শিব তীর্থ – দক্ষিনেশ্বরের বুড়ো শিব
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
দক্ষিনেশ্বর লাগোয়া গঙ্গার ধারে রয়েছে এক অতি প্রাচীন শিব মন্দির যার প্রতিষ্ঠা কাল সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়না তবে মনে করা হয় এই শিব লিঙ্গ ২০০০ বছর পুরোনো। আজকের পর্বে এই প্রাচীন শিব লিঙ্গ প্রসঙ্গে আলোচনা করবো।
বাংলার তখন হোসেন শাহর শাসন চলছে। এই অঞ্চলে বসবাসকারী এক ব্রাহ্মনকে বাবা মহাদেব স্বপ্নে দেখা দিয়ে বললেন আমি বহু দিন জঙ্গলে অযত্নে আছি। আমাকে মন্দির নির্মাণ করে পুজো করো। পরদিন সেই স্বপ্নের কথা জানাজানি হয়। অনেক খোঁজার পরে আরিয়াদহর কাছে জঙ্গলে এই শয়ম্ভু শিব লিঙ্গ পাওয়া যায় এবং মন্দির
স্থাপন করে পুজো শুরু হয়।
পরবর্তীতে বান রাজাদের আমলে নতুন করে মন্দির তৈরী হয়। শিবের স্বপ্নাদেশেই সেই মন্দিরে চূড়া রাখা হয়নি।পরবর্তীততে একাধিকবার এই মন্দির সংস্কার করা হয় এবং মন্দিরের উত্তর দিকে একটি বানলিঙ্গ স্থাপিত করা হয়।
শোনাযায় একবার ব্রিটিশ আমলে বড়লাট ওয়ারেন হেস্টিং এই শিব লিঙ্গ তুলে গঙ্গায় ফেলে দিতে চেয়ে ছিলেন কিন্তু বহু খোঁড়াখুঁড়ি করেও এই শিব লিঙ্গের তল খুঁজে পাওয়া যায়নি। ব্যার্থ হয়ে সেই সময় ওয়ারেন হেস্টিং ফিরে গেছিলেন।
এই শিব লিঙ্গকে দক্ষিনেশ্বর শিব লিঙ্গ বলা হতো। এবং মনে করা হয় এই শিবের নামেই এই স্থানের নাম হয় দক্ষিনেশ্বর।আজও প্রতি শ্রাবন মাসে এবং শিব রাত্রিতে এখানে বিশেষ পুজো হয়।
আবার ফিরে আসবো শিব তীর্থ নিয়ে। শিব রাত্রি উপলক্ষে শিব মাহাত্ম এবং শিব মন্দিরের ইতিহাস নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা।
চলতে থাকবে।পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।