জয় জগন্নাথ – গুন্ডিচা দেবীর কথা
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
আসন্ন স্নান যাত্রা উপলক্ষে শুরু করেছি প্রভু জগন্নাথকে নিয়ে শাস্ত্রীয় আলোচনা। আগের পর্বে। জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি বা গুন্ডিচা মন্দির নিয়ে কিছু তথ্য আপনাদের জানিয়েছি। আজ গুন্ডিচা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত লিখবো।
বহু প্রাচীন কাল থেকেই বেশ কিছু লোকশ্রুতি ঘিরে রয়েছে পুরীর গুন্ডিচা মন্দিরকে।
অনেকের মতে এই মন্দির আসলে স্থানীয় এক দেবীর। তাঁর নামই গুন্ডিচা। মনে করা হয়, তিনি দেবী দুর্গার রূপ।আদ্যা শক্তি মহামায়ার একটি রূপের প্রকাশ ঘটেছে গুন্ডিচা রূপে।
আবার স্থানীয়রা মনে করেন ওড়িয়া ভাষায় গুটিবসন্ত রোগকে ‘গুন্ডি’ বলা হয়। এই দেবী গুণ্ডিচা আসলে সেই রোগ নিরাময়ের দেবী।
অনেক টা আমাদের মা শীতলার ন্যায় গুন্ডিচ দেবীও এক লৌকিক দেবী।
প্রভু জগন্নাথ বছরে সাতদিন কাটাতে আসেন এই দেবীর মন্দিরে এবং স্থানে বিশ্রাম করেন প্রভু সেই সময়ে একাধিক উৎসবের আয়োজন করা হয় গুন্ডিচা মন্দিরে।গোপীদের সঙ্গে লীলায় মত্ত হন জগন্নাথ তাই ছল করে দেবী লক্ষীকে জগন্নাথ মন্দিরে রেখে আসেন তিনি। তাই ফেরার সময়
স্ত্রী লক্ষ্মীর মানভঞ্জন করতে রস গোল্লা নিয়ে আসেন প্রভু জগন্নাথ।
জনশ্রুতি আছে পুরীতে থাকা কালীন প্রতিবার রথের আগে নিয়ম করে গুন্ডিচা মন্দির পরিষ্কার করতেন চৈতন্য মহাপ্রভু। সেই রীতি বজায় রেখে এখনও পুরীর সময়ে গৌড়ীয় মঠের সদস্যরা গুন্ডিচা মন্দির পরিস্কার করতে যান।
শ্রী ক্ষেত্র পুরী এবং পুরীর রথ যাত্রার সাথে জড়িত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান এই গুন্ডিচা মন্দির। পুরী ভ্রমনের সময় এই মন্দির অবশ্যই দর্শন করবেন।
চলতে থাকবে জগন্নাথদেব সংক্রান্ত শাস্ত্রীয় এবং পৌরাণিক এবং শাস্ত্রীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা। ফিরে আসবো আগামী পর্বে। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।