Home Blog Page 24

শিব মাহাত্ম – আদি শিব লিঙ্গর আবির্ভাব

শিব মাহাত্ম – আদি শিব লিঙ্গর আবির্ভাব

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

শিব রাত্রি মূলত আদি শিব লিঙ্গের আবির্ভাব তিথি। আজকের পর্বে সেই আদি শিব লিঙ্গের আবির্ভাব নিয়ে লিখবো।

 

শিব পূরাণ মতে এক সময় ভগবান বিষ্ণু এবং ব্রহ্মার মধ্যে কোনো এক কারনে ভিষণ বিবাদ দেখা দিয়েছিল। লড়াই প্রায় বাঁধে বাঁধে। সেই সময় হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলতে থাকা একটা কালো স্তম্ভ দুই দেবাতার মাঝে আর্বিভাব হয়। এই স্তম্ভ হঠাৎ করে এল কীভাবে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্রহ্মা ঠিক করেন পিলারের উপরের দিকে গিয়ে দেখবেন কোথায় এর শেষ, আর বিষ্ণু দেব যাবেন নিচের দিকে।

 

সেই মতো দুজনে বেরিয়ে পরলেন ব্রহ্মা হংসের রূপ নিলেন ও বিষ্ণু বরাহ হলেন |কিন্তু কোটি বছর কেটে যাওয়ার পরেও কেউই স্তম্ভের শুরু অথবা শেষ প্রান্ত খুঁজে উঠতে পারলেন না। অবশেষ বিষ্ণু দেব ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। কারণ তাঁর মনে হয়েছিল এই কালো স্তম্ভ হল অনাদি এবং অনন্ত। অর্থাৎ এর না আছে শুরু, না শেষ। কিন্ত অন্যদিকে পিলার উপরের দিকে চলতে চলতে ব্রহ্মা দেখতে পেলেন একটা কেতকী ফুল পরে রয়েছে। কোটি বছরে চলে ক্লান্ত ব্রহ্মা দেব ঠিক করলেন কিছু সময় ওকটু জিরিয়ে নেবেন এবং এমন আজব স্থানে কেতকী এল কীভাবে তাও জেনে নেবেন। সেই মতো তিনি কেতকীকে প্রশ্ন করাতে জবাব এল, “আমি ভগবান শিবের মাথায় ছিলাম। এক সময় আমার মনে হল আমার থেকে শক্তিশালী আর কেউ না, কারণ আমার স্থান দেবাদিদেবর মাথায়।” আর ঠিক সে সময়ই শিব ঠাকুর মাথা দোলাতে কেতকি ফুল পরে গেলেন সর্বশক্তিমানের মাথা থেকে। সেই থেকেই এই স্থানে পরে রয়েছে কেতকী ফুল। ঘটনাটা শুনতে শুনতেই ব্রহ্মার মাথায় একটা বুদ্ধি এসে গেলো । তিনি কেতকীকে বললেন ফুলটি যদি তাঁর সঙ্গে যায় এবং বিষ্ণুর কাছে গিয়ে বলে যে ব্রহ্মা এই পিলারের শেষ প্রান্ত খুঁজে পেয়েছেন, তাহলে ব্রহ্মা দেব স্বয়ং কেতকীকে আশীর্বাদ করবেন।

 

ব্রহ্মার কথা শুনে ফুলটি রাজি হয়ে গেলে এবং বিষ্ণুর কাছে গিয়ে বললো, কেতকী সাক্ষী ছিল যখন ব্রহ্মা পিলারের শেষ প্রান্তে পৌঁছে ছিলেন। কিন্তু বিষ্ণু দেব নিজ অসফলতা মেনে নিলেন। আর ঠিক তখনই দেবাদিদেবের আর্বিভাব ঘটল। ব্রহ্মা এবং কেতকীকে মিথ্যা কথা বলতে দেখে দেবাদিদেব এতটাই রেগে গেলেন যে ভৈরব অবতারে এসে ব্রহ্মার পঞ্চম মাথা কেটেই ফেললেন। আর কেতকীকেও চরম শাস্তি দিলেন। আর সত্যের সাথে থাকার জন্য ভগবান বিষ্ণুকে দু হাত ভরে আশীর্বাদ করলেন দেবাবিদেব।

 

পরবর্তীপর্বে আপনাদের শিবের সেই কাল ভৈরব রূপের কথা বলবো যে রূপে তিনি ব্রহ্মার মাথা ছিন্ন করেছিলেন। সঙ্গে থাকুন। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

