ভক্তের ভগবান – বজরংবলী এবং তুলসী দাস

103
ভক্তের ভগবান – বজরংবলী এবং তুলসী দাস
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
তুলসী দাস শুধু রামচরিত মানস বা হনুমান চালিসার রচয়িতা ছিলেনন তিনি ছিলেন বজরংবলীর এক মহান ভক্ত যাকে দেখা দিয়েছিলেন স্বয়ং হনুমান এবং তিনি শ্রী রামের দর্শনও পেয়েছিলেন।আজ আপনাদের জানাবো মহান এই সাধক এবং তার আরাধ্য বজরংবলীর মিলনের এক অদ্ভুত ঘটনা।
বৃন্দাবনে থাকা কালীন প্রতিদিন স্নান করে ফিরে আসার সময় তুলসীদাস তার জলের পাত্রে থেকে যাওয়া জল একটি গাছের গোড়ায় ফেলে দিতেন।
এই গাছে বাস করতো এক প্রেত আত্মা। একদিন সে তুলসী দাসের সামনে প্রকট হলো।
তুলসীদাসের উপর খুব খুশি হয়ে সেই আত্মা বলল, “হে সাধক আপনার এই জলদান আমাকে ধন্য করেছে। আমি মুক্তির পথ পেয়েছি ! আমি আপনার কি সাহায্য করতে পারি।তুলসীদাস উত্তর দিলেন, “আমাকে ভগবান রামের দর্শন করতে দাও”। আত্মা বলল, “হনুমান মন্দিরে যান সেখানে হনুমান একজন কুষ্ঠরোগীর ছদ্মবেশে প্রথম শ্রোতা হিসেবে রামায়ণ শোনার জন্য আসেন এবং সবার শেষে যান। তাকে আগে দর্শন করুন। তিনি পথ বলে দেবেন।
সেই কথা মতো তুলসী দাস রাম কথায় যান
এবং হনুমানকে চিনতে পেরে তাকে অনুসরণ করতে শুরু করেন। হনুমান দিব্য দর্শন দিলে তুলসীদাস সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পায়ে পড়ে যান। তার চোখে আনন্দর অশ্রু চলে আসে।হনুমান তার ভক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে তাকে প্রভু রামের দর্শন পাওয়ার বর দেন।
স্বয়ং হনুমানের দর্শন পেয়ে তুলসীদাস হনুমান চালিসা রচনা করেন। শোনা যায় একধিক বার বজরংবলী তার সামনে হাজির হন এবং তাঁকে ঐশ্বরিক জ্ঞান দিয়ে আশীর্বাদ করেন।
রামচরিতমানস লেখার সময়ও হনুমান তুলসীদাসকে সাহায্য করেছিলেন। তুলসীদাস যখন একটি শ্লোকে আটকে যেতেন হনুমান এসে পরবর্তী শ্লোক তৈরীতে সাহায্য করতেন।
ভক্ত এবং ভগবানের এমন অনেক ঘটনা এবং
তার শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা নিয়ে আবার পরবর্তী পর্বে ফিরে আসবো। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।