নব গ্রহ এবং পুরান – শুক্র

21

নব গ্রহ এবং পুরান – শুক্র

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

আজকের নবগ্রহ শীর্ষক এই আলোচনায় নব গ্রহের অন্যতম শুক্রকে নিয়ে আলোচনা করবো।

দেবতা রূপে শুক্রকে কোথাও একটি সাদা ঘোড়া বা কোথাও সাতটি ঘোড়া দ্বারা টানা একটি রথে আসীন থাকতে দেখা যায়। তিনি সৌন্দর্য সব ভোগ বিলাশের দেবতা।শুক্র রাশিচক্রের চিহ্ন বৃষ এবং তুলাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং একজন জাতক বা জাতিকার জীবনে শারীরিক সৌন্দর্য, শৈল্পিক প্রতিভা, জাগতিক সুখ শুক্রের উপর নির্ভর করে।
প্রেম বা দাম্পত্য জীবনের সাফল্য বা ব্যার্থতাও অনেকটা শুক্র দ্বারা নির্ধারিত হয়।

পুরানে শুক্রের আরো একটি পরিচয় আছে।
শুক্র হচ্ছেন ঋষি ভৃগু এবং দিব্যর পুত্র, যিনি সপ্তর্ষিদের অন্যতম।আবার তিনি দৈত্য বা অসুরদের গুরু। অর্থাৎ তার দুটি সত্ত্বা রয়েছে কোথাও তিনি একজন স্বতন্ত্র দেবতা আবার কোথাও তিনি দৈত্য গুরু।

অসুরদের আশ্রয় দেয়ার অপরাধে বিষ্ণু ভৃগু পত্নী অর্থাৎ শুক্রের মাতার প্রাণ হরণ করেছিলেন। সেই থেকেই শুক্র এবং দেবতাদের শত্রুতার সূচনা হয়।

একটি পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে শুক্র
নিজেকে দুইভাগে ভাগ করেছেন, একভাগ দেবতাদের জ্ঞানের উৎস
আরেকভাগ অসুরদের জ্ঞানের উৎস। তবে দেব গুরু বৃহস্পতিকেই দেবতাতের গুরু হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে এবং এই দুই গুরুর সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়।জ্যোতিষ শাস্ত্র মতেও শুক্র এবং বৃহস্পতি একসাথে মিলিত হলে সৃষ্টি হয়ে দৈত্য গুরু যোগ যা ভালো ফল দেয়না।এছাড়াও শুক্র বেশ কয়েকটি যোগের কারিগর।

আবার ফিরে আসবো নব গ্রহ সংক্রান্ত
আলোচনা নিয়ে।থাকবে অনেক পৌরাণিক
ঘটনা এবং তথ্য।পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।