জগন্নাথদেবের উল্টো রথের শুভেচ্ছা
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
আজ উল্টো রথ।বাস্তবে রথ যাত্রা ঠিক একদিনের উৎসব নয়। আসলে রথ যাত্রার সূচনা হয় দেবস্নান পূর্ণিমায় প্রভু জগন্নাথের স্নানের মধ্যে দিয়ে আর শেষ হয়উল্টো রথ যাত্রার দিনে।
জনশ্রুতি আছে এই দিন মন্দিরে ঢুকতে গেলেই লক্ষ্মী দেবী সটান মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেন কারণ তিন ভাইবোন মাসির বাড়ি থেকে আনন্দ করে এসেছেন অথচ তাঁকে নিয়ে যাননি। অভিমানী লক্ষ্মী দেবী এই কয়দিন একা একা শ্রীমন্দিরে ছিলেন। সেই থেকে তিন দিন এরকম ভাবেই বাইরে থাকে রথ সহ বিগ্রহ। এই তিন দিন পালিত হয় কিছু অনুষ্ঠান তারপর মহালক্ষীর মান ভঞ্জন হলে পুনরায় মন্দিরের রত্ন বেদিতে স্থান পান জগন্নাথ শুভদ্রা এবং বলরাম।
একাধিক শাস্ত্রীয় উপাচার আছে এই উল্টো রথ নিয়ে।সাধারণত উল্টো রথে যখন জগন্নাথ ফিরে আসেন এই যাত্রাকে বহুদা যাত্রা বলা হয়। এরপর আছে অধরপানা এবং নীলাদ্রি বিজয়। অধরপানায় জগন্নাথকে বিশেষ পানীয় পান করানো হয়। সেটাকে ঘিরেও উৎসব হয় । এর পরদিন নীলাদ্রি বিজয় উৎসব হয়। এক হিসেবে এই দিনেই রথযাত্রা শেষ হয়।
উল্টো রথ উপলক্ষে প্রভু জগন্নাথ
সহ সুভদ্রা-বলরাম ও সেজে ওঠেন নানা সোনার
গয়নার সাজে।এই বেশ কে সোনা বেশ বলা হয়।
মন্দিরে ফিরলে জগন্নাথদেবের উদ্দেশ্যে
নিবেদন করা হয় কয়েকশ হাড়ি রসগোল্লা নানা রকম মিষ্টান্ন সর্বশেষে নীলাদ্রিবিজয় উৎসবের
মাধ্যমে শেষ হয় এই সমস্ত রীতি -রেওয়াজ এবং তার পর জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরাম কে মন্দিরের
মূল রত্নবেদি-তে তোলা হয়।
আপনাদের সবাইকে উল্টোরথ যাত্রার অনেক শুভেচ্ছা। ফিরে আসবো আগামী পর্বে ধারাবাহিক শাস্ত্রীয় ওব পৌরাণিক নানা বিষয় নিয়ে
আলোচনা নিয়ে। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।