বাংলার শিব – বাবা বানেশ্বর ধামের মাহাত্ম

114

বাংলার শিব – বাবা বানেশ্বর ধামের মাহাত্ম

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

বহু প্রাচীন শিব মন্দির রয়েছে এই বাংলার বিভিন্ন স্থানে। পুরুলিয়া জেলায় বাবা বানেশ্বর ধাম তার মধ্যে অন্যতম। শুধু পুরুলিয়া জেলা নয়, পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকেও বহু পুণ্যার্থীরা এই মন্দিরে ছুটে আসেন মহা শিবরাত্রি এবং নীল

ষষ্ঠী উপলক্ষে।আজকের পর্বে লিখবো এই শিব মন্দির নিয়ে।

 

এককালে জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল মন্দির চত্বর।বন্যা জন্তু এবং দস্যুদের ভয়ে সেই সময় এই স্থানে কেউ প্রবেশ করতো না। বাবা বানেশ্বর পাতাল ফুঁড়ে এখানে আবীরভূত হয়েছিলেন অর্থাৎ তিনি স্বয়ম্ভু। তার আবির্ভাবের পরে পাতকুমের মহারাজ স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই মন্দির স্থাপন করেন এবং পুজো শুরু করান পরবর্তীতে পুরুলিয়ার কাশিপুরের মহারাজ এই মন্দির সংস্করণ করেন। মন্দির পরিচালনার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করেছিলেন কাশীপুরের মহারাজ।

 

তারপর রাজ পরিবারের সূর্য যখন অস্থামিত এবং মন্দির যখন ক্রমশঃ তার জৌলুস হারাচ্ছে সেই সময়ে উত্তর কাশি থেকে একজন সাধু আসেন তার নাম স্বামী শিবানন্দপুরী মহারাজ। তিনি এই মন্দিরে এসে মন্দির সংস্কার করে মন্দিরটিকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলেন এবং এবার ধুম ধাম করে বাবা বানেশ্বরের পুজো শুরু হয়।

 

বর্তমানে দুটি ভাগে বিভক্ত রয়েছে মন্দির পরিচালনা কমিটি। দেহঘড়িয়া কমিটি যারা বানেশ্বরের সেবার কাজে জড়িত থাকেন ও অপরটি হল চক্রবর্তী ষোলআনা কমিটি যারা মন্দিরের পারিপার্শ্বিক দায়িত্বভার নেন।

 

কথিত আছে এই মন্দিরে ভক্তি ভরে পুজো দিলে সমস্ত মনোবাসনা পূরণ হয় ভক্তদের। তাই দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন বাবা বানেশ্বর ধামের মন্দিরে পুজো দিতে। আসন্ন নীল ষষ্ঠীতেও এই মন্দিরে বিশেষ পুজো অনুষ্ঠিত হবে প্রতিবারের ন্যায়।

 

ফিরে আসবো বাংলার শিব নিয়ে আগামী পর্বে। থাকবে আরো একটি শিব মন্দিরের কথা।

পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।