মহা শিবরাত্রির শুভেচ্ছা

মহা শিবরাত্রির শুভেচ্ছা

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

তিথি অনুসারে আজ মহা শিব রাত্রি। দেবাদিদেব মহাদেবকে জানাই প্রণাম এবং প্রতিটি শিব ভক্তকে জানাই মহা শিব রাত্রির শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

শিবরাত্রি’ কথাটা দুটি শব্দ থেকে এসেছে। ‘শিব’ ও ‘রাত্রি’, যার অর্থ শিবের জন্য রাত্রী। শিবরাত্রির সঙ্গে জড়িত আছে নানা পৌরাণিক কিংবদন্তী।

পুরাণ মতে দেবী পার্বতীর সঙ্গে এদিন দেবাদিদেব মহাদেবের বিবাহ হয়।শিব রাত্রির এই তিথিতেই প্রকট হয়েছিলো আদি শিব লিঙ্গ।  যজ্ঞের মধ্যে যেমন অশ্বমেধ যজ্ঞ, তীর্থের মধ্যে যেমন গঙ্গা তেমনই পুরাণ অনুযায়ী ব্রতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হল শিব চতুর্দশীর ব্রত। তাই শিবরাত্রির ব্রত পালন করলে ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ- এই চতুর্বিধ ফল লাভ হয়।

দেবাদিদেব মহাদেবের আরাধনা করার সর্বশ্রেষ্ঠ দিন মহা শিবরাত্রি এদিন ভক্তি মনে পুজো করলে বাবা ভোলেনাথের ভক্তদের মনবাঞ্ছা পূরণ হয়।মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে শিবরাত্রি পালন করা হয়।

সবাইকে আরো একবার জানাই শিব রাত্রিরশুভেচ্ছা|ফিরে আসবো দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ সংক্রান্ত আলোচনা নিয়ে আগামী পর্বে। পড়তে থাকুন। ভালো থাকুন।হর হর মহাদেব|

আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে বিশেষ পর্ব 

আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে বিশেষ পর্ব

 

শ্রী শ্রী বামা ক্ষ্যাপার অলৌকিক কীর্তি

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

শিব চতুর্দশীতে অবির্ভুত হয়ে ছিলেন তারা পীঠের বামা ক্ষ্যাপা। তাই তার আবির্ভাব দিবস বেশ ঘটা করে পালন করা হয় এই তিথিতে। আজকের পর্বে বামা ক্ষেপার অলৌকিক জীবন প্রসঙ্গে

আলোচনা করবো।

 

তন্ত্র সাধনায় যে উচ্চতায় বামা ক্ষ্যাপা পৌঁছে ছিলেন তা মা তারার আশীর্বাদ ছাড়া অসম্ভব।

বামা যখন তারা পীঠে অবাধ বিচরণ করছেন তখন প্রায় প্রতিদিনই নানা অলৌকিক কান্ড ঘটাতেন তিনি।কখনো বামা চরণ শ্মশানে জ্বলন্ত চিতার কাছে বসে থাকতেন, কখনো বাতাসে কথা বলতেন। তার অদ্ভুত আচরণ বা ক্ষ্যাপামির কারণে তার নাম বামাচরণ থেকে বামাক্ষ্যাপা হয়। খেপা মানে পাগল। অর্থাৎ গ্রামবাসীরা তাকে অর্ধ পাগল মনে করত। আসলে তিনি ছিলেন অতি উচ্চ মানের সাধক এই ক্ষ্যাপামি ছিলো তার সত্ত্বার বাইরের আবরণ।

 

বামা ক্ষ্যাপার সঙ্গে তারা মায়ের সম্পর্ক মানে মা ছেলের সম্পর্ক আর তারা পীঠ বামা ক্ষ্যাপার কাছে মায়ের কোলের মতো। বামা তারা মাকে বলতেন বড়মার এবং মা মৌলাক্ষীকে বলতেন ছোটমা। শুধু বামা নন অনেক সাধকই মনে করেন এই দুই দেবী আসলে দুই বোন। যাই ফিরে আসি বামা ক্ষ্যাপার কথায়।

 

তারা পীঠে আসার পর শুরুর দিন গুলিতে বামাক্ষ্যাপার কাজগুলো ছিল অদ্ভুত। কখনো কখনো সারাদিন পূজা করতেন। কখনও কখনও তিনি দু তিন দিন পূজা করেন না। কখনো দেবীকে মালা পরাতেন আবার কখনো নিজে পরতেন।কখনো নিজে খেয়ে ভোগ দিতে যাচ্ছেন আবার কখনো ভোগ তুলে নিজে খেয়ে নিচ্ছেন। সাধনার এই পর্যায়কে শাস্ত্রীয় পূজা পদ্ধতির সাথে বাকি পান্ডারা মেলাতে পারতেন না। তারা ভাবতেন বামা উন্মাদ। অশাস্ত্রীয় আচরণ করছেন।যদিও পরে তাদের ভুল ভাঙে।

