দ্র করে রয়েছে অসংখ্য অলৌকিক কাহিনী|

শোনা যায় এক বছর খরায় চাষের কাজ বন্ধ হয়ে যায়, প্রায় দুর্ভিক্ষ হওয়ার উপক্রম,প্রচণ্ড সমস্যায় পড়ে শান্তিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ|গ্রামের চাষিরা এক শিবলিঙ্গের মাথায় প্রচুর জল ঢালেন বৃষ্টির প্রার্থনায়। অলৌকিক ভাবে তার পরেই বৃষ্টি নামে। শস্য-শ্যামলা হয়ে ওঠে ধরিত্রী। সেই থেকেই মন্দিরের নাম হয় ‘জলেশ্বর’|

এই মন্দিরের ইতিহাস খুব প্রাচীন কিন্তু জলেশ্বর মন্দিরে কোনও প্রতিষ্ঠালিপি নেই। তবে ‘নদিয়া গেজেটিয়ার’ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রায় চারশো বছরের প্রাচীন এই মন্দির, নির্মাণ করেছিলেন তৎকালীন নদিয়া রাজ রাঘব রায়। তাঁর রাজত্বকাল ছিল আনুমানিক ১৬৩২ থেকে ১৬৮৩ খ্রিস্টাব্দ। সেই সূত্রেই মনে করা হয় ওই সময়ের মধ্যেই মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়|

সারা বছরই শিব ভক্তদের আনাগোনা লেগে থাকে এই মন্দিরে তবে চৈত্র মাসে এবং শ্রাবণ মাস জুড়ে এই মন্দিরে প্রচুর মানুষ পুজো দেন। পাশাপাশি শিবের মাথায় জল ঢালতেও প্রতি দিন ভক্ত সমাগম হয়। আর শ্রাবণের শেষ সোমবারে ভক্তদের ভিড় কার্যত উপচে পড়ে|

আপনারাও পারলে অবশ্যই দর্শন করবেন জলেস্বর শিব মন্দির|আজ এখানেই শেষ করলাম, দেখতে থাকুন আমার বিভিন্ন অনুষ্ঠান আর পড়তে থাকুন আধ্যাত্মিক লেখা লেখি, আর প্রয়োজনে উল্লেখিত নাম্বারে যোগাযোগ করুন আপনারা জ্যোতিষ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে, সমাধান আমি বলে দেবো|ভালো থাকুন ধন্যবাদ| 

ভারতের সাধক – তোতাপুরী

আজ ভারতের সাধক দের নিয়ে এই ধারাবাহিক লেখনীতে আজ লিখবো ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেবের দীক্ষা গুরু তোতাপুরী মহারাজকে নিয়ে, জানাবো তার অলৌকিক জীবন কাহিনী|তোতাপুরীর সন্ন্যাস
পূর্ব জীবন,তার জন্ম কাল জন্মস্থান ও পরিবার সম্পর্কে সঠিক তথ্য কমই পাওয়া যায় তায় সেই দিকে না গিয়ে তার অলৌকিক ব্যাক্তিত্ব ও রহস্যময় সন্ন্যাস জীবনর কথাই বলবো|

তোতাপুরী লম্বা-চওড়া সুদীর্ঘ পুরুষ ছিলেন।দীর্ঘ সময় ধ্যান ও যোগ সাধনার মাধ্যমে তিনি সাধনার অত্যন্ত উচ্ছ পর্যায়ে আরোহন করেছিলেন, পুরী সম্প্রদায় ভুক্ত এই নাগা সন্ন্যাসী ছিলেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণর দীক্ষা গুরু|তোতাপুরী তিন দিনের বেশি কোথাও থাকতেননা কিন্তু ব্যতিক্রম হয়েছিলো দক্ষিনেশ্বর এসে|এখানে বেশ দীর্ঘ সময় তিনি কাটিয়েছিলেন রামকৃষ্ণর সান্নিধ্যে|গুরুর নাম গ্রহণ করা শাস্ত্রমতে বারণ তাই শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁকে ‘ল্যাংটা’ বা ‘ন্যাংটা’ বলে উল্লেখ করতেন|
গঙ্গার ধারে পঞ্চবটি উদ্যানে ধুনী জ্বালিয়ে তিনি সাধনা করতেন এখানেই তার কাছে দীক্ষা নিয়ে নিয়ে ছিলেন স্বয়ং রামকৃষ্ণ আবার আশ্চর্য জনক ভাবে ঠাকুরের অলৌকিক ক্ষমতা ও তার অগাধ জ্ঞানের পরিচয় পেয়ে গুরু তোতাপুরী বিদায় নেয়ার আগে শিষ্য রামকৃষ্ণর কাছে দীক্ষা নিয়ে যান|

