একান্নপীঠ – গায়েত্রী

332

আজ যে শক্তি পীঠ নিয়ে লিখবো তা

অবস্থিত রাজস্থানের পুস্করে। এখানে দেবীর হাতের তালু থেকে কনুই অবধি অর্থাৎ মণিবন্ধ পড়েছিল এখানে। দেবী সতী এখানে পূজিত হন গায়ত্রী
নামে এবং দেবীর ভৈরবের নাম সর্বানন্দ।

দেবী গায়েত্রী হলেন বেদ মাতা। দেবী গায়েত্রী থেকেই বেদ পুরান সৃষ্টি হয়েছে। এই গায়েত্রী দেবী সাক্ষাৎ বিরাজ করছেন এই শক্তি পীঠে।

রাজস্থানের শুষ্ক মরু অঞ্চলে অবস্থিত এই
শক্তিপীঠ পীঠ নির্ণয় তন্ত্র সহ একাধিক শাস্ত্রেই খুব গুরুত্বপূর্ণ পীঠ রূপে উল্লেখিত।

এখানে একটি পবিত্র কুন্ড আছে। যার নাম পুস্কর
এই কুন্ডের জল মহাপবিত্র এবং এর সাথে জড়িয়ে আছে বহু অলৌকিক ঘটনা।

শোনা যায় রাজপুতনার পরিহার বংশীয় রাজা লহোর ছিলেন কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত। একবার তিনি এই অঞ্চলে শিকারে আসেন। একটি শ্বেত বরাহের পেছনে ছুটতে ছুটতে তিনি এই এলাকায় এসে তৃষ্ণার্ত হয়ে এই কুন্ডের জল পান করেন।
এতে তার শরীরের সব রোগ হটাৎ সেরে যায়।
তারপর এই কুন্ডের এবং শক্তিপীঠের মহাত্ম দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে।

পদ্মপুরান অনুযায়ী এই কুন্ডের ধারে প্রজাপতি ব্রহ্মা যজ্ঞ করেছিলেন।ভারতের একমাত্র ব্রম্হার মন্দিরটিও এখানেই অবস্থিত।

পুরাকালে ব্রহ্মা যে স্থানে যজ্ঞ করেছিলেন সেই যজ্ঞবেদীর পশ্চিম দিকে গায়ত্রী মাতার মন্দির আছে।মহাভারতে এই তীর্থের বর্ণনা আছে। বন পর্বে পান্ডবরা এই স্থানে এসে পুজো দিয়ে ছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।

বলা হয় এখানে স্নান করে গায়েত্রী দেবীর মন্দিরে পুজো দিলে সমস্ত মনোবাসনা পূর্ণ হয়।

দেবী গায়েত্রীকে প্রণাম জানিয়ে আজকের পর্ব এখানেই শেষ করছি।ফিরে আসবো পরবর্তী শক্তিপীঠ নিয়ে।আগামী পর্বে।পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।