দেবভূমিতে পন্ডিতজি – দ্বিতীয় পর্ব
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্বে মৌসুরি এবং পিথোরা গড় সংলগ্ন কিছু প্রাকৃতিক বিস্ময় এবং একাধিক প্রাচীন মন্দির ঘুরে দেখার সৌভাগ্য হলো।
মুসৌরিকে ভগবান যেনো তার নিজের হাতে যত্ন এবং সময় নিয়ে সাজিয়েছেন।এই মুসৌরির নাম মনসুর শব্দ থেকে এসেছে, যা একটি গুল্মকে বোঝায় যা এখানে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। গাড়ওয়াল হিমালয় পর্বতমালার মধ্যে অবস্থিত, মুসৌরিতে সারা বছর মনোরম আবহাওয়। ঠিক যেনো চীর বসন্তের দেশ।
মুসৌরির পর্যটন স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম কেম্পটিবীর্থি ফলস, ক্যামেলস ব্যাক রোড, লাল টিব্বা এবং কোম্পানি বাগান।চার পাশে হিমালয়ের অনেক গুলি সুন্দর তুষারবৃত শৃঙ্গ রয়েছে তবে
গান হিল হল মুসৌরির সর্বোচ্চ শৃঙ্গগুলির
মধ্যে একটি
এখানে পুরান, ইতিহাস, কিংবদন্তী এবং প্রকৃত মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। যেমন এই সাপের চূড়া বা নাগ টিব্বা নিম্ন হিমালয় অঞ্চলের সর্বোচ্চ শৃঙ্গগুলির মধ্যে একটি। এই শৃঙ্গের নামকরণ করা হয়েছে সাপের দেবতার নামে। কিংবদন্তী অনুসারে তিনি গ্রামের গবাদি পশুদের রক্ষা করেন।
এই অঞ্চলের প্রাচীন মন্দিরগুলি ভারতের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, উন্নত স্থাপত্য শৈলী এবং ইতিহাসের কথা বলে। নন্দ দেবী মন্দির থেকে শুরু করে মা দুনাগুড়ি এবং পাতাল দেবী মন্দির পর্যন্ত প্রতিটি আলাদা করে আপনার নজর কাড়বে।
এই অঞ্চলে রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রাচীন এবং প্রসিদ্ধ শিব মন্দির। যার মধ্যের বৈজনাথ মন্দিরটি অন্যতম।বাগেশ্বর জেলার বৈজনাথ শহরের কাছে গরুড় উপত্যকায় এটি অবস্থিত। দ্বাদশ শতাব্দীর এই মন্দিরটিতে জটিল পাথরের কারোকার্য রয়েছে এবং এটি তার স্থাপত্য সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত।
তারপর গেছিলাম নকুলেশ্বর মন্দির যা পিথোরাগড় শহর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি শিব মন্দির।প্রাচীন এই শিব মন্দির এবং চার পাশের প্রকৃতি দেখে মুগ্ধ হলাম।
এরপর আছে অর্জুনেশ্বর মন্দিরটি। পিথোরাগড় শহরের এটি একটি বিখ্যাত শিব মন্দির । বিশ্বাস করা হয় যে মন্দিরটি অর্জুন কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল।অর্থাৎ সেই মহাভারতের যুগ থেকে মন্দিরটি আছে। ভাবলেও শিহরিত হতে হয়।
আজ পাতাল ভুবনেশ্বর গুহায় যাওয়ার সৌভাগ্য হয়ে ছিলো। এখানে যাওয়ার পথটি একটি দীর্ঘ এবং সরু সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে গেছে। ভগবান শিব ছাড়াও শেষনাগ, কাল ভৈরব, গণেশ এবং আরও অনেক দেবতার রূপ পাতাল ভুবনেশ্বরে দেখা যায়। বিশ্বাস করা হয় যে এই গুহাটি ৩৩ কোটি দেবদেবীর আবাসস্থল।তাই সনাতন ধর্মে এই স্থানের আলাদা তাৎপর্য আছে।
পিথোরাগড় জেলার মনোরম পার্বত্য স্থানে অবস্থিত কপিলেশ্বর মহাদেব মন্দিরটির কথাও না বললে নয়। আধ্যাত্মিক এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যর অদ্ভুত মেল বন্ধন ঘটেছে এখানে।
জলপ্রপাত, মন্দির, পর্বত শৃঙ্গ সব মিলিয়ে বেশ স্বর্গীয় অনুভূতি হচ্ছে যার সবটা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করা যায়না। তাও এই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলাম। আবার যা কিছু দেখবো। সব ভাগ করে নেবো যথা সময়ে। পড়তে থাকুন।
