জগন্নাথদেবের রত্ন ভান্ডার

137

জগন্নাথদেবের রত্ন ভান্ডার

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

ভারতের প্রাচীন মন্দির গুলিতে রয়েছে বহু ধন রত্ন এবং সেই নিয়ে চালু রয়েছে বহু কিংবদন্তী। দক্ষিন ভারতের পদ্মনাভ স্বামী মন্দির বা তিরুপতি বালাজি মন্দিরের পাশাপাশি চার ধামের মধ্যে অন্যতম পুরীর মন্দির একদমই পিছিয়ে নেই।

 

প্রভু জগন্নাথের রয়েছে অগাধ সম্পত্তি। সেই তালিকায় রয়েছে বহু মূল্য হীরে, মূল্যবান অনেক রত্ন, সোনার এবং রুপোর নানা রকম অলংকার।

শুধু জগন্নাথ নন বলরাম এবং সুভদ্রার ও রয়েছে নিজস্ব রত্ন ভান্ডার।

 

বিশেষ বিশেষ সময়ে প্রভুর মাথায় ব্রহ্মজ্যোতি হীরা শোভা পায়।সেই হীরের জ্যোতি কি কেউ খালি চোখে সইতে পারেনা।এছাড়া বলরামের মাথার নীলা বা সুভদ্রার মাথার মানিক, সবই রত্নভান্ডারে গচ্ছিত আছে।বিশেষ বিশেষ সময়ে প্রভুকে সোনার গয়নায় সাজানোর জন্য তার রত্ন ভান্ডার থেকে গহনা বের করে আনা হয় তবে তারও একটা নিদ্দিষ্ট পক্রিয়া আছে।

 

মন্দিরের অভ্যন্তরে কয়েকটি বিশেষ কক্ষে এই অতুল ঐশর্য রাখা আছে। সেখানে বাইরের কারুর প্রবেশের অধিকার নেই।বহুকাল এই রত্ন ভাণ্ডারের সমীক্ষা বা হিসেবে নিকেশ হয়নি। ভারত সরকার একবার উদ্যোগ নিলেও চাবি না পাওয়ার জন্য কাজ স্থগিত রাখতে হয়।বর্তমান সময়েও রত্ন ভাণ্ডারের ধন দৌলতের পরিমান জন সমক্ষে আনার জন্য আলোচনা চলছে তবে শেষ মেষ তা হবে কিনা নিশ্চিত করে বলা যায়না। সবই এক কথায় প্রভু জগন্নাথের ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে।

 

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সিংহদুয়ারের ঠিক সামনে ইমার মঠ। সেখান থেকে একাধিক বার উদ্ধার হয়েছে গুপ্তধন।২০১১-তে ও ২০২১-এ, পরপর দু’বার এই মঠ থেকে পাওয়া যায় কয়েক কোটি টাকার সম্পদ উদ্ধার হয় অন্তত ৫০০ রূপোর বাট।

 

ভবিষ্যতে হয়তো প্রভু জগন্নাথের রত্ন ভান্ডারে গচ্ছিত ধন দৌলতের পরিমান ঠিক কতো তা জানা যাবে আরো অনেক রহস্য হয়তো প্রকাশিত হবে।

ততো দিন পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

 

আসন্ন রথ যাত্রা উপলক্ষে সারা সপ্তাহ জুড়ে থাকবে জগন্নাথদেব এবং পুরীর মন্দির নিয়ে আলোচনা। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।