বাংলায় কালী মন্দিরের সংখ্যা অসংখ্য যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করছি।
আজ স্বরস্বতী পুজোর এই পুন্য তিথিতে আপনাদের এই বাংলার এক প্রাচীন সরস্বতী মন্দিরের ইতিহাস সম্পর্কে কিছু তথ্য জানাবো ।
এই স্বরস্বতী মন্দির রয়েছে হাওড়ার পঞ্চানন তলায়। উমেশ চন্দ্র দাস লেনে। বাংলার এটিই একমাত্র সরস্বতী মন্দির না হলেও এই সরস্বতী মন্দিরে মা সরস্বতীর নিত্য পুজো হয় যা আর খুব একটা চোখে পড়েনা।
স্থানীয় দাস পরিবার এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
এই মন্দির স্থাপিত হয় আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে।এই বংশের অন্যতম কৃতি সন্তান রণেশ চন্দ্র ছিলেন একজন ইঞ্জিনিয়ার। তিনি একবার কর্মসূত্রে রাজস্থানে ছিলেন। ফেরার সময় জয়পুর থেকে তিনি মা সরস্বতীর চার ফুটের শ্বেত পাথরের একটি মূর্তি এনেছিলেন। সেই মূর্তি আনার পর তার বাবা উমেশ চন্দ্র দাসের ইচ্ছেতে এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয় শুরু হয় দেবী সরস্বতীর নিত্য পুজো।
সে যুগে বনেদি বাঙালি পরিবারে দুর্গাপূজা বা কালী পুজোই হতো প্রধান উৎসব হিসেবে। তাই সরস্বতী পুজো শুরু করে এই দাস পরিবার চলে আসে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে।শুধু তাই নয় এই পরিবার মা সরস্বতীর বিশেষ কৃপা লাভ করে এবং একের পর এক উচ্চ শিক্ষত এবং কৃতি সন্তান জন্মায় এই বাড়িতে।কেউ ছিলেন বিখ্যাত ডাক্তার।আবার কেউ উকিল।
যখন বঙ্কিমচন্দ্র ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হয়েছিলেন, তখন তিনি পঞ্চানন তলার বাড়িতে বেশ কয়েক বছর ছিলেন।বিধানচন্দ্র রায় এবং রবীন্দ্রনাথ সহ বাংলার বহু বিখ্যাত মনীষীরা এই বাড়িতে এসেছেন।
বৈশাখ মাসে প্রতিদিন তিন বেলা নিত্য সেবা করা হয় দেবীর। স্বরস্বতী পুজো হয় মহা সমারোহে।মন্দিরের দেওয়াল হাঁস ও বীণা দ্বারা সজ্জিত।
মন্দিরের রঙ মা স্বরস্বতীর প্রিয় রঙ হলুদ।
আবার ফিরে আসবো বাংলার কালী নিয়ে যথা সময়ে। আজ সবাইকে জানাই সরস্বতী পুজোর অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।