তোতাপুরীর মতে সকলই ছিল মায়া। দেব-দেবীর মূর্তিপূজাকেও তিনি উপহাস করতেন। বিশ্বাস করতেন এক ও অদ্বিতীয় ব্রহ্মে কিন্তু রামকৃষ্ণ তার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দেন, এক্ষেত্রে এক অলৌকিক ঘটনার ও উল্লেখ পাওয়া যায়, একবার দক্ষিনেশ্বরে থাকা কালীন পেটের যন্ত্রনায় কাবু তোতাপুরী গভীর রাতে গঙ্গায় প্রান বিসর্জন দিতে গিয়ে দেখলেন কোথাও ডুবজল নেই, হেঁটেই পার হওয়া যায় গঙ্গা, তিনি উপলব্ধি করলেন ভবতারিনীর লীলা, সাক্ষাৎ করলেন স্বয়ং মা জগদম্বাকে, শরীরের সব যন্ত্রনা মুহূর্তে গায়েব হয়ে গেলো|
শিষ্য কে বললেন সব কথা মেনে নিলেন মায়ের উপস্থিতি|মেনে নিলেন ঠাকুর রামকৃষ্ণের শ্রেষ্ঠত্ব পাল্টা দীক্ষাও নিলেন তার কাছে,গুরুকে পাল্টা দীক্ষা দানের এই ঘটনা ভারতের আধ্যাত্মিক জগতে বিরলতম|

আজকের পর্ব এই মহান সাধককে প্রনাম জানিয়ে শেষ করলাম, পড়তে থাকুন আবার আগামী পর্বে দেখা হবে আর যারা ফোন করতে চান অনলাইন কন্সালটেন্সির জন্যে বা অন্য কোনো জ্যোতিষ সংক্রান্ত কাজে তাদের জন্যে পোস্টে নাম্বার উল্লেখ করাই আছে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|

শক্তিপীঠ – যশোরেশ্বরী কালী মন্দির

সারা চৈত্রমাস জুড়ে আপনাদের বেশ কিছু শিব মন্দির ও শিব সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিয়েছি, তবে শিব তো অর্ধ নারীস্বর, দেবী পার্বতী তার অর্ধেকটা জুড়ে আছে তাই শিব বন্দনা করার পাশাপাশি আজ একটি শক্তিপীঠের কথা লিখবো, আজকের পর্বে বাংলা দেশে অবস্থিত শক্তিপীঠ যশোরেশ্বরী|

সনাতন ধর্মের ৫১ পীঠের একটি যশোরেশ্বরী মন্দির|দেহত্যাগের পর দেবী সতীর শরীর যে ৫১ খণ্ড হয়ে যায় তার পাঁচটি খন্ড বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে এর মধ্যে এর মধ্যে সাতক্ষীরার ঈশ্বরীপুর গ্রামে সতীর করকমল বা পাণিপদ্ম পতিত হয়|

তন্ত্রচূড়ামণিতে বলা হয়েছে—

‘যশোরে পানিপদ্ম দেবতা যশোরেশ্বরী,/চণ্ডশ্চ ভৈরব যত্র তত্র সিদ্ধ ন সংশয়।’

