পুরীর মন্দিরের চারটি দ্বারের রহস্য
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
পুরীর মন্দিরে প্রবেশের চারটি প্রবেশদ্বার রয়েছে।
এই চারটি প্রবেশ দ্বারের রয়েছে বিশেষ তাৎপর্য। আজকের পর্বে এই চারটি দুয়ারের রহস্য জানাবো।
কথিত আছে চারটি গেট এই গেটের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে কিছু বিশেষ তাৎপর্য। জগন্নাথ ধাম প্রবেশের
এই চার দুয়ার চারটি প্রাণীর প্রতিনিধিত্ব করে এবং তাদের নাম যথা ক্রমে এই রূপ –
‘সিংহ দুয়ার’, ‘ব্যাঘ্র দুয়ার’ , ‘হস্তি দুয়ার’ এবং
‘অশ্ব দুয়ার’
পূর্ব দুয়ার বা সিংহ দুয়ার হলো শ্রী জগন্নাথ
মন্দিরে প্রবেশের প্রধান দরজা।নৃসিংহ ভগবানের একটি বিশেষ অবতার। তিনি বিরত্ব এবং পরাক্রমের প্রতীক। আবার সূর্য পূর্ব
দিক থেকে উদিত হয় যা তেজ এবং শক্তির উৎস এই সিংহ দুয়ার প্রধানত ভক্তি বা মোক্ষ লাভের দুয়ার হিসাবে পরিচিত।
পশ্চিম দুয়ার বা ব্যাঘ্র দুয়ার হল ইচ্ছার প্রতীক। জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশের পশ্চিম গেটে বাঘের মূর্তি রয়েছে। এই গেট দিয়ে সাধারনত সাধু সন্ন্যাসী এবং বিশেষ ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করেন।বাঘ যেমন রাজশক্তির প্রতীক তেই তেমনই এই দ্বার
বিশেষ ক্ষমতাকে নির্দেশ করে।
পুরীর মন্দিরের উত্তরে আছে দুয়ার বা হস্তি দুয়ার
বিদেশী শত্রুর আক্রমণে এই দ্বার ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।পরে আবার তৈরী করা হয়। হাতি সম্পদের দেবী মহা লক্ষ্মীর বাহন তাই সম্পদের প্রতীক হিসাবে, মন্দিরের উত্তর গেটে হাতির প্রতীক ছিল। বিশ্বাস করা হয় এই দরজা দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করলে ধনসম্পদ লাভ হয়।
দক্ষিণ দুয়ারটির নাম অশ্ব দুয়ার।
জগন্নাথ ধামে দক্ষিণের প্রবেশ দ্বার বিজয়ের রাস্তা হিসাবে পরিচিত। এই প্রবেশদ্বারের বাইরে দুটি ছুটন্ত ঘোড়ার মূর্তি রয়েছে। প্রাচীনকালে রাজারা যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য প্রভুর আশীর্বাদ নিতে এই দরজা দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতেন। বিশ্বাস করা হয় এই দরজা দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করলে ইন্দ্রিয় অধীনে থাকে।এখানে দেবী লক্ষ্মী, নৃসিংহ এবং তপস্বী হনুমানের প্রতীক রয়েছে।
এইরূপ আরো অনেক অজানা বিষয় এবং বিস্ময়কর তথ্য নিয়ে আমি আপনাদের সামনের ফিরে আসবো রথ যাত্রা উপলক্ষে এই বিশেষ
পর্বগুলিতে।পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।