রথযাত্রা এবং উল্টো রথের শাস্ত্রীয় মাহাত্ম

9

রথযাত্রা এবং উল্টো রথের শাস্ত্রীয় মাহাত্ম

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে প্রতিবছর রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। ৯ দিন পর উল্টো রথ।রথযাত্রার দিন বলরাম এবং সুভদ্রাকে নিয়ে রথে চড়ে অর্থাৎ মাসির বাড়ি যান জগতের নাথ জগন্নাথ মাসির বাড়ি মানে সমুদ্রোপকূলবর্তী জগন্নাথ মন্দির থেকে প্রায় তিন মাইল দূরে গুণ্ডিচা মন্দিরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে|

 

যাত্রার এক সপ্তাহ পরে তিনি ফেরেন নিজ স্থানে।জগন্নাথ দেবের সপরিবারের রথে চড়ে এই ফিরে আসাই উল্টোরথ নামে খ্যাত

এই মুহূর্তে জগন্নাথদেব বিরাজ করছেন গুন্ডিচা মন্দিরে। আর কয়েকদিন পরেই উল্টো রথের মাধ্যমে তার রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটবে।

 

শাস্ত্রে রথ যাত্রা সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে, “রথস্থ বাম নং দৃষ্টাপুনর্জন্ম ন বিদ্যতে”৷ অর্থাৎ রথের উপর অধিষ্ঠিত বামন জগন্নাথকে দর্শন করলে তাঁর পুনর্জন্ম হয় না৷ তাই রথের দড়ি টানাকেও পুণ্যের কাজ হিসাবে গণ্য করেন ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা|।

 

শুধু তাই নয় শাস্ত্র মতে যেকোনো শুভ কাজে যেমন গৃহ প্রবেশ, ব্যাবসার শুরু সবই করা যায় এই শুভ সময়ে।জগন্নাথ দেব স্বয়ং শ্রী কৃষ্ণ। তিনিই জগতের নাথ। শাস্ত্র মতে তিনি বামন অবতার রূপে পুরীতে বিরাজমান।এই সমগ্র সময় জুড়ে জগন্নাথ মাহাত্ম শ্রবণ করা এবং প্রভু জগন্নাথ

দেবের আরাধনা করা শাস্ত্র মতে মহা পুন্যর কাজ।

 

ফিরে আসবো জগন্নাথেদেব সংক্রান্ত আরো তথ্য এবং পৌরাণিক আলোচনা নিয়ে। দেখতে থাকুন।