অর্থাৎ যশোরে সতীর পাণিপদ্ম বা করকমল পড়েছে। দেবীর নাম যশোরেশ্বরী, ভৈরব হলেন চণ্ড। এই সতীপীঠে কায়মনোবাক্যে পুজো করলে ভক্তের মনোবাসনা পূর্ণ হয় বলে সর্বসাধারণের বিশ্বাস।

মনেকরা হয় বহু প্রাচীনকাল থেকেই এখানে এক অজ্ঞাত ব্রাহ্মণ কতৃক নির্মিত যশোরেশ্বরী মন্দির অবস্থিত ছিলো পরবর্তীকালে লক্ষ্মণ সেন ও প্রতাপাদিত্য কর্তৃক তাদের রাজত্বকালে এটির সংস্কার করা হয়েছিল|

মন্দির নিয়ে একটি অলৌকিক ও ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখও পাওয়াযায়, কথিত আছে,মহারাজা প্রতাপাদিত্যর আমলে তার সেনাপতি এখানকার জঙ্গল থেকে একটি আলৌকিক আলোর রেখা বের হয়ে মানুষের হাতেরর তালুর আকারের একটি পাথরখণ্ডের উপর পড়তে দেখেন।পরবর্তীতে তিনি ওই স্থানে কালীর পূজা করতে আরম্ভ করেন এবং এই কালী মন্দিরটি নির্মাণ করেন যা আজ যশোরেশ্বরী কালী মন্দির নামে প্রসিদ্ধ|এই মন্দির দর্শন করতে এসেছিলেন মোঘল সেনাপতি মানসিংহ|

বর্তমানে মন্দির-বেদির ওপর প্রতিষ্ঠিত মাতৃমূর্তির শুধু মুখমণ্ডলই দৃষ্টিগোচর হয়|মায়ের মাথার ওপর টকটকে লাল রঙের চাঁদোয়া। কণ্ঠে রক্তজবার মালা ও নানা অলংকার। মাথায় সোনার মুকুট। লোলজিহ্বা দেবীর ভীষণা মূর্তি তবে মুখ মন্ডলে এক অদ্ভুত প্রশান্তি ও স্নিগ্ধতা|

শ্রীযশোরেশ্বরীর পুজো তন্ত্রমতে হয় এবং প্রতিবছর মন্দিরে খুব ধুমধাম করে শ্যামাপুজো হয় যা দর্শন করতে আসেন অসংখ্য মানুষ ও নিজেরদের মনোস্কামনা জানান দেবীর কাছে|

আজ এখানেই শেষ করছি, দেখা হবে পরের পর্বে, জানিয়ে রাখি প্রতিদিনের টিভির প্রোগ্রাম ছাড়াও আবার ইউটিউব এর অনুষ্ঠান নিয়ে ফিরবো কিছুদিনের মধ্যে আর লেখা লেখি তো চলছেই, যুক্ত হন হৃদয়েশ্বরী সর্বমঙ্গলা মায়ের মন্দিরের সাথে, নজর রাখুন আমার ওয়েবসাইট এ আর যেকোনো জ্যোতিষ সংক্রান্ত কাজে যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে আমাকে পাবেন প্রত্যেক দিন অনলাইনে এবং চেম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|

মন্দির রহস্য – বিজলি বাবার মন্দির

আজ মন্দির রহস্য পর্বে লিখবো হিমাচল প্রদেশের এক রহস্য ময় শিব মন্দিরের কথা যা বিজলি বাবার মন্দির নামে খ্যাত,কেনো এই অদ্ভুত নাম তা পুরোটা পড়লেই বেশ বুঝতে পারবেন|

হিমাচল প্রদেশ মানেই দেবভূমি। হিমাচলে বহু রহস্যে মোড়া দেবদেবীর মন্দির রয়েছে। তেমনই এক মন্দির এই বিজলি বাবার মন্দির।কুলুর ব্যাস ও পার্বতী নদীর সঙ্গমস্থলে এই মন্দির অবস্থিত|

