কলকাতার কালী -ঢাকা কালী বাড়ি

835

সামনেই দূর্গা পূজা তারপর দীপাবলি|সারা দেশ মেতে উঠবে আলোর উৎসবে আর গোটা বাংলা জুড়ে হবে কালী পূজা|আপনাদের মা হৃদয়েশ্বরী সর্বমঙ্গলা মায়ের মন্দিরেও বিশেষ পূজা, হোম যজ্ঞ এবং মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে শাস্ত্র মতে গ্রহ দোষ খণ্ডনের ব্যবস্থা করা হয়েছে|এই দীপান্বিতা অমাবস্যার ঠিক আগে আমি নিয়ে এসেছি কলকাতার কালীর একটি নতুন পর্ব|আজকের পর্বে কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় ও প্রসিদ্ধ কালী মন্দির ঢাকা কালী বাড়ি নিয়ে লিখবো|

দক্ষিণ কলকাতার প্রিন্স আনোয়ার শা রোডে অবস্থিত এই প্রসিদ্ধ কালী মন্দিরটি যার সাথে জড়িত প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার নাম|ঢাকা শহরের নাম থেকেই ঢাকা কালীবাড়ির নামকরণ|

দেশ ভাগের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের ঢাকা শহর থেকে কলকাতায় আসেন ননীগোপাল চক্রবর্তী এবং এখানে এসে তিনি এই কালী মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন| সময় টা 1956 সাল|ঢাকা থেকে আসা একজন ব্যক্তির হাতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য ঢাকা কালীবাড়ি নামে প্রসিদ্ধ হয় এই মন্দির|

আনুষ্ঠানিক ভাবে মন্দির নির্মাণ হওয়ার আগে এখানে রক্ষাকালীর পূজা হতো বলে শোনা যায় এবং মন্দির প্রতিষ্ঠার পর এখানে দক্ষিনা কালীর পুজোও শুরু হয়|এখন রক্ষাকালী পুজো ও নিত্য পুজো দুইই হয় নিষ্ঠা সহকারে|

ঢাকা কালী বাড়িতে পুজো হয় মূলত বৈদিক নিয়মে তাই বলী প্রথার প্রচলন নেই|বিশেষ তিথিতে বিশেষ পূজা হয় তাছাড়া প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শেষ শনিবার প্রতিষ্ঠা দিবসের পুজো হয়|ঢাকা কালীবাড়ি তে মায়ের ভোগ হিসাবে অন্নভোগের পাশাপাশি দেওয়া হয়, নিরামীষ তরকারি, পাঁচ রকমের ভাজা, পায়েস, চাটনি এবং দু রকমের মাছের পদে|

মায়ের পুজো ছাড়াও মন্দির কতৃপক্ষ বিভিন্ন সামাজিক কাজেও অংশগ্রহণ করে থাকে নিয়মিত|

আজকের কলকাতার কালীর এই পর্ব এখানেই শেষ করলাম|আগামী পর্বে ফিরবো নতুন পর্ব নিয়ে|জ্যোতিষ পরামর্শ ও প্রতিকারের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন উল্লেখিত নাম্বারে|মনে রাখবেন যেকোনো কাজে সাফল্যর সঠিক সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ|এই সময় কে কাজে লাগান|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|