 

একদিন খবর রটে যায় বামা ভোগ নিবেদন করার আগেই দেবীর প্রসাদ খেয়েছেন এবং এতে ঘোর পাপ হয়েছে।দেবী রাগান্বিত হবেন, সারা গ্রামকে তার ক্রোধ বহন করতে হবে তাই গ্রামবাসীরা বামাচরণকে কঠোরভাবে মারধর করে। তাকে শ্মশানে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। তার মন্দিরে প্রবেশ কার্যত নিষিদ্ধ ঘোষণা হয়।এতে বামার ভীষণ অভিমান হয় তার বড়মার প্রতি।

 

সেই রাতেই রানীর স্বপ্নে দেখা দিল মা তারা

রাগান্বিত মা রাণীকে ভর্ৎসনা করলো-তোমার পুরোহিতরা আমার ছেলেকে আঘাত করেছে। আমি তোমার মন্দির ছেড়ে চলে যাচ্ছি। এখন তোমাকে ও তোমার রাজ্যকে আমার ক্রোধ সইতে হবে, তুমি যদি তা এড়াতে চাও, কাল আমার ছেলেকে ফিরিয়ে এনে মন্দিরে পূজার দায়িত্ব দাও, নইলে পরিণতি ভোগ করতে প্রস্তুত থাকো।

 

আতঙ্কে সারা রাত জেগে কাটালানে রানীমা ভোরে তিনি মন্দিরে ছুটে গেলেন। সব শুনলেন তারপর সেই সব পান্ডা দের তিরস্কার করলেন এবং তাদের মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করলেন। তারপর তার ভৃত্যদের আদেশ দিলেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বামাখেপাকে নিয়ে আসতে। বামার কিছুক্ষনের মধ্যেই প্রশমিত হলো। তিনি তারাপীঠ মন্দিরে যেতে রাজি হলেন। সেই দিন রানীমা আদেশ জারি করেন এই মন্দিরের পুরোহিত বামাক্ষ্যাপা। সে স্বাধীন। তার পথে কেউ আসলে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে।শুধু তাই না তারাপীঠে আগে বামা ক্ষ্যাপাকে ভোগ নিবেদন হবে তারপর তারা মাকে ভোগ দেয়া হবে।অর্থাৎ সন্তানকে খাইয়ে তারপর মা খাবেন। এই রীতি আজও একই ভাবে চলছে।

 

বামা ক্ষ্যাপার আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে তার অলৌকিক জীবন এবং মহিমা নিয়ে

ধারাবাহিক এই আলোচনা চলতে থাকবে আগামী পর্বেও। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

বিশেষ পর্ব – বামাক্ষ্যাপার আবির্ভাব তিথি

বিশেষ পর্ব – বামাক্ষ্যাপার আবির্ভাব তিথি

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

বাংলার ১২৪৪ সনে তারাপুরের কাছে আটলা গ্রামে সর্বানন্দ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজকুমারী দেবীর সংসারে বামা চরণ নামে এই অলৌকিক ক্ষমতা সম্পন্ন শিশুর জন্ম হয়।সেদিন ছিলো শিব চতুদর্শীর দিন।অর্থাৎ শিব চতুর্দশী বামা ক্ষেপার জন্ম তিথি। সেই উপলক্ষে আজ এই মহান মাতৃ সাধককে নিয়ে লিখবো।

বামচরণ এর আরো এক ভাই এবং চারজন বোন ছিলেন কনিষ্ঠ ভাই ছিলেন রামচন্দ্র এবং চার বোনের নাম যথাক্রমে জয়কালী, দূর্গা, দ্রবময়ী এবং সুন্দরী।বাকিরা গৃহস্ত জীবনে সাধারণ জীবন যাপন করলেও শৈশব থেকে বামা ছিলেন ব্যতিক্রমী। অন্তরমুখী এবং আধ্যাত্মিক প্রকৃতির এই ছেলেই পরবর্তীতে তারাপীঠে গিয়ে আশ্রয় নেন। ধীরে ধীরে মহান সাধক কৈলাশপতির সান্নিধ্যে এবং মাতৃ সাধনা করে হয়ে ওঠেন জগৎ বিখ্যাত বামা ক্ষ্যাপা।

