অচলেস্বর শিব মন্দির

356

ভারতের মন্দিরের সংখ্যা যেমন প্রায় অগুনতি তেমনই রয়েছে তাদের নিয়ে অসংখ্য রহস্য যার ব্যাখ্যা যুক্তিবাদ বা বিজ্ঞান আজও করে উঠতে পারেনি|এমনই কয়েকটি প্রাচীন মন্দির ও তাদের তাদের সাথে জড়িয়ে থাকা রহস্য নিয়ে শুরু করেছিলাম এই বিশেষ ধারাবাহিক লেখা যা পাঠক মহলে ইতিমধ্যে বেশ সমাদৃত|আপনাদের সমর্থন ও ভালোবাসার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ|আজকের পর্বে লিখবো একটি রহস্য ময় শিব মন্দির নিয়ে|

কয়েকটি বিশেষ কারনে এই মন্দির বেশ রহস্যময় সে বিষয়ে পরে আসছি আগে এই মন্দির নিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনাদের সাথে ভাগ করে নিই|

রাজস্থানের সিরোহী জেলায় অচলগড় কেল্লার ঠিক বাইরেই এই মন্দিরের অবস্থান। অচলেস্বর শিব মন্দির নামেই বিখ্যাত এই মন্দির|কথিত আছে, মহাদেবের একটি পায়ের ছাপকে কেন্দ্র করে এই মন্দিরটি গড়ে ওঠে|

নবম শতকে তৈরি হয় এই মন্দির|নন্দীর মূর্তির পাশাপাশি মন্দিরের মধ্যে রয়েছে একটি স্তূপ স্থানীয়দের বিশ্বাস এই স্তূপটি আদপে নরকের দক্ষিণ দ্বার|পাশেই রয়েছে একটি পুকুর। পুকুরের পাড়ে রয়েছে তিনটি ধাতব মহিষের মূর্তি। বলা হয়,এই তিনটি মূ্র্তি আসলে তিনটি রাক্ষসের প্রতিরূপ যারা এই মন্দির আক্রমন করে ও স্বাস্তি স্বরূপ পাথরে পরিণত হয়|

ইতিহাস অনুসারে অতীতে বৈদেশিক আক্রমনের শিকার হয়েছে এই মন্দির কিন্তু রক্ষা পেয়েছে অলৌকিক ভাবে|

এই মন্দিরের সবচেয়ে রহস্যময় বস্তুটি এর ভিতরে থাকা শিবলিঙ্গটি। দিনের বিভিন্ন সময়ে এর রং থাকে বিভিন্ন রকমের। দিনে অন্তত তিন বার রং বদলায় এই শিবলিঙ্গ। সকাল বেলা এর রং থাকে লাল, বিকেলে হয় জাফরান, আর রাত্রে এর রং হয় কালো|

আরো একটি রহস্যময় ঘটনার উল্লেখ পাওয়াযায় এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে|একবার গর্ভগৃহটি সংস্কারের সময় খোঁড়াখুঁড়ি করতে গিয়ে গর্ভগৃহ বেষ্টন করে থাকা একটি সুড়ঙ্গ আবিষ্কৃত হয়। সুড়ঙ্গের মধ্যে দু’টি কুলুঙ্গিতে পাওয়া যায় দেবী চামুণ্ডার দু’টি মূ্র্তি। দেখা যায়, মূর্তি দু’টিতে লেপা রয়েছে সিঁদুর। যেন সদ্য পূজিতা হয়েছেন দেবী|এও এক রহস্য যার সমাধান আজও সম্ভব হয়নি|

এই পর্ব এখানেই শেষ করছি|দেখাহবে পরের পর্বে|জ্যোতিষ সংক্রান্ত কাজ বিশেষ করে আসন্ন নবগ্রহ যজ্ঞ সম্মন্ধে বিশদে জানতে যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|