দেবভূমিতে পন্ডিতজি – দ্বিতীয় পর্ব
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্বে মুন্সীয়ারি এবং পিথোরা গড় সংলগ্ন কিছু প্রাকৃতিক বিস্ময় এবং একাধিক প্রাচীন মন্দির ঘুরে দেখার সৌভাগ্য হলো।
মুন্সীয়ারিকে ভগবান যেনো তার নিজের হাতে যত্ন এবং সময় নিয়ে সাজিয়েছেন।খুব সম্ভবত এই এলাকার নাম মনসুর শব্দ থেকে এসেছে, যা একটি গুল্মকে বোঝায় যা এখানে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। গাড়ওয়াল হিমালয় পর্বতমালার মধ্যে অবস্থিত, মুন্সীয়ারিতে সারা বছর মনোরম আবহাওয়। ঠিক যেনো চীর বসন্তের দেশ।
এখানকার পর্যটন স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম কেম্পটি ফলস, ক্যামেলস ব্যাক রোড, লাল টিব্বা এবং কোম্পানি বাগান।চার পাশে হিমালয়ের অনেক গুলি সুন্দর তুষারবৃত শৃঙ্গ রয়েছে তবে
গান হিল হল এখানে সর্বোচ্চ শৃঙ্গগুলির
মধ্যে একটি
এখানে পুরান, ইতিহাস, কিংবদন্তী এবং প্রকৃত মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। যেমন এই সাপের চূড়া বা নাগ টিব্বা নিম্ন হিমালয় অঞ্চলের সর্বোচ্চ শৃঙ্গগুলির মধ্যে একটি। এই শৃঙ্গের নামকরণ করা হয়েছে সাপের দেবতার নামে। কিংবদন্তী অনুসারে তিনি গ্রামের গবাদি পশুদের রক্ষা করেন।
এই অঞ্চলের প্রাচীন মন্দিরগুলি ভারতের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, উন্নত স্থাপত্য শৈলী এবং ইতিহাসের কথা বলে। নন্দ দেবী মন্দির থেকে শুরু করে মা দুনাগুড়ি এবং পাতাল দেবী মন্দির পর্যন্ত প্রতিটি আলাদা করে আপনার নজর কাড়বে।
এই অঞ্চলে রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রাচীন এবং প্রসিদ্ধ শিব মন্দির। যার মধ্যের বৈজনাথ মন্দিরটি অন্যতম।বাগেশ্বর জেলার বৈজনাথ শহরের কাছে গরুড় উপত্যকায় এটি অবস্থিত। দ্বাদশ শতাব্দীর এই মন্দিরটিতে জটিল পাথরের কারোকার্য রয়েছে এবং এটি তার স্থাপত্য সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত।
তারপর গেছিলাম নকুলেশ্বর মন্দির যা পিথোরাগড় শহর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি শিব মন্দির।প্রাচীন এই শিব মন্দির এবং চার পাশের প্রকৃতি দেখে মুগ্ধ হলাম।
এরপর আছে অর্জুনেশ্বর মন্দিরটি। পিথোরাগড় শহরের এটি একটি বিখ্যাত শিব মন্দির । বিশ্বাস করা হয় যে মন্দিরটি অর্জুন কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল।অর্থাৎ সেই মহাভারতের যুগ থেকে মন্দিরটি আছে। ভাবলেও শিহরিত হতে হয়।
আজ পাতাল ভুবনেশ্বর গুহায় যাওয়ার সৌভাগ্য হয়ে ছিলো। এখানে যাওয়ার পথটি একটি দীর্ঘ এবং সরু সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে গেছে। ভগবান শিব ছাড়াও শেষনাগ, কাল ভৈরব, গণেশ এবং আরও অনেক দেবতার রূপ পাতাল ভুবনেশ্বরে দেখা যায়। বিশ্বাস করা হয় যে এই গুহাটি ৩৩ কোটি দেবদেবীর আবাসস্থল।তাই সনাতন ধর্মে এই স্থানের আলাদা তাৎপর্য আছে।
পিথোরাগড় জেলার মনোরম পার্বত্য স্থানে অবস্থিত কপিলেশ্বর মহাদেব মন্দিরটির কথাও না বললে নয়। আধ্যাত্মিক এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যর অদ্ভুত মেল বন্ধন ঘটেছে এখানে।
জলপ্রপাত, মন্দির, পর্বত শৃঙ্গ সব মিলিয়ে বেশ স্বর্গীয় অনুভূতি হচ্ছে যার সবটা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করা যায়না। তাও এই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলাম। আবার যা কিছু দেখবো। সব ভাগ করে নেবো যথা সময়ে। পড়তে থাকুন।