বাকি রয়েছে অনেকগুলি রুদ্রাক্ষ নিয়ে আলোচনা আজ তাদের কয়েকটি নিয়ে লিখবো।শাস্ত্র মতে হর পার্বতীর মিলিত রূপ ১৬ মুখী রুদ্রাক্ষ। একে জয় রুদ্রাক্ষ ও বলে। আবার শিবের মহা মৃত্যুঞ্জয় রূপেও দেখা হয়। এই রুদ্রাক্ষ ভয় শোক ও হতাশা দূর করে ও আত্মবিশ্বাস দেয়। ছাত্র ছাত্রী দের জন্য বিশেষ ভাবে শুভ।দেবী কাত্যায়নী হলেন ১৭ মুখী রুদ্রাক্ষর অধীস্টাত্রী দেবী। এই রুদ্রাক্ষ মনের মতো জীবন সঙ্গী পেতে সাহায্য করে এবং দাম্পত্য জীবন সুখের করে।পাশাপাশি নীরোগ ও দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন লাভ করতে সাহায্য করে।দেবী বসুন্ধরা ১৮ মুখী রুদ্রাক্ষর অধীস্টাত্রী দেবী। যারা এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করে তাদের জাগতিক সব মনোস্কামনা পূর্ণ হয়। জমি বাড়ি সংক্রান্ত ব্যবসা যারা করেন তাদের জন্য এই রুদ্রাক্ষ বিশেষ ভাবে শুভ।শাস্ত্র মতে লক্ষী এবং নারায়ণ একত্রে বাস করেন ১৯ মুখী রুদ্রাক্ষতে। তাই এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে সব বিপদ নাশ হয় এবং সৌভাগ্য লাভ হয়। যারা প্রবল অর্থ কষ্টে আছেন তারা এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন।শাস্ত্র মতে ২০ মুখী রুদ্রাক্ষ ব্যক্তিকে মানসিক শান্তি ও চাপ থেকে মুক্তি দেয়।নেতিবাচক শক্তির বিরুদ্ধে একটি ঢাল হিসেবে এই রুদ্রাক্ষকে ব্যবহার করা হয়।শাস্ত্র মতে ২১ মুখী রুদ্রাক্ষ একজন ব্যক্তির ভুল কর্মের ফলাফল হ্রাস করে।দুর্ঘটনা এবং দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা থেকে রক্ষা করে এবং সর্ব ক্ষেত্রে সাফল্য দেয়।শিব রাত্রিতে রুদ্রাক্ষ শোধন ও ধারণ করা বিশেষ ভাবে শুভ। যারা গ্রহ দোষ খণ্ডন করাতে চান তারাও এই তিথিকে বেছে নিতে পারেন। ফিরে আসবো পরের পর্বে পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন।ধন্যবাদ। ওঁম নমঃ শিবায়ঃ।