স্বয়ং তারা মা তাকে দেখা দিয়ে আশীর্বাদে করেছিলেন।সেটি ছিল ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি।ভগবতী তারার সিদ্ধির জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধ মুহুর্ত। তখন রাতের সময় বামাখেপা জ্বলন্ত চিতার পাশে শ্মশানে বসে ছিল, যখন নীল আকাশ থেকে আলো ফুটে চারদিকে আলো ছড়িয়ে পড়ে।
এই আলোকে বামাচরণ মা তারার দর্শন পেয়েছিলেন। কোমরে বাঘের চামড়া পরা! এক হাতে অস্ত্র।এক হাতে মাথার খুলি, এক হাতে নীল পদ্ম ফুল, এক হাতে খড়গ। সেই দিন মা তারা বামার মাথায় হাত রাখাতে বামাক্ষ্যাপা সেখানে সমাহিত হয়। সমাধি অবস্থায় তিনি তিন দিন তিন রাত শ্মশানে অবস্থান করেন। তিন দিন পর জ্ঞান ফেরে এবং জ্ঞান ফেরার সাথে সাথে বামা চিৎকার করে এদিক ওদিক দৌড়াতে থাকে। গ্রামবাসীরা নিশ্চিত হয় যে বামা সম্পূর্ণ পাগল হয়ে গেছে। বামার এই অবস্থা একমাস ধরে চলে বলে শোনা যায়। তারপর ধীরে কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায়
ফিরে আসেন বামা ক্ষ্যাপা।

বামা ক্ষেপার অসংখ্য ভক্ত অনুরাগীরা এই শিব চতুর্দশীর সময়ে তারাপীঠে জমা হন কারন শিবচতুর্দশী তিথিতে বামাক্ষেপার আবির্ভাব তিথি পালন শুরু হয়। চারদিন ধরে চলে উৎসব। আটলা গ্রামে বসে মেলা এবং বামা ক্ষ্যাপার জন্মভিটেয় হয় চণ্ডীপাঠ।দ্বারকা নদীর জলে স্নান করানো হয় বামা ক্ষ্যাপার মূর্তি। বিশেষ পুজো এবং হোম যজ্ঞে অংশ নেন বহু দর্শণার্থী।

তার শৈশব থেকে কৈশোর এবং পরবর্তীতে জীবনের শেষ দিন অবধি নানা বিধ অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে তারাপীঠে। আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে দুটি পর্বে বামা ক্ষেপার অলৌকিক জীবন প্রসঙ্গে আলোচনা করবো।ফিরে আসবো
আগামী পর্বে।পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

শিব তীর্থ – পঞ্চমুখী শিব

শিব তীর্থ – পঞ্চমুখী শিব

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

পুরুলিয়ায় পিঁড়রা গ্রাম সংলগ্ন কংসাবতী

নদীর উত্তরপাড়ে অবস্থিত ‘বাবা পঞ্চমুখী ধাম’।

শিবের একটি ব্যতিক্রমী রূপ দেখতে পাওয়া যায়। পুজো পদ্ধতিও একটু আলাদা।আজকের পর্বে এই শিব মন্দির প্রসঙ্গে লিখবো।

 

শাস্ত্রে পঞ্চমুখি শিব কে পাঁচটি তত্ত্বর প্রতীক রূপে দেখা হয় আবার অনেকের কাছে পঞ্চমুখি সদাশিব

শিবের পঞ্চাক্ষরি মন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করছে।শিবের এই রূপকে পঞ্চানন্দ ও বলা হয়। প্রতিটি মুখের রয়েছে নিজস্ব নাম। নামগুলি যথাক্রমে ইশানা, তৎপুরুষ,অঘোর,বাম দেব, ব্রম্হা এবং সদ্যজাত।

 

শোনা যায় মহাভারতের যুগে পান্ডবদের সময়কাল থেকে এই মন্দিরের অস্তিত্ব রয়েছে । এই মন্দিরের সঠিক বয়স সম্বন্ধে কারুরই কোনো ধারণা নেই। এই মন্দিরে বাসস্থান রয়েছে চতুর্মুখী একটি শিবলিঙ্গের কিন্তু এখানে শিব পূজিত হন পঞ্চমুখী রূপে কারণ শিবের পঞ্চম তম মুখটি পুরোহিত নিজের মুখ হিসাবে পরিকল্পনা করেই পূজা করে থাকেন।যুগ যুগ ধরে চলে আসছে

এই প্রথা।

 

