আজকের পর্বে আপনাদের নিয়ে যাবো সিমলা গড়। হুগলিতে অবস্থিত এই অঞ্চল এক সময় হরিহর পুর নামে পরিচিত ছিলো আর বিখ্যাত ছিলো এখানকার ডাকাতদের জন্য। সেই ডাকাত দলের সর্দার ছিলো বিশ্বনাথ ওরফে বিশে।
ডাকাত সর্দার বিশে অত্যাচারী জমিদারদের শায়েস্তা করতে ডাকাত দল তৈরি করে ডাকাতি করেন। তাকে ধরার জন্য ইংরেজরা নানা ধরনের ফাঁদ পেতেছিল কিন্তু তাৎক্ষণিক বুদ্ধির কৌশলে প্রতিবারই তিনি অধরা থেকে যেতেন।
অবশেষে ১৮১৮ সালে ডাকাতি করার সময় পুলিশের জালে ধরা পরে যায় বিশে ডাকাত এবং বিচারে তার ফাঁসি হয়।
সিমলাগড় ডাকাত কালীবাড়ি প্রায় ৬০০ বছরের পুরোনো, শোনা যায় ডাকাতরা ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে নরবলি দিত সিমলাগড় কালীবাড়িতে কিন্তু একবার এক তান্ত্রিক পুরোহিত তন্ত্রসাধনা করতে এসে নরমুন্ড দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর থেকেই নরবলি বন্ধ হয়ে যায়, ছাগ বলি চালু থাকে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে সৈন্যচলাচল বাড়তে শুরু করল ওই এলাকায়। মানুষরাও ভয় কাটিয়ে মায়ের পুজো দিতে শুরু করতে, ধীরে ধীরে বাড়তে লাগলো ভক্তের সংখ্যা। পরে মন্দির সংস্কার করে আরও বড় মন্দির তৈরী হল। মন্দিরে মায়ের মূর্তিটি মাটির নয় পাথরের। নিয়ম মেনে প্রতিবছর তা রঙ করা হয়।
আজও এখানে নিষ্ঠা সহকারে তন্ত্র মতে কালী পুজোয় মাছ-সহ ১০৮ রকমের ভোগ দেওয়া হয়। দীপান্বিতা অমাবস্যায় বিশেষ পুজো হয় এবং পয়লা বৈশাখে প্রচুর ভক্তের সমাগম ঘটে।
যথা সময়ে আবার ফিরে আসবো। নতুন কোনো মন্দিরের কথা বা দেবী মাহাত্ম নিয়ে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।