জয় জগন্নাথ – জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি

25

জয় জগন্নাথ – জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

চন্দন যাত্রার মধ্যে দিয়ে শুরুহয়ে গেছে।আগামী রথ যাত্রার প্রস্তুতি।আসন্ন দেব স্নান পূর্ণিমায় হবে স্নান যাত্রা তারপর রথে চড়ে মাসির বাড়ি যাবেন জগন্নাথ। সেখানেই সাত থাকবেন প্রভু। এই মাসির বাড়ি বা গুন্ডিচা মন্দির নিয়ে আমার আজকের এই বিশেষ পর্ব।

গুন্ডিচা মন্দিরের দূরত্ব শ্রীমন্দির থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার। মন্দিরটি চারদিকে সুদৃশ্য বাগান দিয়ে ঘেরা। অনেকেই তাই এই মন্দিরকে জগন্নাথের বাগানবাড়ি বলে থাকেন। হালকা ধূসর বেলেপাথরে তৈরি এই মন্দির কলিঙ্গ স্থাপত্য শৈলীর উৎকৃষ্ট নিদর্শন।

এই মন্দিরেই জগন্নাথ দেবের বেড়াতে আসার নেপথ্যে বেশ কিছু লোককাহিনি প্রচলিত রয়েছে।
পুরীর রাজা ইন্দ্রদুম্ন্যর স্ত্রীর নামই ছিল গুন্ডিচা তাঁকে উদ্দেশ্য করেই এই মন্দির তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই। কথিত আছে দেব বিশ্বকর্মা যখন বন্ধ ঘরে জগন্নাথ মূর্তি তৈরি করছিলেন, গুন্ডিচাদেবী কোনওভাবে তা দেখে ফেলেন। এবং সেই অর্ধসমাপ্ত মূর্তি দেখেই তিনি মোহিত হয়ে রাজাকে অনুরোধ করেন আরও একটি মন্দির নির্মানের জন্য।

রানী গুন্ডিচাই পুরীর রথ যাত্রার অন্যতম স্রষ্টা
বলে মনে করেন। আবার কিছু গ্রন্থে আছে যে
প্রভু জগন্নাথ গুন্ডিচা দেবীর মন্দির দেখে প্রসন্ন হয়েছিলেন। তাই বছরের সাতদিন করে এখানে কাটিয়ে যাওয়ার কথা দিয়েছিলেন। সেই থেকে নাকি রথযাত্রা এবং প্রভুর গুন্ডিচা মন্দিরে সাতদিন কাটানোর রীতির প্রচলন হয়েছে।

গুন্ডিচা মন্দিরের একেবারে অন্দরে গর্ভগৃহ আছে যেখানে রথের সময় প্রভু জগন্নাথ অবস্থান করেন। বাইরে সমাবেশ দালান ও নাটমন্দির। পশ্চিমপ্রান্তে অবস্থিত একটি বিশাল দরজা। এই দরজা দিয়েই জগন্নাথ মূর্তি রথে থেকে নামিয়ে গুন্ডিচা মন্দিরে প্রবেশ করানো হয়। এর ঠিক উলটোদিকে আরও একটি দরজা রয়েছে। পূর্বদিকের ওই দরজা দিয়েই ত্রিমূর্তি পুনরায় রথে আরোহন করেন।

আসন্ন স্নান যাত্রা উপলক্ষে চলতে থাকবে জগন্নাথ সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে শাস্ত্রীয় আলোচনা।
ফিরে আসবো আগামী পর্বে। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।