মহাদেবের এই মন্দিরে প্রতি ১২ বছরে একবার ভয়ঙ্কর বজ্রপাত হয় বজ্রপাতকেই হিন্দিতে বলে বিজলি আর সেই কারনেই এই নাম|প্রতি বারো বছর অন্তর বজ্রপাতে এই মন্দিরের শিবলিঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। সেই সময় মহাদেবের ক্ষত সারিয়ে তোলার জন্য|শিবলিঙ্গের ক্ষতে শুধু মাখনের প্রলেপ দেন মন্দিরের পূজারি।

কেনো বারো বছর পর পর এই বজ্রপাত তা জানতে গেলে এক পৌরাণিক ঘটনা জানতে হবে, পুরান অনুসারে এই অঞ্চলে একটা সময় কুলান্ত নামে এক দৈত্য থাকত। সেই দৈত্য সাপের রূপ ধরতে পারত। একদিন কুলান্ত বিরাটাকার অজগর সাপের রূপ ধরে মথান গ্রামের কাছে ব্যাস নদীতে কুণ্ডলি পাকিয়ে বসে ছিল। ফলে নদীর জলস্রোত বাধা পাচ্ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যে ওই অঞ্চলে নদীর জল বাড়তে থাকে। আসলে ওই দৈত্য কুলান্ত ওই গ্রামের সব মানুষকে জলে ডুবিয়ে মারতে চেয়েছিল। কিন্তু মহাদেব কুলান্তের এমন কাজে ক্ষুব্ধ হন। তখন তিনি এসে দাঁড়ান দৈত্যের সামনে এবং ত্রিশূল দিয়ে তাকে বধ করেন|

কথিত আছে, মহাদেব কুলান্তকে বধ করার পর দেবরাজ ইন্দ্রের কাছে প্রতি ১২ বছর পর ওখানে বজ্রপাত ঘটানোর আবেদন করেন। সেই আদেশ অনুসারে প্রতি বারো বছরে বজ্রপাত হয় যাতে ওই অঞ্চলে মানুষের কোনও ক্ষতি না হয় সেই জন্যে বজ্রপাত হয় মন্দিরের উপর।

আজ এখানেই থামলাম, তবে বিদায় নেয়ার আগে জানিয়ে রাখি জ্যোতিষ পরামর্শ বা প্রতিকারের জন্যে যারা আমার সাথে যোগাযোগ করতে চাইছেন তারা একবার উল্লেখিত নাম্বারে ফোন করে জেনে নেবেন আমাকে কবে কখন ও কোথায় পাবেন|ফিরবো আগামী পর্বে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ| 

মন্দির রহস্য – লিলুতিনাথ শিব মন্দির

ভারতের প্রাচীন মন্দির গুলো নিয়ে রহস্যর কোনো শেষ নেই সেই রহস্য একে একে আপনাদের সামনে আনতে শুরু করেছিলাম মন্দির রহস্য শীর্ষক এই ধারাবাহিক পর্ব গুলি|চৈত্র মাস অর্থাৎ শিবের মাস, তাই মাসে কয়েকটি রহস্যময় শিব মন্দিরের কথা আপনাদের জানাবো আজকের পর্বে লিলুতিনাথ শিব মন্দির

উত্তর প্রদেশে অবস্থিত এই লিলুতিনাথ শিব মন্দির,মন্দিরটি, রয়েছে ইউপির পিলভিট নামক স্থানে।বেশ কয়েকটি কারনে এই মন্দির বেশ রহস্যময় যার মধ্যে সবার প্রথমে বলতে হয় শিব লিঙ্গের রঙ পরিবর্তন|

