বাংলার কালী – জলপাইগুড়ির ভদ্র কালীর পুজো

164

বাংলার কালী – জলপাইগুড়ির ভদ্র কালীর পুজো

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়ায় রয়েছে প্রাচীন এক কালী মন্দির। নাম দেবী ভদ্রকালীর মন্দির।

গোটা উত্তর বঙ্গের মানুষের কাছে দেবী অত্যন্ত জাগ্রত। ব্যতিক্রমী ব্যতিক্রমী বিষয় হচ্ছে দেবী সাপের ওপর বিরাজিতা।

 

কিছু ইতিহাসবিদ মনে করেন কোচবিহারের মহারাজার রূপনারায়ণ ১৬৯৩ খ্রিস্টাব্দে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আবার

অনেকের আবার দাবি বৈকুণ্ঠপুরের মহারাজা দর্পদেব রায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মন্দিরটি এবং সেই সময়ে পুরী থেকে পান্ডা নিয়ে এসে শুরু করেছিলেন এই পুজো।

 

প্রায় ৫০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এখানে দেবীমূর্তি পূজিত হচ্ছেন। দেবীর গড়নেও রয়েছে বৈচিত্র্য। যার সঙ্গে অগ্নিপুরাণে বর্ণিত দেবীর রূপের সাদৃশ্য আছে।এখানে দেবীর পায়ের তলায় মহাদেব নেই। রয়েছে দুটি গোখরো সাপ। যা সৃষ্টি ও প্রলয়ের প্রতীক। দেবী এখানে জিহ্বা বার করে নেই বরং প্রসন্নময়ী স্নিগ্ধ এবং শান্ত রূপ।দেবী বিগ্রহের উচ্চতা প্রায় চার ফুট।

 

যদিও রূপ কিছুটা ভিন্ন তবুও দেবীকে এখানে দক্ষিণকালী রূপে পুজো করা হয়।বর্তমানে এই মন্দিরের দায়িত্বে রয়েছেন রাজপরিবারের এক সদস্য।বংশ পরম্পরায় পান্ডারাই পুজো করেন।এই মন্দির ঘিরে রয়েছে পাণ্ডাদের বসতি। সেই থেকেই এলাকার নাম হয়েছে পাণ্ডাপাড়া।

 

প্রতি কার্তিক অমাবস্যায় বেশ ঘটা করে দেবীর পুজো করা হয়। প্রতিপুজোয় এখানে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে। সেই সময় মন্দির প্রাঙ্গণে মেলা বসে।

দেবীর ভক্তরা বিশ্বাস করেন তাঁর কাছে যা

প্রার্থনা করা হয় সেটাই পূরণ হয়।

 

বাংলার আরো একটি প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক কালী নিয়ে আলোচনা করবো আগামী পর্বে।

চলতে থাকবে বাংলার কালী। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।