হিন্দু সনাতন ধর্মে একাধিক দেব দেবীর পুজোর প্রচলন থাকলেও মানুষের মধ্যে ভগবান বসবাস করেন এমনটাই বিশ্বাস রয়েছে। মানুষের মধ্যে যে সত্যিই যে ঈশ্বর বিরাজমান সেই তত্বকে এই মন্দিরে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তাই শিব মূর্তির মধ্যে নিজের প্রতিচ্ছবিকে কল্পনা করে পুজো করেন পুরোহিত। ভক্ত ও ভগবান এই ভাবে এখানে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। এমন টা সম্ভবত বাংলা তথা দেশের আর কোনো শিব মন্দিরে দেখা যায়না।

 

সারা বছর দর্শণার্থীরা আসেন তবে চৈত্র মাস এবং শ্রাবন মাসে বহু দুর দূরান্ত থেকে ভক্তদের সমাগম হয় এই মন্দিরে।এছাড়া শিব রাত্রিতে বিশেষ পুজো এবং জলাভিষেক হয় ভক্তদের বিশ্বাস বাবা পঞ্চমুখী শিব ভক্তদের সমস্ত মনোবাসনা পূরণ করে থাকেন। তিনি কাউকেই খালি হাতে ফেরান না তিনি পরম দয়াময়।

 

ফিরে আসবো শিব তীর্থ নিয়ে আগামী পর্বে এখনো বাংলার বহু প্রাচীন শিব মন্দির নিয়ে আলোচনা বাকি আছে। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

শিব তীর্থ – বানেশ্বর শিব

শিব তীর্থ – বানেশ্বর শিব

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

আজকের শিব তীর্থ পর্বে আলোচনা করবো

ঐতিহাসিক বানেশ্বর শিব মন্দির নিয়ে।

এই শিব মন্দির কোচ বিহার তথা সমগ্র উত্তর বঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় শিব তীর্থ।

বানেশ্বর রূপে ভগবান শিব এখানে পূজিত হয়ে আসছেন বহুদিন যাবত।

 

কোচ বিহারের আদি শাসক বংশ, অর্থাৎ কোচ রাজারা ছিলো বেজায় ধার্মিক ও পরম শিব ভক্ত যদিও কৃষ্ণ তাদের আরাধ্য তবু অন্যান্য দেব দেবীদের মূর্তিও তৈরি করিয়েছিলেন সারা রাজ্য জুড়ে, তাদের আমলের মন্দির গুলির মধ্যে অন্যতম একটি মন্দির হল ‘বানেশ্বর শিব মন্দির’।

 

যদিও মন্দির প্রতিষ্টার সঠিক দিন ক্ষণ পাওয়া যায়না তবে কোচবিহারের প্রবীণ মানুষেরা মনে করেন। কোচ রাজবংশের মহারাজা নর নারায়ণ এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার পরবর্তীকালে কোচবিহার রাজ্যের মহারাজা প্রাণ নারায়ণ এটিকে সংস্কার করেছিলেন এবং নব রূপ দিয়েছিলেন।

 

বানেশ্বর মন্দিরের প্রধান দালান থেকে ১০ ফুট নীচে, মন্দিররের গর্ভগৃহে রয়েছে আদি বানেশ্বর ‘শিব লিঙ্গ’ প্রধান মন্দিরের ডানদিকে সিমেন্টের তৈরি একটি নন্দী মূর্তি রয়েছে। মন্দিরের উত্তর দিকে একটি চালাঘরে শিব ও অর্ধনারীশ্বরের মূর্তি রয়েছে। অন্যান্য দিকে একটি কালী মূর্তি সহ আরও কিছু দেব দেবীর মূর্তিও রয়েছে।মন্দিরের সব থেকে বড় উৎসব শিব চতুর্দশীর সময় একটি সপ্তাহব্যাপী মেলা বসে এই মন্দির এলাকায়।তাছাড়া প্রতিদিনই পুজো হয় এবং বহু দর্শণার্থী আসেন পুজো দিতে|

 

মন্দিরের ঠিক পাশেই রয়েছে একটি বড় জলাশয় যেখানে অনেকগুলি কৃষ্ণ বর্নের বিরল প্রজাতির কচ্ছপ আছে। এই কচ্ছপ গুলি স্থানীয়ভাবে ‘মোহন’ নামে পরিচিত। এখানে এদেরকে খুব পবিত্র মনে করা হয় এবং এদের পুজোও করা হয়। আগে পুকুরের ঘাটের কাছে গিয়ে মোহন বলে ডাক দিলে দেখা পাওয়া যেত এদের।যুগ যুগ ধরে এই প্রাণী গুলি রয়েছে এই পুকুরে|কবে এবং কোথাথেকে তারা এই পুকুরে এলো সেই

