জয় জগন্নাথ – জগন্নাথ পত্নী মহালক্ষী
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
জগন্নাথ দেব প্রসঙ্গে আলোচনা হলে মূলত পুরী ধাম, সুভদ্রা বলরাম রথ যাত্রা নিয়েই বেশি কথা হয়। প্রচারের আড়ালে থেকে যান জগন্নাথদেবের স্ত্রী মহা লক্ষী। আজকের পর্বে মহালক্ষীকে নিয়ে আলোচনা করবো।
মহা লক্ষী স্বয়ং আদ্যা শক্তির রূপ। তিনি বিশ্ব সংসারের আদি শক্তি এবং জগন্নাথ স্বয়ং নিজ বৈভব এবং শক্তির জন্য মহামায়ার উপর নির্ভর করেন। কিন্তু এমন একটি ঘটনা প্রতি বছর পুরীতে ঘটে যেখানে মহা লক্ষীকে ছেড়ে জগন্নাথকে থাকতে হয় এবং মহালক্ষী রুষ্ট হন জগন্নাথের উপরে।
প্রতিবার স্নান যাত্রার পর ত্রীমূর্তি রথে চেপে গুণ্ডিচা বাড়ি বেড়াতে গেলেও জগন্নাথের স্ত্রী মহালক্ষ্মী মন্দিরেই থেকে যান। এতে স্বাভাবিক ভাবেই মহালক্ষ্মী জগন্নাথের উপরে ক্রুদ্ধ হন এবং কথিত আছে দেবী মহা লক্ষী গুণ্ডিচা মন্দিরে এসে যত শীঘ্র সম্ভব মন্দিরে ফেরার জন্য জগন্নাথকে ভয় দেখান। তবে প্রভুর ছুটি কাটানোর এই অবসরে তাঁর স্ত্রীর স্বামী সাক্ষাৎ এর সৌভাগ্য ঘটে না। দূর থেকেই গুন্ডিচায় প্রভুকে দর্শন করে ক্ষান্ত দিতে হয় মহা লক্ষ্মীকে। তবে মন্দিরের সামনে আরতি সম্পন্ন করেন লক্ষ্মীদেবী। তারপরে রাগের চোটে রথের একখান কাঠ ভেঙে শ্রী মন্দিরে ফিরে যান জগন্নাথজায়া এবং রীতিকে বলা হয় রথ ভঙ্গ উৎসব।
যে সাতটি দিন প্রভু মাসির বাড়ি থাকেন তার মধ্যে একটি বিশেষ দিন হল— ‘হেরাপঞ্চমী’। রথযাত্রার চতুর্থ দিনে পঞ্চমী তিথিকে বলা হয় ‘হেরাপঞ্চমী’। ওই দিনই গুণ্ডিচা মন্দিরে রথভঙ্গোত্সব হয়।
আবার প্রভু যখন উল্টো রথের সময়ে প্রভু যখন মন্দিরে ফিরে আসেন তিনি মহালক্ষীর জন্য নানাবিধ মিষ্টি এবং উপহার নিয়ে আসেন তার মানভঞ্জনের জন্য এমন জনশ্রুতিও আছে।
ফিরে আসবো পরবর্তী পর্বে। প্রভু জগন্নাথকে নিয়ে আরো অনেক আলোচনা বাকি আছে।
পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।