গণেশে চতুর্থীর প্রাক্কালে আজ পুরান রহস্যর এই পর্বে গনেশের বিবাহ নিয়ে লিখবো|বাংলার দুর্গোৎসবের সময়ে কলা বউ স্নান করানোর রীতি আছে|অনেকে মনে করেন এই কলা বউ গণেশের স্ত্রী|পুরান কিন্তু অন্য কথা বলছে| শিব পুরাণ অনুসারে প্রজাপতি ব্রহ্মার দুই কন্যা সিদ্ধি ও বুদ্ধির সঙ্গে বিয়ে হয় গণেশের। দুই স্ত্রীর সঙ্গেই গণেশের একজন করে সন্তানের জন্ম হয়। সিদ্ধির গর্ভে জন্মান ক্ষেম। আর বুদ্ধির সন্তানের নাম লাভ। তবে গণেশের দুই স্ত্রীর নাম নিয়ে কিন্তু মতভেদ রয়েছে। কোথাও গণেশের দুই বউয়ের নাম তুষ্টি ও পুষ্টি আবার কোনো শাস্ত্রে ঋদ্ধি ও বুদ্ধি। গনেশের জন্ম ও তার অদ্ভুত রূপ নিয়ে যেমন অনেক পৌরাণিক ঘটনা আছে তেমন তার বিবাহ নিয়েও পুরানে একটি ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায় বিবাহ স্থির করার আগে মহেশ্বর কার্তিক ও গণেশ কে বললেন–তোমরা দুজনেই আমাদের কাছে সমান। আমরা ঠিক করেছি যে আগে পৃথিবী পরিক্রমা করে আসবে, তার আগে বিয়ে হবে।কার্তিক তার বাহন ময়ুরে চড়ে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করতে বেরিয়ে পড়লেন|বেগতিক দেখে বুদ্ধিমান গণেশ এক অদ্ভুত কান্ড করে ফেললেন|তিনি তার পিতা মাতা কেই সাত বার প্রদক্ষিণ করলেন ভক্তি সহকারে ও বললেন পুত্রের প্রধান তীর্থ পিতা-মাতার পাদপদ্ম। তেমনি স্বামীই পত্নীর পরম তীর্থক্ষেত্র। এখন আমি আপনাদের প্রদক্ষিণ করলাম। এতো পৃথিবী পরিক্রমা হল আর যদি না হয়ে থাকে তাহলে বেদবাক্যকে মিথ্যা বলতে হয়। যথারীতি এই উত্তরে প্রসন্ন হয়ে শিব ও পার্বতী তাদের প্ৰিয় পুত্র গনেশের বিবাহ আগে স্থির করেন ও যথা সময়ে গণেশের বিবাহ সম্পন্ন হয়| আজ পুরান রহস্য এইখানেই শেষ করলাম|আবার আগামী দিনে নতুন লেখা নিয়ে ফিরে আসবো|যারা চেম্বারে বা অনলাইনে জ্যোতিষ সংক্রান্ত প্রয়োজ নিয়ে যোগাযোগ করতে চান একবার উল্লেখিত নাম্বারে ফোন করে নেবেন|ভালো থাকুন|নমস্কার|