গণেশ বন্দনা

670

আজ গণেশ চতুর্থী তে মূলত তার আমরা বিঘ্নহর্তার জন্ম তিথি উদযাপন করি ঘরে ঘরে এবং তার কাছে প্রার্থনা জানাই নিজেদের আধ্যাত্মিক ও বৈষয়িক উন্নতির|গণেশকে নিয়ে আমাদের পুরানে অসংখ্য ঘটনার উল্লেখ আছে|গনেশের মূর্তিতে তার একটি দাঁত ভাঙা|এনিয়েও আছে পৌরাণিক ব্যাখ্যা|মনে করা হয়, একবার পরশুরাম দেবাদিদেব মহাদেবের সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁর গৃহে যান। কিন্তু গণপতি দরজাতেই তাঁকে আটকে দেন। ভেতরে প্রবেশ করতে দেন না। কারণ সেই সময় মহাদেব ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। তখনই ক্রোধান্বিত হয়ে পরশুরাম গণপতির একটি দাঁত কেটে দেন তার অস্ত্র দিয়ে|

আরেকটি ব্যাখ্যা আছে,পুরাণ অনুসারে, একটি শর্তেই এই মহাকাব্য বলা ও লেখার কাজ করা হয়েছিল। শর্ত ছিল, একটানা বলে যাবেন বেদব্যাস আর তা একটানা একটুও না থেমে লিখে যাবেন গণপতি|তাই চলছিল,এই ভাবে টানা লিখতে লিখতে এক সময় হঠাৎই লেখার পালকটি ভেঙে যায়। তখন লেখা না থামিয়ে গণপতি নিজের একটি দাঁত ভেঙে নিয়ে তা দিয়ে লেখা চালিয়ে যান।

গণেশ বন্দনা চলবে সারা বছর তবে এই বিশেষ দিনে তাকে শাস্ত্রীয় পদ্ধতি অনুসারে সন্তুষ্ট করুন পুজোর মাধ্যমে ও উপাচারের মাধ্যমে|সবাইকে গণেশ চতুর্থীর শুভেচ্ছা|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|