এটি বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্দিরের শিবলিঙ্গ সূর্যের রশ্মির সঙ্গে সঙ্গে দিনে তিনবার তার রঙ পরিবর্তন করেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে এই ধারণা কোনো গুজব নয় একেবারেই সত্যি,এই মন্দিরে শিবলিঙ্গের রঙ সকালে কালো, বিকেলে বাদামী এবং এবং রাতে হালকা শ্বেত বর্ণ ধারণ করে
তবে আজও এই রঙ পরিবর্তনের কোনো ব্যাখ্যা বা কারন জানা যায়নি|

দ্বিতীয় যে কারনে মন্দিরটি রহস্যময় এবং অলৌকিক সত্ত্বার অধিকারী তা হলো মহাভারতের অমর চরিত্র অস্বথামার উপস্থিতি,একটি জনশ্রুতি রয়েছে যে অশ্বত্থামা আজও মধ্যরাতে এই মন্দিরে পুজো করতে আসেন এবং যখন তিনি আসেন, হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হয় এবং বৃষ্টিও হয়|স্থানীয় দের কাছে অত্যন্ত জাগ্রত ও জনপ্রিয় এই শিব মন্দির বহু দূর দূরান্ত থেকেও দর্শনার্থীরা আসেন
লিলুতিনাথ শিব মন্দিরে

শ্রদ্ধা ও ভক্তি সংক্রান্ত বিষয় গুলিকে যুক্তি দিয়ে বিচার না করাই ভালো, ভগবানের ইচ্ছায় সবাই সম্ভব তার লীলা বোঝা দায়, আমরা শুধু তার সামনে নিজেদের মাথা নত করতে পারি আর প্রার্থনা করতে পারি|আজ এই পর্ব এখানেই শেষ করলাম ফিরবো আগামী পর্বে নতুন কোনো রহস্য নিয়ে|পড়তে থাকুন, দেখতে থাকুন টিভির অনুষ্ঠান আর অবশ্যই যোগাযোগ করবেন জ্যোতিষ পরামর্শ ও প্রতিকারের জন্যে নাম্বার পোস্টে উল্লেখিত আছে |ভালো থাকুন|ধন্যবাদ| 

বাংলার শিব- জটেশ্বর শিব মন্দির

বাংলার বেশ কয়েকটি প্রাচীন শিবমন্দির নিয়ে ইতিমধ্যে লিখেছি এই ধারাবাহিক লেখনীতে, সেই পরম্পরা আরেকটু এগিয়ে নিয়ে যাবো আজকের পর্বে, আজ উত্তর বঙ্গের আলিপুরদুয়ারে অবস্থিত জটেশ্বর শিব মন্দির|

এই শিব মন্দিরের বয়স আনুমানিক প্রায় দুশো বছর, এই দীর্ঘ সময়ে একাধিকবার মন্দিরের সংস্কার হয়েছে তবে জটেশ্বর শিব কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল ও ভক্তি রয়েছে একই রকম, অনেক রহস্যময় ঘটনা ও অলৌকিক কাহিনী প্রচলিত আছে এই মন্দির নিয়ে, মন্দিরের স্থাপনা নিয়েও রয়েছে একটি জনশ্রুতি|

শোনা যায়, একবার মন্দির সংলগ্ন কাঠালবাড়ি গ্রামের গ্রামবাসীরা লক্ষ্য করেন জঙ্গলের ভিতর একটি দুগ্ধবতী গাভীর বাঁট থেকে অনবরত দুধ পড়ে যাচ্ছে, কৌতুহলী গ্রামবাসী খানিকটা এগিয়ে গিয়ে এক অলৌকিক দৃশ্য দেখলেন , তারা সামনে গিয়ে দেখতে পান মাটি ভেদ করে একটি পাথর উঠে আছে, এবং সেই পাথরেই গাভীর দুধ অনবরত পড়ে চলেছে|লোক মুখে এই অলৌকিক ঘটনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লো সর্বত্র|

