বকুল অমাবস্যা বা পৌষ অমাবস্যা ও শক্তি সাধনা

1614

বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রের প্রতিকার বিধানের একটি অন্যতম পন্থা তন্ত্র|বিশেষ মন্ত্র উচ্চারণ ও হোম যজ্ঞের মাধ্যমে জাতক জাতিকার জিবনের গ্রহগতঅশুভ প্রভাব কে দূর করার যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়ে আসছে তা মূলত তন্ত্র মতেই হয়ে থাকে|এক্ষেত্রে সময় ওতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সর্বদা|এমনই এক গুরুত্বপূর্ণ সময় এই আসন্ন বকুল অমাবস্যা বা পৌষ অমাবস্যা এবং পরবর্তীতে রটন্তী অমাবস্যা যা নিয়ে যথা সময়ে লিখবো|পৌষমাসের এই বিশেষ অমাবস্যা তিথিকে বলা হয় ‘বকুল অমাবস্যা’৷ পৌরাণিক শাস্ত্র অনুযায়ী অমাবস্যা নিয়ে বহু কথা রয়েছে ৷ আর পৌষমাসের এই অমাবস্যার গুরুত্ব এবং মাহাত্ম্যও প্রচুর|অমাবস্যার কারনে যে বিশেষ গ্রহগত অবস্থান সৃষ্টি হয় তা সরাসরি প্রভাবিত করে আমাদের জীবনকে এবং এই সময়ে তন্ত্র মতে শক্তি সাধনা ও আধ্যাত্মিক উপায়ে গ্রহের প্রতিকার বা গ্রহদোষ খণ্ডন অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে|আমার নিজের তিন দশকের বেশি পেশাদার জ্যোতিষ জীবনে আমি বহুবার উপলব্ধি করেছি এই অমাবস্যা তিথিতে শাস্ত্র মতে গ্রহদোষ খণ্ডন জাতক জাতিকার জীবনে কিভাবে আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে, গ্রহ গত শুভ প্রভাব সৃষ্টি করেছে তাদের জীবনে|তন্ত্র ক্রিয়ার গুপ্ত তথ্য জন সমক্ষে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়, উচিত ও নয়|শুধু এটুকু বলবো এই অমাবস্যা উপলক্ষে আপনাদের মা হৃদয়েশ্বরী সর্ব মঙ্গলার মন্দিরে 12ই জানুয়ারি অমাবস্যা চলা কালীন বিশেষ পূজা ও গ্রহ দোষ খণ্ডনের সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে|আপনারা জানেন দেবী সর্বমঙ্গলা আদি শক্তিরই একটি বিশেষ রূপ, যিনি পূজিতা হন হৃদয়েশ্বরী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে, বিগত অমাবস্যা গুলিতেও শাস্ত্র মতে মন্দিরে বিশেষ পূজা ও গ্রহ দোষ খণ্ডন হয়েছে যাতে অংশ নিয়েছেন বহু মানুষ|সাফল্যও এসেছে|এবারও তার অন্যথা হবেনা|আপনারা চাইলে এই দুর্লভ সময়কে কাজে লাগিয়ে নিজেদের জীবনের গ্রহগত অশুভ প্রভাবকে কাটিয়ে উঠতে পারেন|শাস্ত্রে বিশ্বাস থাকলে, আমার উপর আস্থা থাকলে ফোন করুন আমার নাম্বারে, সরাসরি কথা বলুন আমার সাথে|কি কি করনীয় তা আমি বিস্তারিত জানাবো|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|