জয় জগন্নাথ – জগন্নাথমন্দির এবং যম শীলা
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
মনে করা হয় স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণই দেহত্যাগের পর জগন্নাথ রূপে এখানে আত্মপ্রকাশ করেন। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা রহস্য। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে এখানে জগন্নাথ দেবের দর্শন করলে সব পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং মনের সব ইচ্ছে পূরণ হয়।পুরাণে জগন্নাথধামকে মর্ত্যের বৈকুণ্ঠ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।আজ এই জগন্নাথ মন্দিরের একটি রহস্য আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
পুরীর মন্দিরের সিঁড়ি হয়তো আপনারা অনেকেই দেখেছেন। এই সিঁড়ি দিয়ে উঠেই জগন্নাথ দেবের রত্নবেদী এবং বিগ্রহ দর্শন করা হয়।মনে করা হয় এই মন্দিরের সিঁড়ির তৃতীয় ধাপে কখনোই পা দিতে নেই। জগন্নাথ মন্দিরের সিঁড়ির তৃতীয় ধাপকে ‘যম শিলা’ বলা হয়।
শাস্ত্র মতে জগন্নাথ মন্দিরে দর্শন করে ভক্তেরা মুক্তি পেয়ে যান। মৃত্যুর পর তাঁদের আর স্বর্গ বা নরকবাস করতে হয় না। এই কারনে যমলোক প্রায় শূন্য হওয়ার উপক্রম হয় তখন বেগতিক দেখে সূর্যপুত্র যমরাজ স্বয়ং জগন্নাথ মন্দিরে এসে প্রভু জগন্নাথের দর্শন করেন এবং তিনি জগন্নাথদেবকে এই সমস্যা সম্পর্কে বলেন এবং সব শুনে জগন্নাথদেব মন্দিরের মূল দরজার সিঁড়ির তৃতীয় ধাপে মৃত্যুর দেবতা যমকে অবস্থান করতে বলেন।
সেই থেকে জগন্নাথ মন্দিরের সিঁড়ির তৃতীয় ধাপে বাস করেন স্বয়ং যম এবং সিঁড়ির তৃতীয় ধাপকে তাই ‘যম শিলা’ বলা হয়। জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে দর্শনের পর এই সিঁড়িতে পা দিলেই দর্শনের যাবতীয় পূণ্য নষ্ট হবে এবং ওই ব্যক্তিকে মৃত্যুর পর যমলোক যেতে হবে এমনটা জনশ্রুতি আছে।
জগন্নাথ জগতের নাথ। শুধু মানুষ নয় দেবতারাও বিপদে পরে তার স্মরণাপন্ন হন এবং কাউকেই তিনি খালি হাতে ফেরান না।
ফিরে আসবো জগন্নাথ সংক্রান্ত পৌরাণিক এবং শাস্ত্রীয় আলোচনা নিয়ে আগামী পর্বে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।