পরবর্তীতে জমিদারের আদেশে লোক জন গিয়ে শিব লিঙ্গ টি বহন করে জমিদার বাড়িতে আনার সময় পথে এক স্থানে তা নামিয়ে রাখলেন বিশ্রামের জন্যে, অলৌকিক ভাবে পরে সেই স্থান থেকে শিব লিঙ্গকে ওঠানো আর সম্ভব হয়নি, এমনকি জমিদারের হাতিও ওই স্থান থেকে শিব লিঙ্গ এক চুল নাড়াতে পারেনি, ঐখানেই ছোট মন্দির বানিয়ে পুজো শুরু হয়|এর পর দীর্ঘ সময় কেটে যায়|

একদিন হঠাত্‍ করে এক উলঙ্গ সাধুর আবির্ভাব ঘটলো, ওই স্থানে তাকে সবাই ‘ কাথেয়া বাবা’ বলে ডাকতো, উনি দীর্ঘদিন পুজো দিয়েছিলন তারপর একদিন তিনিও কাউকে কিছু না বলে কোথায় চলে গেলেন|এরপর একদিন মিথিলা থেকে এক পুরোহিত এলেন, তিনি এসে স্থানীয়দের জানালেন তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়েছেন এখানে আসার জন্য এবং এই স্থানে তিনি এসে দেখেন স্বপ্নে যা যা দেখেছেন সব একশো শতাংশ সত্যি, তিনি লোকেদের সাথে কথা বলে নিয়মিত পুজোর ব্যাবস্থা করেন তৈরি হয় মন্দির|জটেশ্বর মহাদেব নামে এখানে পূজিত হন শিব|

আবার পরের পর্বে লিখবো অন্য কোনো প্রাচীন শিব মন্দিরের কথা, পড়তে থাকুন আর জ্যোতিষ সংক্রান্ত কাজে আমাকে প্রয়োজন বোধ করলে নির্দ্বিধায় ফোন করতে পারেন উল্লেখিত নাম্বারে অনলাইন ও চেম্বারে আমাকে পাবেন প্রত্যেক দিন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|

ভারতের সাধক – মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য

ভারতের মহান সাধক দের কথা বলা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে যদি বাংলার নবজাগরনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব ও মহান সাধক শ্রী চৈতন্যদেবের কথা না বলা হয়,আর তার কথা বলার এটাই শ্রেষ্ট সময় কারন আর কিছু দিন পরই দোল পূর্ণিমা, 1486 সালের এমনই এক দোল পূর্ণিমায় বাংলার শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চার তৎকালীন পীঠস্থান নবদ্বীপে জন্মে ছিলেন গৌরাঙ্গ যিনি কৃষ্ণ সাধনায় নিজেকে সম্পূর্ণ রূপে বিলিয়ে দিয়ে হয়ে উঠলেন মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য|

নিম গাছের ছায়ায় তিনি জন্মে ছিলেন তাই নাম রাখা হয়ে ছিলো নিমাই, আসুন আজকের পর্বে জেনে নিই তার জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক , কিছু অলৌকিক ঘটনা|

সচি মাতার গর্ভে তার জন্ম, অকালে পিতৃ বিয়োগ,টোলে শিক্ষা দান, লক্ষী প্রিয়া এবং বিষ্ণু প্রিয়ার সাথে তার বিবাহ, পরবর্তীতে গয়ায় যাত্রা, সন্ন্যাস ও পুরী ভ্রমণ সারা বাংলায় কৃষ্ণ প্রেমের প্রচার এবং শেষে রহস্যময় অন্তর্ধান, এসবই হয়তো আপনারা জানেন, আগেও পড়েছেন বহুবার|শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবন নিয়ে হয়েছে নানা গবেষণা ।

আজও অনেকঐতিহাসিক এই বিষয়ে
গবেষণা চালাচ্ছে। অসংখ্য রহস্য ময় ঘটনার উল্লেখ রয়েছে তার জীবন জুড়ে এবং সর্বোপরি তার মৃত্যু বা অন্তর্ধান আজও এক রহস্য|এর মধ্যে একটি বিশেষ ঘটনা আজ উল্লেখ করবো

