বাংলার শিব – অমৃতি শিব মন্দিরের ইতিহাস
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
আজ আপনাদের মালদার ইংরেজ বাজারে অবস্থিত অতি প্রসিদ্ধ এবং জাগ্রত অমৃতি শিব মন্দিরের কথা জানাবো ।
এককালে পারিবারিক এই মন্দির স্থাপিত হয় স্থানীয় দাস পরিবারের মাধ্যমে পরে গোটা উত্তর বঙ্গের মানুষের কাছে এই শিব মন্দির অন্যতম আস্থার স্থান হিসেবে গড়ে ওঠে। বিশেষত চৈত্র সংক্রান্তি বা নীল ষষ্ঠীর সময়ে এবং শ্রাবন মাসে শিব রাত্রির সময় এই মন্দির বহু শিব ভক্তের প্রধান গন্তব্য।
বাংলার ১৩৫৩ সনে এই শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দাস পরিবারের পূর্বপুরুষ মহানন্দ দাস। তিনি তখন এই এলাকার জমিদার বরাবরই শিব ভক্ত ছিলেন তিনি। একদিন স্বপ্নাদেশে মহাদেবের দর্শন পেয়েছিলেন জমিদার মশাই
তারপরই তিনি এই শিব মন্দির গড়ার পরিকল্পনা নেন। প্রতিষ্ঠার পর তাঁর হাত দিয়েই এই মন্দির পুজো শুরু হয়। সেই সময়ে মহানন্দবাবু নিজেই সেবায়েত ছিলেন।
এক সময় তার মাথায় চিন্তা এলো যে তার অবর্তমানে কি হবে। পুজো তো বন্ধ করা যাবেনা। তাই ভবিষ্যতে যাতে কোনও দিন অমৃতি শিব মন্দিরের পুজো বন্ধ না হয় সেই উদ্দেশ্যে চারশো বিঘা জমি তিনি দেবত্ব সম্পত্তি হিসেবে তিনি মন্দিরের নামে লিখে দেন। সেই সম্পত্তির আয় থেকে আজও এই মন্দিরে সব পরম্পরা বজায় রেখে শিব পুজো হয়ে আসছে। পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম ধারাবাহিক ভাবে পুজোর দায়িত্ব পালন করছেন।
এই অমৃতি শিব মন্দিরে মহাদেবের বিগ্রহের পাশাপাশি শিবলিঙ্গ রয়েছে। এই মন্দিরে অনেক ভক্ত এসে মানত করেন। পরবর্তীতে মনস্কামনা পূরণের পর আবারও মহাদেবের কাছে এসে গঙ্গাজল ও দুধ দিয়ে শিব পুজো করে যান।
বাংলার জেলায় জেলায় এমন বহু শিব মন্দির আছে। তার মধ্যে এখনো অনেক শিব মন্দির নিয়ে আলোচনা বাকি আছে। ফিরে আসবো পরবর্তী পর্বে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।