শিব মাহাত্ম – হাইকোর্টেশ্বর মহাদেব

36
শিব মাহাত্ম – হাইকোর্টেশ্বর মহাদেব
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
সনাতন ধর্মে তিন জনকেই ভগবানের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। ব্রম্হা বিষ্ণু এবং মহেশ্বর।সৃষ্টি কর্তা,পালন কর্তা এবং সংহার কর্তা।এদের মধ্যে ব্রম্হা এবং বিষ্ণুর ক্ষেত্রে বৈদিক বা পৌরাণিক দেবতার স্তর থেকে খুব একটা অবতরন দেখা যায়নি।
যদিও বিষ্ণু একাধিক অবতারে মর্তে এসেছেন কিন্তু ভগবান ভগবানই থেকে গেছেন। শিব ব্যাতিক্রম। তিনি কোথাও কোথাও লৌকিক দেবতা রূপেও ধরা দিয়েছেন আবার একাধিক নামে এবং পরিচয়ে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে পূজিত হয়েছেন। যেমন কোথাও তিনি পঞ্চানন আবার কোথাও তিনি বাবা বড়ো কাছারি।শিবের এমনই এক ব্যাতিক্রমী রূপ
হলো হাইকোর্টেশ্বর।আজকের শিব মাহাত্মতে আলোচনা করবো বাংলার এই হাইকোর্টেশ্বর মহাদেব নিয়ে।
কলকাতার কিরণশঙ্কর রোডে অবস্থিত এই হাইকোর্টেশ্বর মহাদেবের মন্দির।শোনা যায় প্রায় একশো বছর আগে উড়িষ্যার থেকে আসা জগদীশ চন্দ্র গিরি নামক জনৈক ব্যক্তি হাইকোর্ট অঞ্চলের একটি গাছের তলায় এই শিবলিঙ্গ খুঁজে পান। তখন থেকেই চলে আসছে এই হাইকোর্টেশ্বর বাবার পুজো। তবে মন্দির প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৫৬ সালে এবং তখন থেকে বাবা হাই কোর্টেশ্বর মহাদেবের জনপ্রিয়তা আরো বাড়ে।
বহু মানুষ বিশ্বাস করেন বাবা হাইকোর্টেশ্বর সহায় থাকলে জয় নিশ্চিত এবং তার আদালতে সুবিচার পাওয়া যাবেই।
আজও মামলা মোকদ্দমার রায় বেরনোর আগে, উকিল থেকে মক্কেল সবাই জয়ের আশায় একবার এই দেবতার থানে মাথা ঠেকিয়ে যান এমনকি বাদ যান না বিচারপতিরাও।মামলায় ফেঁসে গিয়ে এখানে অনেকেই মানত। করেনআবার সেই মানত পূর্ণ হলে ফিরে আসেন পুজো দিতে।
বর্তমানে শ্রাবন এবং চৈত্র মাসে এই মন্দিরে বিশেষ পুজো হয় এছাড়া শিব রাত্রিতে বহু ভক্ত এবং দর্শণার্থী আসেন বাবার বিশেষ পুজোয় অংশ যোগ দিতে। সব মিলিয়ে ওই শিব মন্দির এখন বেশ জাগ্রত এবং প্রসিদ্ধ।
বাংলার এমন বহু প্রসিদ্ধ শিব মন্দিরে ইতিহাস এবং তাদের সাথে জড়িত অলৌকিক সব ঘটনা নিয়ে আবার ফিরে আসবো
আগামী পর্বে। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।