বহু দূর দূর থেকে চৈতন্য দেবের ভক্তরা আসতেন তার সাথে দেখা করতে, এমনই একবার চৈতন্য দেবের সাথে সাক্ষাত করার জন্য সুদূর বৃন্দাবন থেকে নবদ্বীপ ধামে এসেছেন সনাতন নামে এক ব্যাক্তি।সারা দেহে খোস পাঁচড়া নিয়ে রোগ যন্ত্রণায় কাতর হয়ে তিনি মনে মনে স্থির করেছেন চৈতন্য দেবের সাথে দেখা করে আগামী রথযাত্রায় রথের চাকার তলায় আত্মহত্যা করবেন।
একদিন চৈতন্যদেবের সাথে সনাতন গল্প করছিলেন। হটাৎ চৈতন্য দেব, সনাতনকে বললেন – সনাতন,আত্মহত্যার সংকল্প ত্যাগ কর। আত্মহত্যা মহাপাপ। এতে কখনো কৃষ্ণ প্রাপ্তি হয়না।অবাক হয়ে গেলেন সনাতন। আত্মহত্যা করার কথা কাউকে জানাননি। তাহলে কী করে চৈতন্য দেব এই কথা জানলেন। এই ভাবেই অপরের মনের কথা জানতে পারতেন চৈতন্য মহাপ্রভু|আরো আশ্চর্য জনক ঘটনা হলো এর কিছুদিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেলেন সনাতন|এর জন্য কোনো চিকিংসা করতে হয়নি।এবং আত্মহত্যার ভূত মাথা থেকে একদম মুছে যায়|

আরেকটি ঘটনার কথা বলা যায়,
একবার মহপপ্রভু শ্রীনিবাস ঠাকুরেরর বাড়িতে এক অপূর্ব অলৌকিক লীলা প্রদর্শন করেন। তখন প্রবলভাবে সংকীর্তন হচ্ছিল। তিনি ভক্তদের জিজ্ঞাসা করলেন যে, তাঁরা কি খেতে চান, এবং তাঁরা জানালেন যে, তাঁরা আম খেতে চান, তখন তিনি আমের আটি চাইলেন। তখন আমের সময় ছিল না, আঁটিটি যখন তাঁর কাছে আনা হল, তখন তিনি সেটি শ্রীনিবাস ঠাকুরের অঙ্গনে পুঁতলেন এবং তৎক্ষণাৎ সেই আঁটিটি অঙ্কুরিত হয়ে ক্রমন্বয়ে বর্ধিত হতে লাগল। অচিরেই সেটি একটি আম গাছে পরিণত হল এবং সেই গাছে এত সুপক্ব আম ধরল যে, ভক্তরা তা খেয়ে শেষ করতে পারলেন না। গাছটি শ্রীনিবাস ঠাকুরের অঙ্গনেই রইল এবং ভক্তরা সেটি থেকে তাঁদের যত ইচ্ছে আম নিয়ে খেল। ভক্তরা মহাপ্রভুর এই অপ্রাকৃত লীলা দেখে মুগ্ধ হলো|এখনও সেই গাছ শ্রীনিবাস গৃহের উঠোনে বর্তমান|

মহা প্রভুর মাত্র আটচল্লিশ বছরের জীবন কালে এমন অনেক অলৌকিক ঘটনা আছে লিখতে গেলে পাতার পর পাতা শেষ হয়ে যাবে, চৈতন্য চরিতামৃত সহ অসংখ্য গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে সব তথ্য, গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজ এবং পরবর্তীতে কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ মহা প্রভুকে অবতার হিসেবে প্রচার করেছে গোটা বিশ্বে|সারা বিশ্ব কে তিনি দিয়েগেছেন কৃষ্ণ নাম যে নাম আজ ছড়িয়ে পড়ছে দাবানলের মতো সারা পৃথিবীতে|জাতী ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মহা প্রভু সবাইকে আপন করে নিয়ে ছিলেন|তার সাধনা ছিলো একটাই মানুষকে ভালো বাসা, আর কৃষ্ণের চরণ যুগলে নিজেকে সম্পূর্ণ রূপে সপেঁ দেয়া, তার সাধনার পদ্ধতিও ছিলো সরল মৃদঙ্গ ও হরে কৃষ্ণ মহা মন্ত্র|

