শিবের সাথে রুদ্রাক্ষর সম্পর্ক অনেকটা গাছের সাথে পাতার সম্পর্কর মতো।কারন শিবের শরীর থেকেই রুদ্রাক্ষর জন্ম হয়েছে।শাস্ত্র মতে শিবের অশ্রু থেকে তৈরি হয়েছিল রুদ্রাক্ষ গাছ। ভগবান শিব কঠিন তপস্যার পর চোখ খুলতে তাঁর চোখ থেকে অশ্রু নির্গত হয়। যা মাটিতে পড়তে সেই অশ্রু থেকে তৈরি হয় রুদ্রাক্ষ গাছ।শিব চতুর্দশী উপলক্ষে আজ থেকে শুরু করবো রুদ্রাক্ষ নিয়ে আলোচনা। এক থেকে শুরু করে একুশ মুখী পর্যন্ত রুদ্রাক্ষ নিয়ে আলোচনা হবে।প্রথমেই বলবো এক মুখী রুদ্রাক্ষের অধিষ্ঠাতা দেবতা স্বয়ং শিব। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে যাবতীয় পাপ নাশ হয়। এর নিয়ন্ত্রক গ্রহ রবি। যে ব্যক্তিরা ক্ষমতা লাভ করতে চান, তাঁরা এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে সুফল পাবেন। যে সব ব্যক্তির ধন-সম্পদ এবং ভৌতিক বস্তুর আকাঙ্ক্ষা থাকে তিনি এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন। ওম হ্রীং নম: মন্ত্র জপ করে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে হয়।একমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে অনেক প্রকার বাধা বিপত্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রবি গ্রহ ভালো ফল দেয়।কেবল তাই নয় ভগবান শিবের প্রতি বিশেষ ভক্তি প্রদর্শিত হয়।ক্রমে ক্রমে আধ্যাত্মিক উন্নতিও ঘটে।যারা রাজনীতি, সরকারি চাকরি বা প্রশাসনিক কাজের সাথে যুক্ত তারা বিশেষ করে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন। এটা গোল আকারের হয়। আবার গোলাকার ছাড়াও অর্ধচন্দ্রাকৃতি আকারের দেখা যায়।লাল সুতোয় বা সোনায় গঙ্গাজল দিয়ে শোধন করে রবিবারদিন ধারণ করা শ্রেয়।দুই মুখী রুদ্রাক্ষ হরপার্বতীর প্রতীক ।শিব ও শক্তি একত্রে এতে অবস্থান করেন। একে তাই ‘অর্ধনারীশ্বর’ হিসেবেও ধরা হয়। এর নিয়ন্ত্রক গ্রহ চন্দ্র। আধ্যাত্মিক তৃপ্তির জন্য এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন।একে ধারণের পূর্বে ওম নম: মন্ত্রের জপ করা উচিত। সোমবার দিন রুপো দিয়ে গঙ্গাজল দুধ ও ঘি দিয়ে শোধন করে শিব লিঙ্গে স্পর্শ করিয়ে ধারণ করুন। যারা মানসিক অবসাদে আছেন। শিল্প সাহিত্য বা সৃষ্টিশীল কাজে সাফল্য খুঁজছেন তারা ভালো ফল পাবেন। চন্দ্র গ্রহ সবল হয় ও সুফল দেয় এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে।তিন মুখী রুদ্রাক্ষর অধিষ্ঠাতা অগ্নিদেব। এর নিয়ন্ত্রক গ্রহ মঙ্গল। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে পাপমুক্তি ঘটে। ভয় দূর হয়। একে অগ্নিদেবের রুদ্রাক্ষ বলা হয়। এটি ধারণ করলে ব্যক্তির সমস্ত ইচ্ছে শীঘ্র পুরো হয়। ওম ক্লীং নম: মন্ত্র জপ করে একে ধারণ করা উচিত।লাল ধাগায় বা সোনায় এই রুদ্রাক্ষ মঙ্গলবার দিন ঘি বা মধু দিয়ে শোধন করে ধুপ ও প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতি করে ধারণ করুন। যাদের দাম্পত্য জীবন সুখের নয়। যারা ব্যবসা বা ক্রীড়া ক্ষেত্রে সাফল্য চান বা মঙ্গল গ্রহ অশুভ তারা বিশেষ ভাবে ভালো ফল পাবেন।রুদ্রাক্ষ ধারণ করার শ্রেষ্ট সময় এই শিব চতুর্দশী তিথি। জ্যোতিষ শাস্ত্রে রুদ্রাক্ষ একটি প্রতিকার তবে রুদ্রাক্ষ হতে হবে খাঁটি এবং শাস্ত্রীয় নিয়ম মেনে সঠিক ভাবে পড়তে হবে। আমার প্রতিষ্ঠানে আমি চেষ্টা করি সেরা মানের রুদ্রাক্ষ মানুষের হাতে তুলে দিতে।রুদ্রাক্ষ সম্পর্কে আরো জানতে পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন।ফিরে আসবো পরের পর্বে।