দশ অবতার পর্বে আজ ভগবানের বরাহ অবতারের কথা লিখবো |নাম থেকেই বোঝা যায় যে এই অবতারে বিষ্ণু বন্য শূকরের রূপ ধারণ করেছিলেন। পুরাণ বলে, তিনি হিরণ্যাক্ষ নামক রাক্ষসের হাত থেকে ভূদেবী অর্থাৎ পৃথিবীকে উদ্ধার করতে বরাহর রূপ ধারণ করেন|অত্যাচারী অসুর রাজ হিরণ্যাক্ষ পৃথিবীকে মহাজাগতিক সমুদ্রের তলায় লুকিয়ে রেখেছিলেন নিজ স্বার্থে তাকে ব্যবহার করতে ও নিজের অহংকার ও দম্ভ কে প্রকাশ করতে|যদিও পৃথিবীর মহা সমুদ্রে পতিত হওয়ার আরো একটি কারন শাস্ত্রে উল্লেখ আছে|কোনো একটি সময়ে যম রাজের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ছিলেন স্বয়ং শ্রী হরি|পৃথিবীতে সেই সময় শুধুই জন্ম ছিলো মৃত্যু ছিলোনা|অতিরিক্ত প্রাণী কুলের সম্প্রসারণ যে চাপ সৃষ্টি করে ছিলো তার ফলেই অন্ধকার সাগরের অতলে তলিয়ে যায় পৃথিবী|পৃথিবীকে স্ব মহিমায় পুনপ্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে আবির্ভাব হয় বরাহ অবতারের|তার এই কাজে প্রধান বাঁধা হয় অসুর রাজ হিরনাক্ষ|যিনি মহা সমুদ্রে নিমজ্জিত পৃথিবীকে অধিকার করে বসেছিলেন|বিষ্ণু বরাহর বেশ ধারণ করে এক হাজার বছর ধরে হিরণ্যাক্ষের সঙ্গে যুদ্ধ করে তাকে পরাজিত ও নিহত করেন তারপর পৃথিবীকে অন্ধকার সমুদ্রের তলা থেকে উদ্ধার করেন।শাস্ত্রে বর্ণনা আছে কিভাবে বরাহ দেব তার বিশাল দাঁত দিয়ে পৃথিবীকে জলের উপর তুলে ধরলেন । পৃথিবী রক্ষা পেল ।বরাহ রূপে শ্রীবিষ্ণু দৈত্যরাজ হিরণ্যাক্ষকে হত্যা করে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন ।পুরান অনুসারে ভগবান বিষ্ণু বরাহ অবতারে ভূদেবী বা পৃথিবী কে পত্নী হিসাবে গ্ৰহণ করেন।বরাহ পুরানে বরাহ অবতারের রূপের উল্লেখ আছে|বরাহ অবতারের চারটি হাত, চার হাতে শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম-ত্রিশূল এবং বরাহদন্তে ধরা থাকে পৃথিবী।বরাহ দেব সৃষ্টিশীলতা ও ন্যায়ের প্রতিক রূপে পূজিত হন|দশ অবতারের আগামী পর্বে ভগবানেরপরবর্তী অবতার এবং তার বিশেষ লীলা নিয়ে ফিরে আসবো|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|