জন্মতিথীর ঠিক আগে মহাপ্রভুকে আমার শ্রদ্ধা ও প্রনাম জানিয়ে শেষ করলাম আজকের এই বিশেষ পর্ব, জানাবেন কেমন লাগছে আমার এই আধ্যাত্মিক লেখালেখি আর জ্যোতিষ পরামর্শ বা প্রতিকারের বিষয়ে জানতে ফোন করবেন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ| 

শিব কথা – শিব তত্ত্ব

শিব সংক্রান্ত অনেক পৌরাণিক কাহিনী আপনাদের বলেছি ইতিমধ্যে আজ জানবো কেনো মহাদেব সর্বদা রুদ্রাক্ষ ধারন করে থাকেন কেন তাঁর হাতে ত্রিশূল, কেন তাঁর হাতে ডমরু, কেন সাপ তাঁর সঙ্গী, কেনোই বা তার জটায় চন্দ্র ও গঙ্গা আর কি কারনে তিনি বাঘ ছালে বসে থাকেন আর তার ত্রিশূলের কি আধ্যাত্মিক তাৎপর্য তাও জানবো|

শিব ঠাকুরের ত্রুশূলে বাঁধা ডমরু বেদ এবং তার উপদেশের প্রতীক যা আমাদের জীবনে এগিয়ে চলার রাস্তা দেখায়৷মহাদেবের ত্রিশূল তিনটি শক্তির প্রতীক- জ্ঞান, ইচ্ছা এবং সম্মতি৷তিনি এই তিনটি জ্ঞান তার নিয়ন্ত্রণে রাখেন|

শিবের গলায়-মাথায় নাগের উপস্থিতি সর্বদা দেখা যায়, যা পুরুষের অহংকারের প্রতীক বলে মনে করা হয়৷রুদ্রাক্ষ আসলে শুদ্ধতার প্রতীক৷ অনেকক্ষেত্রে তাঁর হাতে রুদ্রাক্ষমালা থাকে যা ধ্যানমুদ্রার সূচক বলে জানা যায়৷

শিবের জটার থেকে নির্গত জল- মহাদেবের জটাতে অনেকসময় একটি চেহারা দেখতে পাওয়া যায়৷ আসলে তিনি হলেন গঙ্গা নদী৷ য়অনেক ছবিতে আবার চেহারার পরবর্তে জটা থেকে নির্গত জলধারা দেখতে পাওয়া যায় এবং শিব ঠাকুরের মাথার চাঁদ এই ইঙ্গিত দেয় যে, কাল সম্পূর্ণরূপে তাঁর নিয়ন্ত্রণে৷

শিব ঠাকুরের সব ছবিতেই দেখা যায় তিনি বাঘছাল পরে রয়েচেন, আবার কোনও কোনও ছবিতে এও দেখা যায় যে তিনি বাঘ ছালের ওপর বসে রয়েছেন৷ আসলে এই বিষয়টি নির্ভয়তারই প্রতীক৷শিবের কপালের তৃতীয় নেত্র-কে জ্ঞানের প্রতীক বলে মনে করা হয়৷ অনেক ক্ষেত্রে বলা হয়, তিনি রেগে গেলে এই তৃতীয় চোখটি খুলে যায় এবং সব কিছু ভস্ম হয়ে যেতে পারে তাতে৷

আশা করি ভালো লাগবে এই সহজ সরল ব্যাখ্যা ও উপস্থাপনা, জানাবেন, আর অবশ্যই যোগাযোগ করবেন যেকোনো জ্যোতিষ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে, সমাধান আমি বলে দেবো, ভালো থাকবেন|ধন্যবাদ|