শাস্ত্র মতে রুদ্রাক্ষ শোধন করা বা ধারণ করার শ্রেষ্ট তিথি শিব চতুর্দশী তিথি। এই বিশেষ তিথিতে সঠিক নিয়ম মেনে জন্ম ছক অনুসারে নিদ্দিষ্ট সমস্যাকে বিবেচনা করে রুদ্রাক্ষ ধারন করে রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে হয়। আগেই বেশ কয়েকটি রুদ্রাক্ষর কথা বলেছিম আজ তেরো থেকে পনেরো মুখী রুদ্রাক্ষ নিয়ে লিখবো।
তেরো-মুখী রুদ্রাক্ষ কামদেবের স্বরূপ যা ধারণে মনের বাসনা পূর্ণ হয় এবং কোনও প্রকারের অকল্যাণ হয় না।যাদের দাম্পত্য জীবন সুখের নয় তারা শুক্রবার কাম দেব ও মহা দেবকে স্মরণ করে গঙ্গাজল ও দুধ বা ঘি দিয়ে শোধন করে এই রুদ্রাক্ষ কন্ঠে বা বাহুতে ধারণ করতে পারেন।
চৌদ্দমুখী রুদ্রাক্ষ শিব ও হনুমান স্বরূপ।ধারণ করলে জীবনে সুখ সমৃদ্ধির আগমন ঘটে থাকে। সর্বপ্রকার সম্মান প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে সকল সুখ-শান্তি এবং আয়ু বৃদ্ধি ঘটে থাকে। এই প্রকার রুদ্রাক্ষ ধারণকারী ব্যক্তি শিবের আশীর্বাদ লাভ করেন ও বজরংবলী তাদের রক্ষা করেন। এই রুদ্রাক্ষ সর্বরোগে বিনাশের মধ্য দিয়ে ব্যক্তিকে নীরোগ রাখতে সাহায্য করে।যেকোনো দিন শুদ্ধ দেহে ও পবিত্র মনে ওঁম নমঃ শিবায় জপ করে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন।
শাস্ত্র মতে ধন, যশ, জনপ্রিয়তা লাভের জন্য পনেরো রুদ্রাক্ষের তুলনা হয় না।অনেকেই লটারি, শেয়ার বাজার ইত্যাদিতে দিনের পর দিন অর্থব্যয় করে থাকেন। তারা যদি পনেরো মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন তাহলে সুফল পেতে পারেন।লাল ধাগায় রবিবার এই রুদ্রাক্ষ বাহুতে বা কণ্ঠে ধারণ করতে পারেন।সুফল পাবেন।
শিব চতুর্দশী উপলক্ষে চলবে রুদ্রাক্ষ নিয়ে এই ধারাবাহিক আলোচনা। রুদ্রাক্ষ ধারনের পাশাপাশি যারা শাস্ত্র মতে গ্রহের প্রতিকার করাতে চান তারাও এই শিব চতুর্দশী তিথিকে কাজে লাগাতে পারেন। ফিরে আসবো পরের পর্বে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।