প্রশ্নের উত্তর অজানা|তবে তারা কোচবিহারের বহু ইতিহাস ও বহু রাজনৈতিক এবং সামাজিক উত্থান পতনের নীরব সাক্ষী|বর্তমানে পুকুরটি ঘিরে দেওয়া হয়েছে তবুওদূর থেকেও কচ্ছপ গুলি দেখতে পাওয়া যায় মাঝে মাঝে।তাদের দর্শন পাওয়া সৌভাগ্যর ব্যাপারবলে মনে করা হয়।

 

বহু দুর দুর থেকে শিব ভক্তরা এই মন্দিরে আসেন তাদের মনোস্কামনা নিয়ে এবং বাবা বানেশ্বর তাদের মনোস্কামনা পূরণ করেন বলেই শোনা যায়।

 

ফিরে আসবো শিব তীর্থের পরবর্তী পর্ব নিয়ে আবার আগামী দিনে। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

শিব তীর্থ – ঘন্টেশ্বর শিব

শিব তীর্থ – ঘন্টেশ্বর শিব

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

হুগলি জেলার এক বিখ্যাত শৈবক্ষেত্র হল খানাকুলের বাবা ঘণ্টেশ্বরের মন্দির। সতীপীঠ রত্নাবলী মন্দিরের কাছেই বাবা ঘণ্টেশ্বরের অবস্থান।আজকের পর্বের আলোচ্য বিষয়

ঘন্টেশ্বর শিব।

 

ঘন্টেশ্বর মন্দিরের শিবলিঙ্গ টি ‘শয়ম্ভু’ বলে উল্লেখ আছে প্রাচীন তন্ত্র শাস্ত্র গুলিতে।এখানে একইসঙ্গে আছে রত্নাবলী কালী মন্দির, যেখানে সতীর বাম স্কন্ধ পড়েছিল বলে কথিত আছে। এছাড়া বিশালাক্ষী, অন্নপূর্ণা, ষষ্ঠী, ধর্ম ঠাকুর,ক্ষুদিরায়, নিতাই গৌড় ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা আছে। জায়গাটির মহিমার জন্য একে গুপ্তকাশী বলেও উল্লেখ করা হয়।

 

শোনা যায়, বহুকাল আগে খানাকুলেরই পার্শ্ববর্তী এক গ্রামের বাসিন্দা বটুক কারকের একটি গরু রোজ একটি শিমূল গাছের পাশে দুধ দিত। কিন্তু কোনও দিনই বাড়িতে দুধ দিত না গরুটি। প্রতিদিন একই ঘটনা দেখে মনে প্রশ্ন জাগে বটুকবাবুর। কৌতুহলের বশেই তিনি একদিন সেই নির্দিষ্ট জায়গাটি খনন করেন। কিছুটা খনন করতেই দেখা মেলে শিব লিঙ্গ। সেই শিব লিঙ্গই ঘন্টেশ্বর শিব নামে পূজিত হচ্ছে।একসময় নাকি তালপাতা ও মাটির ঘরেই থাকতেন বাবা ঘণ্টেশ্বর ও মা রত্নাবলী। পরবর্তীকালে গ্রামবাসীদের দান করা জমিতে গড়ে ওঠে মন্দির।

 

বটুক কারকের পরিবারই বংশ পরম্পরায় মন্দিরের রক্ষনা বেক্ষন এবং পুজোর দায়িত্বে আছে এবং একাধিক বার মন্দিরের সংস্কার হয়।

 

একসময় আরামবাগ মহকুমা জুড়ে ডোম, বর্গ ক্ষত্রিয় ইত্যাদি সম্প্রদায়ের মানুষ আদি বাসিন্দা হিসেবে বসবাস করতেন। তাদের আরাধ্য দেবতা ছিলেন ধর্ম ঠাকুর। পরবর্তীতে তারাই হয়ে ওঠেন ঘন্টেশ্বর মহাদেবের ভক্ত এবং তাদের পুজো পদ্ধতি মিশে যায় শিবের গাজনের সাথে।

 

শিব চতুর্দশী এবং শিব রাত্রিতে এখানে বড়ো করে পুজো হয় এবং বহু ভক্তের সমাগম হয়।

 

আবার যথা সময়ে ফিরে আসবো শিব তীর্থ নিয়ে আগামী পর্বে। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

