শক্তি পীঠ – গণ্ডকী

456

শ্রাবন মাসের ব্যস্ততা,মা হৃদয়েশ্বরী মা সর্বমঙ্গলা মন্দিরে যাবতীয় কাজ ও পেশাদারি জ্যোতিষ চর্চার বাইরে যেটুকু অবসর পাই তা ব্যয় হয় আধ্যাত্মিক গবেষণা, অধ্যয়ন ও লেখা লেখিতে|এর আগে বেশ অনেক গুলি শক্তি পীঠ নিয়ে আমি লিখেছি যা আপনারা বেশ পছন্দ করেছেন|বাংলার শক্তি পীঠ গুলি নিয়ে লেখা প্রায় শেষ তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এবং দেশের বাইরেও অবস্থান করছে আরো অনেক শক্তি পীঠ যা এবার এক এক করে আপনাদের সামনে আনবো|চলতে থাকবে এই আধ্যাত্মিক যাত্রা|আজকের পর্বে আমরা ঘুরে আসবো প্রতিবেশী দেশ নেপালে,জানবো শক্তি পীঠ গণ্ডকী সম্পর্কে|

নেপাল ধার্মীক ও আধ্যাত্মিক দিক থেকে বেশ তাৎপর্যপুর্ন|এই স্বাধীন একদা হিন্দু রাষ্ট্র হলো ভগবান বুদ্ধের জন্ম স্থান|পবিত্র পশুপতি নাথ মন্দির রয়েছে এই নেপালে|অনেকেই হয়তো জানেননা নেপালের সর্ব শেষ রাজা ছিলেন পৃথিবীর শেষ স্বাধীন হিন্দু রাজা|

পীঠনির্ণয়তন্ত্র মতে একাদশ শক্তিপীঠ হল দেবী গণ্ডকী চণ্ডী এই পীঠ নেপালে |পুরান মতে এখানে দেবী সতীর গণ্ড দেশ পতিত হয়েছিল|দেবীর
নাম গণ্ডকী চণ্ডী এবং দেবীর ভৈরব হলেনচক্রপাণি|ভরত চন্দ্রের লেখায় আমরা দেখতে পাই –

ভারতচন্দ্র লিখেছেন-

“গণ্ডকীতে ডানি গণ্ড পড়ে চক্র
ঘায় ।
চক্রপাণি ভৈরব, গণ্ডকী চণ্ডী
চায়”

সারা বিশ্বের পীঠ গবেষক দের মতে গণ্ডকী নদীর উৎপত্তিস্থলেই এই পীঠ|নেপালের এই গণ্ডকী নদী আবার একটি বিশেষ কারনে সারা পৃথিবীর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ|এক মাত্র এই নদীতেই পাওয়া যায় পবিত্র নারায়ণ শীলা বা শালগ্রাম শীলা|দেবী এখানে চণ্ডী রূপে পূজিতা হন|তিনি দশ ভুজা ও মহিষাসুর মর্দিনী|

সারা পৃথিবী থেকে দর্শনার্থী রা আসেন এই পবিত্র শক্তি পীঠ দর্শন করতে ও দেবী চন্ডীর আশীর্বাদ নিতে|দেবী অত্যান্ত জাগ্রতা|

আগামী পর্ব গুলিতে দেশ বিদেশের আরো অনেক শক্তি পীঠের কথা নিয়ে আসবো আপনাদের সামনে|আর খুব শিগ্রই শুরু করছি এক বিশেষ ধারাবাহিক লেখনী ভারতের সাধক দের নিয়ে|চলছে শ্রাবন মাস, সামনেই ঝুলন পূর্নিমা থাকবে সেসব নিয়ে বিশেষ পর্ব|তাছাড়া সামনের মাসেই কৌশিকী অমাবস্যা|এতো সবের মাঝে যারা জ্যোতিষ পরামর্শ, ভাগ্য গণনা ও গ্রহ দোষ খণ্ডন করাতে চান তারা যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|আমি থাকবো আপনাদের পাশে যেমন টা থেকেছি এতো কাল|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|