ফলহারিণী অমাবস্যা এবং গ্রহের প্রতিকার
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
ফল হারিণী অমাবস্যা কোনো সাধারণ অমাবস্যা তিথি নয়। ফল হারিণী অমাবস্যার সাথে জ্যোতিষ তন্ত্র এবং গ্রহ নক্ষত্রর বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।
আজকের এই বিশেষ পর্বে আপনাদের ফল হারিণী অমাবস্যা তিথিতে গ্রহ দোষ খন্ডনের গুরুত্ব নিয়ে কিছু বলবো। জানাবো গ্রহ দোষ বলতে জ্যোতিষ শাস্ত্রে কি বোঝায়। গ্রহ দোষ খণ্ডন কি এবং কেনো ফল হারিণী অমাবস্যায় গ্রহ দোষ খণ্ডন হয়।
জাতক জাতিকার জন্মছক বিশ্লেষণ করলে অথবা হস্তরেখা বিচার করলে দেখা যায় অনেকেরই কিছু না কিছু গ্রহদোষ রয়েছে। অর্থাৎ কিছু শুভ গ্রহ এবং কিছু অশুভ গ্রহের গ্রহগত সংযোগ। সেটা দৃষ্টি বিনিময় বা অশুভ স্থানে অবস্থানে ফলে হতে পারে আবার অশুভ গ্রহ দ্বারা কোনো গ্রহ পীড়িত হলেও হতে পারে। আবার অশুভ নক্ষত্রর প্রভাবেও হতে পারে।
জ্যোতিষ শাস্ত্রে যতরকম গ্রহের প্রতিকারের কথা উল্লেখ আছে তার মধ্যে শাস্ত্র মতে পুজো পাঠ এবং মন্ত্র উচ্চারনের মধ্যে দিয়ে গ্রহদোষ খণ্ডনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কারন প্রতিটি গ্রহের রয়েছে নিজস্ব আধ্যাত্মিক সত্ত্বা এবং অধীস্টাত্রী দেবী।
গ্রহের প্রতিকারের সাফল্য এবং
তার স্থায়ীত্ত্ব নির্ভর করে সঠিক তিথি
নির্বাচনের উপর।সঠিক তিথিতে করা শাস্ত্রীয় মতে দোষ খণ্ডন সবথেকে বেশি প্রভাব শালী হয়, এবং এই তিথি গুলির মধ্যে দীপান্বিতা অমাবস্যা, কৌশিকী অমাবস্যা, মৌনী অমাবস্যা এবং ফলহারিনী অমাবস্যা কে অন্যতম শ্রেষ্ঠ তিথি হিসেবে দেখা হয়|
জন্ম ছকে অশুভ গ্রহ দোষ সৃষ্টির একটি কারন হচ্ছে জন্ম জন্মান্তরের অর্জিত পাপ। সেই পাপ পূর্ব পুরুষের ও হতে পারে। তাই ফল হারিণী অমাবস্যায় করা গ্রুহ দোষের প্রতিকার সেই
সব কর্ম ফল থেকে মুক্তি দেয় এবং গ্রহের অশুভ
প্রভাব দূর করে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ফল হারিণী অমাবস্যার অর্থাৎই হলো জন্ম জন্মান্তরের পাপের ফল থেকে এবং অশুভ শক্তি থেকে চীর তরে মুক্তি লাভ।
আবার যথা সময়ে আধ্যাত্মিক এবং পৌরাণিক বিষয় নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনায় ফিরে আসবো।পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।