শক্তিপীঠ – কালমাধব

37
ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের অমরকণ্টক সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি মাহাত্ম্যপূর্ণ তীর্থস্থান। এখানেই অবস্থিত কালমাধব শক্তিপীঠ
একান্ন পীঠের অন্যতম একটি পীঠ হলো এই কালমাধব সতীপীঠ।পুরান অনুসারে সতীর বাম নিতম্ব পড়েছিলো এই স্থানে।কালমাধব মন্দিরে দেবী কালীরূপে পূজিতা হন এবং এই শক্তি পীঠে দেবীর ভৈরব হলেন অসিতাঙ্গ।
যে স্থানে কাল মাধব শক্তি পীঠটি নির্মিত হয়েছে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতুলনীয়।মন্দিরের চারপাশে রয়েছে শ্বেত পাথর দিয়ে বাঁধানো পুকুর এবং মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে শোন নদী।
চার দিকে বিস্তৃত পার্বত্য ভূমি যা এখানকার একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান।
এই শক্তি পীঠ মন্দিরের ইতিহাস অতি প্রাচীন।
আমরা কোনো বস্তু বা স্থানের প্রাচীনত্ত্ব বোঝাতে একটি প্রবাদ ব্যবহার করে বলি ” মান্ধাতার আমল” এই মান্ধাতা আসলে প্রাচীন ভারতের
এক সূর্য বংশীয় সম্রাট ছিলেন। আজ থেকে আনুমানিক ৬০০০ বছর আগে এই সূর্যবংশীয় সম্রাট মান্ধাতা শোন নদীর তীরে অমরকন্টকে এই কালমাধব মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। সেই সময়ে শ্বেত শুভ্র পাথরের তৈরি করা হয় মন্দিরটি।
আজও এই মন্দিরের সৌন্দর্য এবং নির্মাণ শৈলী দর্শণার্থীদের মুগ্ধ করে।
সেই প্রাচীনকাল থেকে এই শক্তিপীঠে দেবী
কালীরই পুজো চলে এসেছে । তবে পরবর্তীতে এখানে দেবীকে নর্মদা মা রূপে পুজো শুরু হয় দেবীর বিগ্রহের দুই পাশে জয়া ও বিজয়ার মূর্তি আজও প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। কাল মাধবে নর্মদা মায়ের পূজা ও ধ্যান মন্ত্র চামুণ্ডার বিধি মতে হয়ে থাকে। পূজারীরা সেই হাজার হাজার বছর থেকে
বংশ পরম্পরায় পুজোর দায়িত্ব সামলে আসছেন।
যদিও প্রায় সারা বছর ধরেই এখানে অসংখ্য ভক্তদের সমাগম দেখা যায়। তবে দুর্গাপূজা বা নবরাত্রীর সময় এই মন্দিরে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয় এবং ভিড় হয় অনেক বেশি।
আবার ফিরে আসবো আগামী পর্বে অন্য
এক শক্তি পীঠের ইতিহাস ও পৌরাণিক ব্যাখ্যা নিয়ে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।