শিব তীর্থ – তারকেশ্বর শিব

শিব তীর্থ – তারকেশ্বর শিব

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

বাংলার জাগ্রত এবং প্রসিদ্ধ শিব মন্দির গুলির মধ্যে অন্যতম তারকেশ্বর শিব মন্দির যা হুগলীতে অবস্থিত। আজকের শিব তীর্থ পর্বে জানাবো এই ঐতিহাসিক শিব মন্দিরের ইতিহাস এবং মাহাত্ম।

 

এখানে শিব বাবা তারকনাথ নামে পূজিত।তারক নাথের ধাম তারকেশ্বর নামে খ্যাতি লাভ করে।

শোনা যায়, রাজা ভরমল্ল জঙ্গলে একটি শিবলিঙ্গের স্বপ্ন দেখেন। তারপর তিনিই সেই শিবলিঙ্গ খুঁজে বের করেন। ১৭২৯ সালে সেই শিবলিঙ্গের ওপরেই গড়ে ওঠে বাবা তারকনাথের মন্দির।

 

আবার একটি প্রচলিত কিংবদন্তী অনুসারে তারকেশ্বর মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা বিষ্ণুদাস নামের এক শিবভক্ত।জনশ্রুতি আছে যে বিষ্ণুদাসের ভাই দেখেন স্থানীয় জঙ্গলে একটি কালো পাথরের ওপর গরুরা নিয়মিত দুধ দান করে আসে। এই অদ্ভুত দৃশ্য দেখে সে তিনি কথা বিষ্ণুদাসকে জানান। আর এর পরই স্বপ্নাদেশে ওই পাথরটিকে শিবজ্ঞানে পুজো শুরু করেন বিষ্ণুদাস।

শিবের তারকেশ্বর রূপ অনুসারে এই মন্দিরের নামকরণ করা হয়।

 

তারকেশ্বর মন্দিরটি বাংলা আটচালা শৈলীর মন্দির। মন্দিরের সামনে একটি নাটমন্দির অবস্থিত। অদূরেই কালী ও লক্ষ্মী-নারায়ণের দুটি মন্দির রয়েছে। তারকেশ্বর মন্দির সংলগ্নই রয়েছে একটি জলাশয়, যার নাম দুধপুকুর। ভক্তদের বিশ্বাস, দুধপুকুরে স্নান করলে মনের সব আশা পূর্ণ হয়। শোনা যায় শ্রী শ্রী সারদাদেবী নাকি বেশকয়েকবার এই মন্দির পুজো দিতে গিয়েছিলেন।

 

সারাবছরই তারকেশ্বর মন্দিরে পূণ্যার্থীদের ভিড় লেগে থাকে তবে শ্রাবণ মাসে শ্রাবনী মেলাতে প্রচুর জনসমাগম হয়। এছাড়া ফাল্গুন মাসে শিবরাত্রিও চৈত্র-সংক্রান্তিতে গাজন উৎসবেও বহু মানুষ আসেন। সমগ্র শ্রাবণ মাস জুড়ে প্রতি সোমবার শিবের বিশেষ পূজা হয়ে থাকে এবং সেই উপলক্ষে বহু মানুষের আগমন ঘটে এই শিব তীর্থে।

 

আবার ফিরে আসবো শিব তীর্থ নিয়ে যথা সময়ে। থাকবে একটি শিব মন্দিরের ইতিহাস এবং

শিব সংক্রান্ত নানা তথ্য। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

শিব মাহাত্ম – পশুপতি শিব

শিব মাহাত্ম – পশুপতি শিব

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

শিব যে শুধু দেবতাদের আরাধ্য দেবতা তা নয়। তিনি সমগ্র পশু সমাজের আরাধ্য। তাই শিবকে পশুপতি রূপেও পুজো করা হয়। নেপালে শিব পশু পতি রূপেই বিরাজমান। আজ শিবের এই বিশেষ রূপটি নিয়ে লিখবো।

 

কাঠমান্ডু শহরের খুব কাছে দিওপাটন শহরের বুকে,বাগমতি নদীর তীরে পশুপতিনাথ মন্দির অবস্থিত। হিন্দু ধর্মালম্বীদের কাছে এই মন্দিরটির গুরত্ব অপরিসীম|শিবের আরেক নাম হল পশুপতিনাথ। সেই নামেই এই মন্দিরটির নাম পশুনাথ মন্দির।নেপাল ভ্রমণকালে আমার এই মন্দির দেখার সৌভাগ্য হয়েছে।

 

