জয় জগন্নাথ – পুরী ধামের রহস্য
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
প্রায় প্রতিটি প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের সাথে কিছু না কিছু রহস্য জড়িত আছে তবে চার ধামের অন্যতম পুরীর মন্দির আগা গোড়াই রহস্যে মোড়া তারই কিছু আজ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো।
মনে করা হয় পুরী হলো ভগবানের ভোজনের স্থান তাই এখানকার সবচেয়ে বড়ো রহস্য হল প্রসাদ। সারাবছর ধরে সমপরিমাণ প্রসাদ রান্না করা হয়। কিন্তু একই পরিমাণ প্রসাদ দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ হোক বা কয়েক লক্ষ মানুষকে খাওয়ানো হোক তবু প্রসাদ কখনো নষ্ট হয় না বা কখনো কম পড়ে না|এই প্রসাদ রন্ধন পক্রিয়াতেও রয়েছে এক রহস্য রান্নার পদ্ধতিতেও বেশ রহস্য আছে, মন্দিরের হেঁশেলে একটি পাত্রের উপর আরেকটি পাত্র এমন করে মোট সাতটি পাত্র আগুনের উপর বসে রান্না করা হয়। এই পদ্ধতিতে যেটি সবচেয়ে উপরে বসানো হয় থাকে, তার রান্না সবার আগে হয়। আর তার নিচেরগুলো তারপর। এই রহস্যর আজও কোনো সমাধান হয়নি।
আরো অনেক রহস্য আছে মন্দিরের উপর দিয়ে কোন বিমান বা পাখি উড়ে যেতে পারেনা। অবিশ্বাস্য মনে হলেও বিষয়টি কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা অগ্রাহ্য করতে পারেন না। তবে মাত্র কিছুদিন আগে এক বিরাট পক্ষীকে মন্দিরের চূড়া প্রদক্ষিণ করতে দেখা গেছে। অনেকে বলেন নিশ্চই কোনো পৌরাণিক পক্ষী জগন্নাথ দর্শনে এসেছিলেন।
মন্দিরের চূড়ায় যে পতাকাটি লাগানো আছে তা রোজ নিয়ম করে পাল্টানো হয়,এই পতাকা সব সময় হওয়ার বিপরীতে ওড়ে। এর কারণ কিন্তু জানা যায় না কিন্তু এই অদ্ভূত ঘটনাটি ঘটে থাকে|
বিশেষ বিশেষ জাগতিক ঘটনার আগে কখনো এই ধজাতে আগুন লাগা বা ধজা অর্ধনমিত হওয়ার মতো ব্যাতিক্রমী ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকেও অনেকে অলৌকিক বার্তা বলে মনে করেন।
মন্দিরের যেকোনো স্থান থেকে মন্দিরের চূড়ার দিকে তাকালে সুদর্শন চক্র আপনার দিকে সম্মুখীন হয়ে থাকবে।
মন্দিরে প্রবেশ করার পর প্রথম সিঁড়িতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রের আওয়াজ আর শুনতে পাওয়াযায় না কিন্তু সিঁড়ি টপকে গেলেই তারপর আবার সমুদ্রের আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়|
এতো রহস্য এতো অলৌকিক বিষয় থেকে এটাই প্রমান হয় যে জগন্নাথদেবের লীলা বোঝা দায়|তার ইচ্ছায় সবই সম্ভব|সাধারণ বুদ্ধি বা যুক্তি দিয়ে ভগবানের লীলার বিচার সম্ভব নয়|
আজ এই বিশেষ পর্ব এখানেই শেষ করছি|ফিরবো আগামী পর্বে। স্নান যাত্রা উপলক্ষে জগন্নাথ প্রসঙ্গে আলোচনা চলতে থাকবে।
পড়তে থাকুন। ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।