যদিও আমরা সকলেই হনুমানজীকে ব্রহ্মচারী বলে জেনে এসেছি। কিন্তু আপনি হয়ত জানেন না হনুমানজীর একবার বিবাহও হয়েছিল|শাস্ত্রে উল্লেখিত এই রহস্যই আজ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো| পবনপুত্র একাধারে বিবাহিত ছিলেন এবং আবার তিনি বাল ব্রহ্মচারীও ছিলেন। কিছু বিশেষ পরিস্থিতির কারণে বিশ্ব জগতের কল্যাণে বজরঙ্গবালীকে সর্বচ্চলার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হয়েছিল। এই ঘটনার উল্লেখ আছে পরাশর সংহিতায়।পরাশর সংহিতায় বলা আছে যে সূর্যদেব নিজেই এই বিবাহ সম্পর্কে বলেছেন যে – এই বিবাহ বিশ্বজগতের কল্যাণে করা হয়েছে এবং হনুমানজীর ব্রহ্মচর্য এতে কোন ভাবেই প্রভাবিত হয়নি।হনুমানজীকেও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হয়েছিল। তবে এর অর্থ এই নয় যে ভগবান হনুমান ব্রহ্মচারী ছিলেন না। হনুমানজীকে একবার বিশ্বজগতের কল্যাণে বিবাহ করেতে হয়েছিল। তিনি বিবাহ করেছিলেন সূর্য দেবের কন্যা সর্বচ্চলাকে। ছোট বেলায় হনুমানজী সূর্যদেবকে ফল মনে করে খেতে যাওয়া সূর্যদেবকেই তার গুরু মেনে নেন। তিনি সূর্যদেবের কাছ থেকে মোট নয়টি বিদ্যা রপ্ত করতে গেছিলেন। প্রথম পাঁচটি বিদ্যা উনি শেখার পর শেষ চারটি বিদ্যার জন্য উনি অসমর্থ ছিলেন। কারন শেষ চারটি বিদ্যার জন্য ওনাকে বিবাহিত হতে হত। কিন্তু উনিতো ব্রহ্মচারী। শেষে উনি বিবাহের জন্য রাজি হন। উনি বিবাহ করেন সূর্যদেবেরকন্যা সর্বচ্চলাকে। সর্বচ্চলা ছিলেন একদিকে তপাস্বী ও তেজস্বী। সূর্যদেব ওনাকে বলেছিলেন সর্বচ্চলার তেজ এক তুমিই সম্বরণ করতে পারবে। হনুমানজী কিন্তু বিবাহ করলেও ব্রহ্মচারীই ছিলেন।সর্বচ্চলা বিবাহের পর আবার তপস্বায় চলে যান। হনুমানজী সূর্যদেবের কাছে তাঁর সম্পূর্ন বিদ্যা শেষ করেন।তেলেঙ্গানার খাম্মাম জেলায় হনুমানজী ও সর্বচ্চলার একটি মন্দির আছে অনেক পুরোন।তাঁকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকেরা আসেন। কথিত আছে যে হনুমান জি তাঁর স্ত্রী সর্বচ্চলার মন্দির দর্শনের পরে ঘরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চলার সমস্ত উত্তেজনা শেষ হয়। আগামী দিনে পুরান রহস্যর নতুন পর্বে নতুন কোনো রহস্য নিয়ে ফিরে আসবো|চেম্বার ভিসিট ও অনলাইন জ্যোতিষ চর্চা দুই চলছে সমান তালে প্রয়োজনে উল্লেখিত নাম্বারে যোগাযোগ করতে দ্বিধা করবেননা|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|