পুরীর মন্দিরের পাঁচটি বিস্ময়

109

পুরীর মন্দিরের পাঁচটি বিস্ময়

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

পুরীর মন্দির ভারতের অন্যতম রহস্যময় মন্দির যেখানে নিত্যদিন ঘটে চলেছে জগন্নাথ লীলা এবং প্রতিদিন এই মন্দিরে আগত ভক্তরা একাধিক অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী থাকেন। আজ পুরীর মন্দিরের পাঁচটি বিস্ময়কর তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।

 

সমুদ্রের কাছেই জগন্নাথ মন্দির অবস্থিত।

পুরীর সমুদ্রের গর্জন কে না জানে। অনেক দূর পর্যন্ত সমুদ্রের গর্জন শোনা যায়। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে জগন্নাথ মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করলে সমুদ্রের গর্জন বা ঢেউয়ের কোনও শব্দ শোনা যায় না। কথিত আছে দেবী সুভদ্রা চেয়েছিলেন মন্দিরের ভিতর নীরবতা বজায় থাকবে। তাই মন্দিরের ভিতর সমুদ্রের শব্দ শোনা যায় না।

 

জগন্নাথ মন্দিরের চূড়ায় একটি সুদর্শন চক্র লাগানো রয়েছে।চক্রটির ওজন প্রায় এক টন। ১২ শতকে মন্দিরটি তৈরির সময় এটি চূড়ায় বসানো হয়েছিল। সেই সময় প্রযুক্তি বিশেষ উন্নত ছিল না। ফলে কীভাবে চূড়ার উপর অত ভারী চক্রটি বসানো হল, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।আশ্চর্যজনক বিষয় হল, যে কেউ যে কোনও প্রান্ত থেকে ওই চক্রের দিকে তাকান, মনে হবে চক্রটি তাঁর দিকেই ঘোরানো।

 

জগন্নাথ মন্দিরটি প্রায় ৪ লক্ষ বর্গফুট এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এবং ২১৪ ফুট উঁচু। অথচ এই মন্দিরের চূড়ার কোনও ছায়া দেখা যায় না। মাটিতে ছায়া না পড়া পুরীর মন্দিরে আরো একটি বড়ো বিস্ময়।

 

পুরীর মন্দিরের একেবারে চূড়ায় একটি পতাকা লাগানো থাকে। আশ্চর্যজনক বিষয় হল যে

দিকে হাওয়া।চলে সবসময় তার বিপরীত দিকে পতাকাটি ওড়ে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় পতাকা

পরিবর্তন হলেও পতাকা ওড়ার দিক কখনো পরিবর্তন হয়না।

 

সব শেষে যে রহস্যটির কথা বলবো তা হলো পুরীর

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চূড়ায় কখনও কোনও পাখি বসতে দেখা যায় না। এমনকি মন্দিরের উপর দিয়ে কোনও পাখি উড়তে দেখা যায়নি।যেকোনো প্রাচীন মন্দিরে গেলে সর্বত্র পাখির অবাধ বিচরণ দেখা যায় কিন্তু পুরীর মন্দির সে দিক দিয়ে ব্যাতিক্রম।

 

আবার আগামী দিনে ফিরে আসবো রথ

যাত্রা উপলক্ষে এই বিশেষ ধারাবাহিক পর্ব

নিয়ে। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।