আজ শুরু করবো দশ মুখী রুদ্রাক্ষ দিয়ে।এই দশমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে নবগ্রহ শান্ত থাকে।দশদিক দশমুখী রুদ্রাক্ষের অধিপতি। ভগবান বিষ্ণু এর আদি দেবতা। এই দশমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণকারীর নাম যশ দশদিকে প্রসারিত হয়।অশুভ শক্তি নাশ করে নিজেকে রক্ষা করতে বা শত্রুকে দমন করতে দশমুখী রুদ্রাক্ষের কোনও বিকল্প হয় না। জীবনে আনন্দের আগমন ঘটানোর জন্য রুদ্রাক্ষ ধারণ করা হয়ে থাকে। ওম হ্রীং নম: মন্ত্রের জপ করতে হয়। ভগবান বিষ্ণু যে দশ অবতার হয়েছিলেন মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, বামন, বুদ্ধ, রাম, কল্কি, প্রমুখ সেই দশাবতারের শক্তি গুলি এই দশমুখী রুদ্রাক্ষের মধ্যে নিহিত আছে বলে মনে করা হয়।এগারো মুখী রুদ্রাক্ষর অধিষ্ঠাতা দেবতা হনুমান। ধারকের জ্ঞান, বিচারবুদ্ধি, বাকশক্তি বৃদ্ধি পায়। জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য এটি ধারণ করতে হয়। অনেক সাধু সন্ন্যাসী এই ১১মুখী রুদ্রাক্ষকে ভগবানের সর্বশ্রেষ্ঠ দান বলে মনে করেন।ধরণের আগে ওম হ্রীং হুম নম: মন্ত্র জপ করা উচিত।প্রকৃত পক্ষে ১১মুখী খুবই রুদ্রাক্ষ দুর্লভ।কথিত আছে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে গোদান, ব্রাহ্মন ভোজন ও দেব সেবার ফল পাওয়া যায়।১১ মুখী রুদ্রাক্ষ হল ভগবান শিবের বিভিন্ন শক্তির কেন্দ্র বিন্দু তাই এই রুদ্রাক্ষ সকল বিপত্তি বিনাশকারী ও সমৃদ্ধিকারী।দ্বাদশ মুখী রুদ্রাক্ষর অধিষ্ঠাতা দেবতা সূর্য। নিয়ন্ত্রক গ্রহ রবি। এই রুদ্রাক্ষ খ্যাতি ও প্রতিপত্তি। ওম ক্রৌং ক্ষৌং রৌং নম: মন্ত্র জপ করে এই রুদ্রাক্ষ স্বর্ণ বা রৌপ দিয়ে ধারণ করা উচিত।এটি খুব শক্তিশালী ও তেজস্বী রুদ্রাক্ষ। সাধারণত সাধু সন্ন্যাসী ও আধ্যাত্মিক জগতের মানুষরা এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন।সামনেই শিব চতুর্দশী। রুদ্রাক্ষ ধারনের শ্রেষ্ঠ সময়।আগামী পর্বে আরো অনেকগুলি রুদ্রাক্ষর কথা বলবো।পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।