জয় জগন্নাথ – জগন্নাথ দেবের স্বরূপ
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
জগন্নাথ শব্দের অর্থ জগতের নাথ। কিন্তু এই জগন্নাথ দেবের স্বরূপ বা তার আসল পরিচয় নিয়ে নানা মুনির নানা মত। বেদ, উপনিষদ, রামায়ণ মহাভারতের মতো গ্রন্থে জগন্নাথ দেবের উল্লেখ নেই আবার কিছু গ্রন্থে দাবি করা হয়েছে বুদ্ধ নন। বিষ্ণুর নবম অবতার হলেন জগন্নাথ।আজকের এই পর্বে জগন্নাথদেবের স্বরূপ অনুসন্ধান করার চেষ্টা করবো।
প্রতিবছর ভাদ্র মাসে তাঁকে বিষ্ণুর বামন অবতারের বেশে পুজো করেন। বার্ষিক রথযাত্রার সময়ও তাঁকে বামন রূপে পুজো করা হয়। বলা হয় দধিবামন।শ্রীচৈতন্যদেব আবার জগন্নাথের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণকে খুঁজে পেয়েছিলেন।
জগন্নাথ আসলে আদিবাসী দেবতা। ওড়িশার আদিবাসী শবররা ছিল বৃক্ষ উপাসক। তারা নিজেদের দেবতাকে বলত জগনাত। যা থেকে জগন্নাথ নামের উৎপত্তি। আজও অব্রাম্ভন সবর বংশের দৈতাপতিরা জগন্নাথ সেবার দায়িত্বে থাকেন।নিজেদের শবররাজ বিশ্ববসুর বংশধর বলে দাবি করেন যার হাত দিয়ে শুরু হয় নিলমাধবের পুজো।
অন্যদিকে শাক্তরা দাবি করেন জগন্নাথ ভৈরব কারন তিনি দেবী বিমলার ভৈরব। জগন্নাথ মন্দিরের পূজারিরাও শাক্ত সম্প্রদায়ভুক্ত। জগন্নাথ মন্দির চত্বরে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে রয়েছে দেবী বিমলার মন্দির যা একান্ন পীঠের একটি এবং শাস্ত্র মতে এখানে দেবী সতীর নাভি পড়েছিল বলে মনে করা হয়।
আবার দারুব্রহ্ম রূপে জগন্নাথকে নৃসিংহ স্ত্রোত্র পাঠ করে পুজো করা হয়। সেক্ষেত্রে জগন্নাথ দেবের সঙ্গে নৃসিংহদেবকে এক করে দেখা হয়।
জগন্নাথদেবকে নিয়ে এবং তার মন্দির নিয়ে রহস্যর শেষ নেই। আবার ফিরে আসবো জগন্নাথ প্রসঙ্গে আলোচনায়। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।