শক্তি পীঠ – বিশ্বেসী
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
দক্ষিন ভারতের গোদাবরী নদীর তীরে অবস্থিত বিশ্বেসী শক্তিপীঠ নিয়ে আজকের শক্তি পীঠ পর্ব।
প্রাচীন কুব্জিকা তন্ত্র গ্রন্থে স্বয়ং শিব একটি শক্তি পীঠের উল্লেখ করে দেবী পার্বতীকে বলছেন –
” কামগিরি মহাপিঠঙ তথা গোদাবরী প্রিয়ে ”
এই শক্তি পীঠই বিশ্বেসী নামে খ্যাত।
জনশ্রুতি আছে যে কয়েকশো বছর আগে বিশু নাথ নামে এক সিদ্ধ যোগী এই দুর্গম অরণ্যঘেরা অঞ্চলে তপস্যা করতেন।এক রাতে তার আরাধ্যা দেবী কালী তাকে স্বপ্নে দেখা দেন এবং বলেন কাছেই দক্ষিণ দিকে এক জলাশয়ে একটি রুপোর ঘটে দেবী বিরাজ করছেন এবং তিনি যেনো তাকে উদ্ধার করে মন্দিরে স্থাপন করেন। আদেশ অনুসারে সেই মাতৃ সাধক পুকুর থেকে ঘট তুলে এনে পুজো শুরু করেন।
এর কিছুদিন পরে আবার এক সপ্নাদেশ এলো।
দেবী বললেন সামনেই আছে এক নীম গাছ সেই নীম গাছের ডাল থেকে যেনো দেবীর মূর্তি তৈরী হয়।একই সাথে রাজাও সেই রাতে স্বপ্ন দেখলেন যে মাতৃ সাধক বিশুনাথকে তিনি যেনো দেবীর মূর্তি নির্মাণ এবং মন্দির তৈরীতে সাহায্য করেন।
শুধু তাই নয় ভৈরব দন্ডপানি কে প্রতিষ্ঠা করে পুজো করার কথাও দেবী বলে দেন।সব কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন হয়।
শাস্ত্র মতে এখানেই পড়েছিলো দেবীর গন্ডদেশ। যদিও দেবীর শ্রী অঙ্গ এবং স্থান টি নিয়ে কিঞ্চিৎ মতপার্থক্য আছে।তবে একাধিক শাস্ত্রে এই স্থানকে একান্ন পীঠের অন্যতম স্থানের মর্যাদা দেয়া হয়েছে।
দেবী এখানে বিশ্বেশী। শান্ত, স্নিগ্ধ এবং মমতাময়ী রূপে দেবী এখানে বিরাজ করছেন। এই স্থান তন্ত্র সাধনার উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। তাই বহু তন্ত্র সাধক তাদের সাধনার জন্য এই পবিত্র স্থানকে বেছে নেন।জনশ্রুতি আছে বহু মানুষ এই স্থানে পুজো দিয়ে স্বপ্নে।দেবীকে দর্শন করেছেন এবং তাদের সমস্যার সমাধান পেয়েছেন।
ফিরে আসবো আগামী পর্বে চলতে থাকবে
শক্তি পীঠ নিয়ে ধারাবাহিক বিস্তারিত আলোচনা। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।