আলমোড়ায় পন্ডিতজি

129

আলমোড়ায় পন্ডিতজি

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুন অঞ্চলে অবস্থিত, আলমোড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি এবং শান্ত স্থানগুলির জন্য বিখ্যাত।কেনো যে বিখ্যাত তা বেশ বুঝতে পারছি এখানে এসে।

আলমোড়ার অন্যতম দর্শনীয় স্থান হল কাসার দেবী, যেখান থেকে তুষারাবৃত হিমালয়ের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখা যায়। চার পাশ ঘন দেওদার বন এবং পাইন গাছ দ্বারা বেষ্টিত এই স্থান যুগ যুগ ধরে অসংখ্য দর্শণার্থীদের মুগ্ধ করে চলেছে।

কাসার দেবী দেবী দূর্গারই একটি রূপ।
প্রায় এক হাজার বছরের পুরনো এই মন্দিরটি চাঁদ রাজবংশের রাজারা দেবী নন্দ দেবীর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছিলেন। এর প্রাঙ্গণে কাঠের ছাদ দিয়ে ঘেরা একটি বিশাল পাথরের মূর্তি স্থাপিত রয়েছে

এখানে ভক্তরা ইচ্ছাপূরণের পর তামার ঘণ্টা দিয়ে থাকেন।বহু যুগ থেকে ঘন্টা জমে জমে আজ আজ অজস্র ঘন্টায় মন্দির প্রাঙ্গন পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।

স্বামী বিবেকানন্দর অন্ত্যন্ত প্রিয় ছিলো এই স্থান।
স্বামীজি প্রথমবার আলমোড়া এসেছিলেন ১৮৯০ সালে তারপর ১৮৯৭ ও ১৮৯৮ সালে বিবেকানন্দ আলমোড়ায় ফিরে এসেছিলেন। স্বামীজি এই স্থানে ধ্যানে বসে থাকতেন দীর্ঘ সময় ধরে। তার বহু লেখায় এবং তার গুরু ভাইদের লেখায় আলোমরা সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়।

কাসার দেবীর মন্দিরের পাহাড়ের পাশ দিয়ে একটা পরিষ্কার রাস্তা উপরের দিকে উঠে গেছে। সেদিকে পাহাড়ের একেবারে উপরে জঙ্গলে ঘেরা নিঃশব্দ পরিবেশে রয়েছে সারদা মঠ।সারদা মঠ দর্শন করার সৌভাগ্য লাভ করে নিজেকে ধন্য মনে করছি।

আলমোড়া আকাশবাণী ভবনের কাছে। রাস্তার ওপরে স্বামীজির বিরাট মূর্তি আজও তার স্মৃতি বহন করে চলেছে। সেই মূর্তির পাশ দিয়ে নেমে গেছে সিঁড়ি। অনেকগুলো ধাপ নেমে মন্দিরে প্রবেশ করতে রামকৃষ্ণ কুঠিতে। রামকৃষ্ণ কুঠি বা মঠ দর্শন করা অত্যন্ত সৌভাগ্যর বিষয়।

আলোমোড়া এবং তার আশপাশের দর্শনীয় স্থান গুলি দেখা শেষ করে এবার যাবো নৈনিতালের দিকে। সেই অভিজ্ঞতাও যথা সময়ে আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো। সঙ্গে থাকুন।