পশুপতি নাথ মন্দিরটি কবে প্রতিষ্ঠা হয়েছে, সে সম্পর্কে কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়না তবে ঐতিহাসিকদের মতে চতুর্থ শতাব্দী থেকেই নেপালের এই জায়গায় মন্দিরটির অস্তিত্ব ছিল।মন্দিরকে কেন্দ্র করে একটি পৌরাণিক ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়।একবার শিব ও পার্বতী কাটমান্ডুর বাগমতী নতীর তীরে ভ্রমণ করতে এসেছিলেন। নদী তীরবর্তী উপত্যকায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুদ্ধ হয়ে হরিণের বেশ ধরে ওই এলাকায় ঘুড়ে বেড়াতে থাকেন দুজনে। কিন্তু দেবতারা পড়ে যান বিপদে ।শিব ছাড়া সৃষ্টি অচল প্রায়!অনেক কষ্টে শিবকে খুঁজে পেলেও দেবাদিদেব শিব এই স্থান থেকে যেতে নারাজ।বহু অনুরোধে পরে শিব ঠিক করেন তিনি কৈলাশে ফিরে গেলেও পশুদের পালন কর্তা হিসাবে এখানে তিনি পরিচিত হবেন। তারপর থেকেই এখানে শিবকে পশুপতিনাথ হিসেবে পূজা করা হয়।

 

পুরানে অবশ্য এই পশুপতি রূপে অন্য একটি ব্যাখ্যাও আছে যেখানে পশু অর্থাৎ সত্ত্বা এবং পতি অর্থাৎ অভিভাবক। একবার সব দেবতারা ব্রম্হার আহ্বানে সৃষ্টি যজ্ঞ করেন কিন্তু শিবকে আমন্ত্রণ জানাতে তারা ভুলে যান। শিব রুদ্র মূর্তি ধরে যজ্ঞ স্থলে আসলে দেবতারা ভীত হয়ে তার কাছে ক্ষমা চান এবং মহাদেবকে তাদের সমগ্র সত্ত্বার অধিকারী বা পশুপতি আখ্যা দেন।

 

শিব মাহাত্ম নিয়ে ফিরে আসবো আগামী পর্বে। থাকবে শিব সংক্রান্ত শাস্ত্রীয় আলোচনা এবং একটি শিব মন্দিরের কথা। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

শিব তীর্থ – শিব খোলার মহাদেব

শিব তীর্থ – শিব খোলার মহাদেব

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

শিলিগুড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দুরে পাহাড়ের আঁকা বাঁকা পথ পেরিয়ে নদী ও পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত রয়েছে এক বহু প্রাচীন শিবের মন্দির যা শিব খোলা শিব মন্দির নামে খ্যাত আজকের পর্বে এই শিব মন্দিরের মাহাত্ম আপনাদের জানাবো।

শতাব্দী প্রাচীন এই শিব ঠাকুরের মন্দির আজও রক্ষা করে চলেছে পাহাড়ের এই অপরূপ সৌন্দর্যকে তথা গোটা গ্রামকে।তবে এই মন্দিরে শুধু শিবের আরাধনা নয়, কালি থেকে বুদ্ধ প্রায় সকল দেব দেবীর পুজো অর্চনা হয়ে থাকে।

বর্তমান মন্দিরটি কয়েকশো বছরের পুরনো হলেও তার অনেক আগে থেকেই এখানে শিব মন্দিরের অস্তিত্ব ছিলো বলে মনে করা হয়।সঠিকভাবে তাই কেউই এই মন্দিরের বয়স আন্দাজ করতে পারেনা সবার বিশ্বাস মহাদেব নিজেই এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং মহাদেব স্বয়ং এই গ্রাম ও গ্রামের মানুষদের রক্ষা করে আসছেন। যুগ যুগ ধরে সব রকম বিপদ থেকে রক্ষা পেতে এই অঞ্চলের মানুষের প্রধান ভরসা শিব খোলার বাবা মহাদেব।

প্রত্যেক মাসের বিশেষ পুজোর তিথিতে ও বিশেষ করে শিবরাত্রিতে এই মন্দিরে ভক্তদের ঢল নামে।
তাছাড়া প্রতি সোমবার করেই এই মন্দিরে
পুজো হয়। ভক্তরা বহুদুর থেকে মহাদেবের দর্শন করতে এই মন্দিরে আসেন।

প্রকৃতি এবং আধ্যাত্মিকতার অদ্ভুত এক মেল বন্ধন ঘটেছে এই স্থানে যা প্রতিটি দর্শণার্থীর মনে এক অপার্থিব শান্তি এনে দেয়।

ফিরে আসবো আরো একটি শিব তীর্থ এবং শিব মাহাত্ম নিয়ে। শিব রাত্রি উপলক্ষে চলতে থাকবে এই ধারাবাহিক আলোচনা। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।