শ্রী কৃষ্ণর বিশ্বরূপ

1100

আজ জন্মাষ্টমী|সনাতন ধর্মের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও শ্রেষ্ঠ উৎসবের অন্যতম জন্মাষ্টমী কারন এই তিথিতে জন্মে ছিলেন স্বয়ং শ্রী কৃষ্ণ যিনি কোনো সাধারন অবতার নন|শাস্ত্র মতে তিনি স্বয়ং ভগবান|সনাতন ধর্মে দেবতা অনেক আছে কিন্তু ভগবান একজনই|তিনি শ্রী কৃষ্ণ|তার মধ্যে সর্বগুন সর্বোচ্চ মাত্রায় বর্তমান তাই তিনি ভগবান|যদিও আজকের দিনে তার বালক রূপ অর্থাৎ গোপাল রূপের পুজো হয় তবে শাস্ত্রের তাকে নানা রূপে ও নানা ভূমিকায় পাওয়া গেছে|তিনি একাধারে বীর যোদ্ধা আবার পরম দয়ালু তিনি দ্বারকাধীশ আবার অর্জুনের রথের সারথি|তার রূপ ও অনেক|তার রূদ্র রূপ আছে আবার সৌম দেব রূপ ও আছে|আজ আলোচনা করবো তার বিশ্বরূপ বা বিরাট রূপ নিয়ে|কুরুক্ষে যুদ্ধে কৃষ্ণ বার বার অর্জুনকে নিজের বিশ্বরূপ দেখার আজ্ঞা দেন, কিন্তু অর্জুন কিছু দেখতে পারেন না|তখন কৃষ্ণ বলেন-কিন্তু তুমি নিজের এই চোখ দিয়ে আমার দিব্য রূপ দেখতে পারবে না। তাই আমি তোমায় দিব্য চক্ষু দিচ্ছি। যার সাহায্যে তুমি আমার ঐশ্বরিক ক্ষমতা দেখতে পারবে|এরপর অর্জুনকে দিব্য দৃষ্টি দিয়ে শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে নিজের পরম ঐশ্বরিক বিরাট রূপ দেখান।গোটা বিশ্ব ব্রম্ভান্ড যেনো এই রূপের কাছে তুচ্ছ|মনে করা হয় যদি আকাশে একসঙ্গে হাজার সূর্যোদয় হয়, তখনও তাদের সকলের প্রকাশ মিলে সেই বিরাট রূপের প্রকাশের সামনে দাঁড়াতে পারবে না।শ্রী কৃষ্ণের এই রূপে অনেক মুখ ও চোখ আছে, অনেক অলৌকিক অলঙ্কার আছে, হাতে নানান দিব্য অস্ত্র-শস্ত্র আছে এবং তার গলায় নানান ধরণের দিব্য মালা আছে| তিনি একপ্রকার অলৌকিক বস্ত্র পরে আছেন ও যাঁর ললাট ও শরীরে দিব্য চন্দন, কুমকুম ইত্যাদি লাগানো রয়েছে|শাস্ত্রে উল্লেখ আছে এমন বিরাট রূপ দেখে অর্জুন আশ্চর্যচকিত হয়ে পড়েন এবং তাঁর শিহরণ দেখা দেয়। তিনি করজোড়ে এবং মাথা নুইয়ে প্রণাম করে বিরাট রূপ শ্রীকৃষ্ণের স্তুতি করতে শুরু করেন|আজ শ্রী কৃষ্ণের দিন|সংক্ষেপে তার বিশ্ব রূপ বর্ণনা করে তাকে প্রনাম জানালাম|আগামী দিনে ফিরে আসবো নতুন কোনো বিষয় নিয়ে নতুন কোনো পর্বে|সবাইকে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|