জয় জগন্নাথ – প্রভু জগন্নাথের আশ্চর্য্য লীলা
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
স্নান যাত্রা পর্ব মিটে গেছে। প্রভু জগন্নাথ এখন বিশ্রামে আছেন। নিদ্দিষ্ট দিনে তিনি রাজকীয় রথে চেপে তার অগণিত ভক্ত দের সাথে মিলিত হবেন।
গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে আজ আরো একটি জগন্নাথ লীলা আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি।
একবার এক দরিদ্র জগন্নাথ ভক্ত তার মালিকের কাছে কাছে শ্রীজগন্নাথ ধাম যাত্রার জন্য ছুটি চাইলেন।তার মালিক ও ছিলেন জগন্নাথের ভক্ত।
তিনি কর্মচারীকে ছুটি দিতে রাজি হলেন এবং বললেন। আমি তো ব্যবসায়ী মানুষ, সব সময় ব্যাবসার কাজে ব্যস্ত থাকি তার কারনে জগন্নাথ দর্শনের সুযোগ হয় না। তুমি একশো টাকা আমার নামে প্রভু জগন্নাথদেবের চরণ সেবায় অর্পণ করো।কর্মচারী টাকা নিয়ে বিদায় হলো।
কিছুদিন পর সে পুরী পৌছালো এবং মন্দিরে যাওয়ার সময় সে রাস্তায় দেখলো অনেক সাধুসন্ত, ভক্তজন। সংকীর্তনে মত্ত।তারা ক্ষুদার্থ এবং ক্লান্ত কিন্তু খাদ্য বা জল নেই।সে মালিকের দেয়া একশো টাকা থেকে আটানব্বই টাকা খরচা করে ফেললো সেই বৈষ্ণবদের সেবায়।বাকি দুটাকা সে জগন্নাথ দর্শন করে প্রভুর সেবায় অর্পণ করলো।
সেই রাতে মালিককে জগন্নাথদেব স্বপ্নে দেখা দিলেন আর বললেন তোমার ৯৮ টাকা আমি পেয়েছি,এই বলে জগন্নাথদেব অন্তর্ধান হয়ে গেলেন। মালিক জেগে গেল আর ভাবতে লাগলো, আমার কাজের লোক খুব সৎ আর বিশ্বাসী। তাও সে দুটাকা কম দিলো কেনো।কিছুদিন পর সেই ব্যক্তি মালিকের কাছে ফিরে আসলো।
মালিক স্বপ্নের কথা বললে সে সব ঘটনা খুলে বললো। জানালো ৯৮ টাকা দিয়ে সাধুসন্তদের সেবা করিয়েছে আর দুই টাকা জগন্নাথদেবের চরণে অর্পন করেছে।
মালিক সব বুঝে খুশি হয়ে বললো তুমি ধন্য তোমার জন্য আমি প্রভুকে ঘরে বসে দর্শন করতে পেরেছি।এও বুঝতে পেরেছি ভগবানের আসলে কোনো ধনের প্রয়োজন নেই।তিনি ওই ৯৮ টাকা স্বীকার করলেন কারণ, ওটা যে ভক্তের সেবাতে লেগেছে।কারণ ভক্তের হৃদয়ে ভগবানের বাস।
আবার প্রভু জগন্নাথের অন্য এক লীলা নিয়ে ফিরে আসবো আগামী পর্বে। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।