কালী কথা – জহুরা কালী 

24

কালী কথা – জহুরা কালী

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

আজ কালী কথায় বাংলার অন্যতম প্রাচীন কালী মন্দির জহুরা কালীর মন্দির নিয়ে লিখবো।

এই ঐতিহাসিক কালী মন্দির উত্তরবঙ্গের মালদায় ইংরেজবাজার থানা এলাকায় একটি প্রাচীন আমবাগানের মধ্যে অবস্থান করছে।

 

দেবীর নাম কেনো জহুরা হলো আগে সেটা জেনে নেয়া যাক।শোনো যায় এক কালে এই অঞ্চলে ছিলো ঘন অরণ্য।ডাকাত রাই একপ্রকার শাসন করতো এই এলাকা এবং এই দেবী এক সময়ে ছিলেন ডাকাতদের আরাধ্যা। এখানে দেবী চণ্ডীর পুজো করে ডাকাতরা যেত ডাকাতি করতে। ডাকাতি করে প্রচুর ধনরত্ন আনত তারা, তারপর সেগুলোকে এখানেই মাটির তলায় রাখত। সেই ধনরত্নের ওপরই দেবীমূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয় যেহেতু ধনরত্নকে হিন্দিতে বলে ‘জওহর’। দেবীমূর্তির নিচে প্রচুর ধনরত্ন রাখা থাকত বলেই এখানে দেবী চণ্ডী ‘জহরা’ বা ‘জহুরা’ নামে বিখ্যাত।

 

বর্তমানে মন্দিরের অভ্যন্তরে লাল রঙের ঢিবির ওপর রয়েছে এক মুখোশ এবং ঢিবির দু’পাশে আরও দু’টি মুখোশ দেখা যায়। এছাড়া গর্ভগৃহে আছে শিব আর গণেশের মূর্তি|এক কালে এখানে দেবীর পূর্ণ অবয়ব মূর্তি ছিলো তবে বিদেশী শত্রুর আক্রমণের ভয়ে তা মাটির নিচে লুকিয়ে ফেলেন পুরোহিতরা। সেই থেকে এই রূপেই পূজিতা হচ্ছেন দেবী জহুরা।

 

দেবী জহুরা চন্ডিরই রূপ তিনি অত্যন্ত জাগ্রত

তার পুজো উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চল ছাড়াও বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ সমবেত হন এই মন্দির প্রাঙ্গনে।এখানে বৈশাখ মাসের মঙ্গল ও শনিবার থাকে বিশেষ পুজোর আয়োজন|উল্লেখযোগ্য বিষয় অন্যান্য কালীমন্দিরের মতো এখানে রাত্রিবেলা কোনো পুজো এখানে হয় না পুজো হয় দিনে|

 

আবার ফিরে আসবো কালী কথার পরবর্তী পর্ব নিয়ে। কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে চলতে

থাকবে কালী কথা।পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।